শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

বিদেশ

এখনও নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস, নিহত বেড়ে ৭০

নিউজজি ডেস্ক ২৯ এপ্রিল , ২০২৫, ১২:২০:০৩

53
  • ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী বন্দর আব্বাসের কাছে কাছে শহীদ রাজাই বন্দরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৪৮ ঘণ্টা পর। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভানোর জন্য এখনও কাজ করে যাচ্ছে দমকল বাহিনী। এদিকে বন্দরের কিছু কনটেইনার থেকে এখনও বের হচ্ছে নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস। এ অবস্থায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনায়। এ ছাড়া আহতের সংখ্যাও বেড়ে ১,২০০ ছাড়িয়ে গেছে। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা। যদিও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনও আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজাই বন্দরে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পর থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছিল। তবে, দমকা হাওয়া ও কনটেইনারে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে মাঝে মাঝে নতুন করে আগুন ধরে যাচ্ছিল। কিছু কনটেইনার থেকে বিষাক্ত গ্যাসও নির্গত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

হরমোজগান প্রদেশের গভর্নরের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বড় ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর উদ্ধার তৎপরতা চলছে পুরোদমে। কনটেইনারগুলো সরাতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এ ছাড়া ইরানের আইএসএনএ সংবাদসংস্থা জানায়, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি বলেছেন, শহীদ রাজায়ী এলাকায় আগুন মোকাবিলার জাতীয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণের দায়িত্ব এখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের জন্য শহীদ রাজয়ি বন্দরে কনটেইনারে রাসায়নিকের দুর্বল সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফারি। তিনি জানান, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনার মহাপরিচালক এই বন্দর সফরকালে সতর্কতা জারি করেছিলেন এবং বিপদের আশঙ্কার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ইরানের সবচেয়ে বড় এবং উন্নত কনটেইনার বন্দর হিসেবে স্বীকৃত শহীদ রাজয়ি বন্দরটি। দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগরী বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহণ করা হয় এ প্রণালি দিয়ে।

গত কয়েক বছরে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে ইরানের জ্বালানি এবং শিল্প অবকাঠামোতে। এগুলোর বেশিরভাগই শনিবারের বিস্ফোরণের মতো এবং এর জন্য অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে।

নিউজজি/এস দত্ত

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন