নাট্যাচার্য স্মরণে তিনদিনের স্মরণায়োজন

বাংলাদেশের নাট্যধারায় অভিনব আঙ্গিক সংযোজন করে স্বীয় স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় দিয়েছেন নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন। গবেষক-শিক্ষক ও নাট্যকার সেলিম আল দীন ৫৯ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু দেশের নাট্যাঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি করেছে, তা আজন্মই অপূরণীয়।

আগামী ১৪ জানুয়ারি নাট্যাচার্যের ১০তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে তাঁর প্রাণের সংগঠন ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। সেমিনার, শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য এই আয়োজন।

আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নাট্যকার মাসুম রেজা। আলোচক হিসেবে থাকবেন ইউসুফ হাসান অর্ক, সাধনা আহমেদ, মাসউদ ইমরান মান্নু, সোহেল হাসান গালিব, আবু সাইদ তুলু, আলতাফ শাহনেওয়াজ।

১৩ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে ঢাকা থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘নিমজ্জন’। সেলিম আল দীনের লেখা আলোচিত এ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। ১৪ জানুয়ারি উৎসবের সমাপনী দিন সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলিম আল দীনের সমাধিতে নিবেদন করা হবে গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য।

এদিন সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে সেলিম আল দীনের লেখা নাটক ‘ধাবমান’। ঢাকা থিয়েটার প্রযোজিত এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফ। আয়োজনকে ঘিরে শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলে দলসূত্রে জানা গেছে।

১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজীতে জন্মগ্রহণ করেন সেলিম আল দীন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ।

২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই নাট্যকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

নিউজজি/এসএফ