খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

ঢাকা: খাগড়াছড়িতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৫ মে) ভোরে দীঘিনালা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গায় এসব ঘটনা ঘটে।

জানা যায়. খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে টিনের ঘরে আগুন লেগে মা-ছেলের মৃত্য হয়েছে। রোববার (৫ মে) ভোরে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির মো. ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার ছেলে হানিফ মিয়া। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী ছাদেক মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘরের আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, ভোরে ভারী বৃষ্টির সাথে বজ্রাঘাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা যায়। তবে এ সময় সাথে থাকা তার আরেক ছেলে মো. হাফিজ প্রাণে বেঁচে যায়।

দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এদিকে, খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে থাকা দুটি গরুসহ গনেজ মারমা নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৫ মে) ভোরে রামগড়ের দুর্গম হাজাছড়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত গনেজ মারমা দুর্গম হাজাছড়া গ্রামের বাসিন্দা কংজ মারমার ছেলে।

একইদিন, মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সুমিকা ত্রিপুরা নামে এক গৃহিণীর মৃত্যু হয়। এ সময় তার দুই ছেলে আহত হয়। এছাড়া তার ঘরে থাকা ২টি ছাগল মারা যায়। মৃত সুমিকা ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশীকারবারী পাড়ার বাসিন্দা সুশেন ত্রিপুরার স্ত্রী। তার দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নিউজজি/এসএম