মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ , ১৮ রমজান ১৪৪৬

বিদেশ

জাপান ২০৩৫ সালের মধ্যে নির্গমন ৬০ শতাংশ কমাবে

নিউজজি ডেস্ক ১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ১৪:৫২:৫০

56
  • ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: জাপান মঙ্গলবার নতুন নির্ধারিত জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রায় আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০১৩ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ কমাবে।

টোকিও থেকে এএফপি জানায়, প্যারিস চুক্তির অধীনে, প্রতিটি দেশকে ২০৩৫ সালের মধ্যে উষ্ণায়ণের মাত্রা হ্রাসে নির্গমন কমানোর জন্য জাতিসংঘকে একটি সুস্পষ্ট শিরোনাম পরিসংখ্যান এবং এটি কীভাবে অর্জন করা যায় তার একটি বিস্তারিত নীলনকশা প্রদান করার কথা রয়েছে।

জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০৩৫ অর্থবছরের মধ্যে নির্গমন ৬০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য রয়েছে।

টোকিও জাতিসংঘে জমা দেওয়া তার নতুন স্বেচ্ছা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ২০৪০ অর্থবছরের মধ্যে নির্গমন ৭৩ শতাংশ কমানোরও লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

জাতিসংঘের ডাটাবেস ট্র্যাকিং জমা অনুসারে, প্রায় ২০০টি দেশকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন জলবায়ু পরিকল্পনা প্রদানের কথা ছিল কিন্তু মাত্র ১০টি দেশ সময়মতো তা করেছে।

মঙ্গলবার পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রাগুলো বিশ্বব্যাপী ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট শূন্য অর্জনের দিকে।

২০১৬ সালে, জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমনে ২৬ শতাংশ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে জারি করা নবায়নকৃত এনডিসিতেও একই পরিসংখ্যান ছিল, যা প্রচারকদের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়।

২০২১ সালের অক্টোবরে জমা দেওয়া আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্বন কর্তন পরিকল্পনায় ২০১৩ সালের স্তরের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমন ৪৬ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

প্যারিস চুক্তির অধীনে সম্মত নিরাপদ স্তরে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত করতে দশকের শেষ নাগাদ প্রায় অর্ধেক করতে হবে। তবে বিশ্বব্যাপী নির্গমন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মঙ্গলবার, জাপান তার সর্বশেষ কৌশলগত জ্বালানি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এতে ২০৪০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে তার প্রধান শক্তির উৎসে পরিণত করার অভিপ্রায় রয়েছে।

ফুকুশিমা দুর্ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর, টোকিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মাইক্রোচিপ কারখানার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে জাপানকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যাচ্ছে।

২০২৩ সালে জাপানের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ কয়লা, গ্যাস এবং তেল পুড়িয়ে পূরণ করা হয়, যা টোকিও আগামী ১৫ বছরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমাতে চায়।

প্রায় সবই আমদানি করতে হয়, যার ফলে জাপানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং এটি ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের সরকারের লক্ষ্যের পথে একটি বাধা।

নতুন পরিকল্পনার অধীনে, সৌর এবং বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ২০৪০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত বছরের ২৩ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের জন্য পূর্ববর্তী লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ শতাংশ থেকে এটি অনেক বেশি। -বাসস

নিউজজি/পিএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন