বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ , ৮ রমজান ১৪৪৪

সাহিত্য
  >
প্রবন্ধ

মেয়াদকালে উন্নয়নের তথ্য দিয়ে বই লিখলেন হাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ১৪:৩৬:৪৫

580
  • ছবি : নিউজজি

হাবিপ্রবি: উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। এরপর দীর্ঘ ২২ বছরে এক এক করে অতিবাহিত হয়েছেন ৬ জন উপাচার্য। ষষ্ঠতম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মু.আবুল কাসেম। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর কর্তৃক ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত  অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। তিনি উপাচার্য থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামোগত নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড সংঘটিত হয়।

একজন সাবেক উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম নিজ মেয়াদকালে সংঘটিত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতার চার বছর (২০১৭-২০২০) নামক বইয়ে। এর মধ্য দিয়ে হাবিপ্রবির ইতিহাসে প্রথম কোন উপাচার্য তার মেয়াদকালের সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন কোন বইয়ে। যা সত্যিকারার্থে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি একজন উপাচার্যের স্বচ্ছতা এবং আন্তরিকতার নমুনা বললেও ভুল হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ২০১৭-২০২০ : সফলতার চার বছর নামক বইটি আপলোড করা হয়েছে। বইটির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, সাবেক উপাচার্যদের মেয়াদকাল ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় এবং মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম তার সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন। এরপর ১০টি পয়েন্টে  হাবিপ্রবির সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্যাদি উল্লেখ করা হয়।

শুরুতে একাডেমিক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে নতুন ডিগ্রী চালু , ডিগ্রির নাম রূপান্তর,  নতুন বিভাগ চালু, সেশনজট নিরসন, শিক্ষার মানোন্নয়নে আইকিউএসি এর কার্যক্রম জোরদার করা, আউটকাম বেজড কারিকুলাম প্রণয়ন, লাইব্রেরী অটোমেশন, দক্ষ জনবল নিয়োগ, সমঝোতা স্মারক, লীভ রুলস-২০২০ প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন, পরীক্ষা পারিতোষিক পুনঃনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।

গবেষণা কার্যক্রম: এতে বলা হয়, গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী ও মৎস্য বিষয়ক গবেষণার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় সাড়ে ৬ একর জমির উপর একটি 'কৃষি গবেষণা কমপ্লেক্স 'প্রতিষ্ঠা করা হয়। কৃষি গবেষণা কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে মাঠ ফসল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি গবেষণাগার ও মৎস্য হ্যাচারি। এছাড়াও কৃষক পর্যায়ে কৃষকদের সমন্বয়ে সরেজমিনে গবেষণা করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত কৃষক সেবাকেন্দ্র এর মাধ্যমে কৃষকদের জমিতে বিরাজমান ফসলের উপর চাহিদা ভিত্তিক গবেষণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) থেকে বিভিন্ন অর্থ প্রদানকারী সংস্থা থেকে প্রদত্ত অর্থের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ: এতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মূলকাজ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্য সম্পাদন হলেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আরও দুটি অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তাহলো প্রশিক্ষণ প্রদান ও বহিরাঙ্গন বা গ্রামোন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি এর মাধ্যমে শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের মোট সতেরোটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে । এছাড়া কৃষকদের পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে আইকিউএসি এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন মেয়াদে ২৯ টি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

বহিরাঙ্গন গ্রামোন্নয়ন কর্মকাণ্ড: একটি প্রায়োগিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান গবেষণা কর্মকাণ্ডসম্পাদনা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে । এ বিষয়টি এখানে একেবারেই অবহেলিত ছিল। ২০১৭ সালের পর যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ‌তা হলো-কৃষক সেবা কেন্দ্র এর মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক যে কোন তথ্য পরামর্শ এবং প্রযুক্তি প্রয়োগ বিষয়ে কৃষকদের সহায়তা প্রদান, গবাদিপশু হাঁস-মুরগী পালন, চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, কৃষি উন্নয়নে ই-সেবা চালু করুন, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান, কৃষকের চাহিদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান  এবং প্রযুক্তিয়ভিত্তিক সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি। মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিক এর মাধ্যমে কৃষকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো ও গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা প্রদান করাই মূল লক্ষ্য।

ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা: এটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী ও বেকার গ্রাজুয়েট কোন দেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি সমূহ অতি সহজেই জানতে পারে।  তাছাড়া বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত স্কলারশীপ এর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানার উপায় হতে পারে সে জন্য বিভিন্ন প্রকার এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট বিষয়ে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগও এখানে রাখা হয়েছে।

শিক্ষা-শিল্প প্রতিষ্ঠান সংযোগ: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন জোরালো ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে বলেন। এ লক্ষে গবেষণা  কর্মকান্ড পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগ, স্থানীয় উত্তোরণ  ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর সাথে যৌথভাবে কাজ করে 'মাল্টিপল গ্রেইন ড্রায়ার 'উদ্ভাবিত করে ।যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একইভাবে ফুড প্রসেসিং ও প্রিজার্ভেশন বিভাগ কালোজামের বীজ থেকে ডায়াবেটিস উপশমের ট্যাবলেট উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন: অডিটোরিয়াম-২ সংস্কার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এসি সংযোগ, কেন্দ্রীয় মসজিদ সংস্কার ও এসি সংযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস ল্যাবরেটরি স্থাপন, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম স্থাপন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স কার্যালয় স্থাপন, বঙ্গবন্ধু হল উদ্বোধন, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব সংস্কার, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের ল্যাব সংস্কার, আইভি রহমান হলের সংস্কার, টিএসসি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, হাবিপ্রবি স্কুল ভবনের  ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ , সুফিয়া কামাল হলের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণ, ডরমেটরি নির্মাণ, গ্রীন ফেসিং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বায়োগ্যাস প্লান্টসহ ডেইরি হাউজ নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট নির্মাণ, ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ ছাত্রী হল নির্মাণ, বৈজ্ঞানিক/ল্যাব যন্ত্রপাতি ও ল্যান্ডস্কেপিং, সারফেস ড্রেন নির্মান ও ৫০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন নির্মাণ, সিসিটিভি স্থাপন, ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজারি সার্ভিস অফিস স্থাপন , ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই লাইন সংযোজন ও সংস্কার।

কো কারিকুলাম এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার: ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা যাচাই, বক্তৃতা অনুশীলন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও নেতৃত্ব উন্নয়নের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থাকলেও সেগুলির কার্যক্রম স্থমিত হয়ে পড়েছিল। ছাত্রসংগঠনগুলো গঠনমূলক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমসমূহ ২০১৭ সাল থেকে বেগবান করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এবং এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশেষ সাফল্যের পরিচয় দেয় ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম চালু থাকলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ বছরেও সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম চালু হয়নি।  বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১৭ সালের নভেম্বরে সর্বপ্রথম হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি গঠিত হয়।  বর্তমানে সমিতির কার্যক্রম পুরোদমে চালু রয়েছে। কারিকুলার কার্যক্রমের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম। এতে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার খেলার সামগ্রী সংযুক্ত করে এটি ব্যবহারের উপযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়।

যানবাহন সংযোজন: ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় মোট যানবাহনের সংখ্যা ছিল ২৪টি।  ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৬টি যানবাহন পরিবহন পুলে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট যানবাহনের সংখ্যা ৪০টি।

সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ: বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুটপাত তৈরি ও পানির ফোয়ারা স্থাপন, শিশুপার্ক সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধন, লিচু বাগানে গার্ডেনে লাইট স্থাপন, উলম্ব ঝুলন্ত ফুল বাগান, টিএসসি ও ক্যাফেটেরিয়ার  সম্মুখে পার্কিং টাইলস স্থাপন।

বইটির শেষ অংশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন সহ সকল কাজে সফল হতে হলে শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পারস্পরিক মতবিরোধ, দলাদলি ভুলে গিয়ে একাত্ম হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একজন ভাইস-চ্যান্সেলর অর্থনৈতিকভাবে শতভাগ স্বচ্ছ থেকে কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি না করে, কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা দলকে সুযোগ সুবিধা না দেয়া , শুধুমাত্র শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতবিরোধ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ ব্যবহার করে একজন সফল ভাইস চ্যান্সেলরের সকল সফলতা ম্লান করে দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না।

বইটির বিষয়ে মুঠোফোনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে তার একটা সংক্ষিপ্ত তথ্য বিবরণী তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বইটিতে। বানানে কিছু ভুল থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি বইটির মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে না জানা অনেক তথ্য জানা যাবে । সবার জন্য আমার শুভকামনা থাকলো।  আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম এর মেয়াদ ২রা ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। এর প্রায় চার মাস পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান কে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

নিউজজি/ এসআই

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন