শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

বিদেশ

গরিব এক দেশে রুয়ান্ডার মহামারি ঠেকানোর গল্প

নিউজজি ডেস্ক ১২ মে , ২০২১, ১১:৩৩:৪৬

198
  • ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: ১৩ মার্চ দিনটি কখনো ভুলবেন না রুয়ান্ডা বায়োমেডিক্যাল সেন্টারের মহাপরিচালক সাবিন সানজিমানা । গত বছরের সেই দিনটিতেই রুয়ান্ডায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান মিলেছিল।

‘আমার দলকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে’ বলেন তিনি। এই দায়িত্ব বর্তেছিল চিকিত্সক ও মহামারি বিশেষজ্ঞ সানজিমানার ওপর। ‘ইবোলা ভাইরাসের পরীক্ষাও আমাদের ল্যাবে আমরা করেছি। কিন্তু এটা করোনা ভাইরাস। বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা তিন বার পরীক্ষা করে দেখেছিলাম, নিশ্চিত হতে।’ ঐ একটি রোগী শনাক্তের পরই লকডাউন ঘোষণা হয় রুয়ান্ডায়। সেই রুয়ান্ডায় এখন রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজারের কিছু বেশি, এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৩৮ জন।

পূর্ব আফ্রিকার ছোট্ট একটি দেশ রুয়ান্ডা, আয়তন মাত্র ২৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার হলেও সোয়া কোটি জনসংখ্যার কারণে ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এটি। তার ওপর দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ক্ষত বয়ে আসা কৃষিপ্রধান এই দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশপাশ তো বটেই, পশ্চিমা উন্নত অনেক দেশের তুলনায় নগণ্য। তাদের এই সাফল্যের ভিত্তি কী? ‘গণতন্ত্রের পশ্চিমা ধরন বড্ড মেকি, যা করোনা ভাইরাস মহামারি নগ্নভাবে দেখিয়ে দিয়েছে,’ বলেন রুয়ান্ডার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বিনাগাওয়াহো।

কীভাবে দেখাল—তিনি ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘যেখানে কি না বলা হয়! মাস্ক কাজের কিছুই না! এটা যে মিথ্যা, সেটা কিন্তু তারা জানে। কারণ বিজ্ঞান তা প্রমাণ করে দিয়েছে। কিন্তু তারা তবুও বলে। কেন বলে? রাজনৈতিক কারণে, স্বার্থপরতার কারণে। (সেখানে) রাজনীতি হলো হত্যার একটি অস্ত্র। আসলে গণতন্ত্র হতে হয় জনগণকে কেন্দ্র করে, অহমিকার ওপর ভর করে নয়,’ বলেন বিনাগাওয়াহো। ‘আগে স্বাস্থ্য, তা ঠিক হলে অর্থনীতিও চলবে’। গত বছর রুয়ান্ডায় যারই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাকেই নিরাময় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। ‘এই কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকিয়ে রাখা গেছে,’ বলেন ডা. সানজিমানা।

নিউজজি/ এস দত্ত

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন