শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ , ২৫ রজব ১৪৪৬

খেলা
  >
অন্যান্য

দ্রুততম মানবী হয়ে সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেডের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক ৪ আগস্ট , ২০২৪, ১৮:৪৩:০৯

383
  • ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণজয়ের পর জুলিয়ান আলফ্রেড। ছবি-ইন্টারনেট

১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসরে সেন্ট লুসিয়ার অংশগ্রহনই ছিল বড় কথা। এই ৭টি অলিম্পিকে কোনো পদক জয়ের রেকর্ড ছিল না এই দ্বীপ রাষ্ট্রের।

এবার সেই সেন্ট লুসিয়া জুলিয়ান আলফ্রেডের কল্যানে জিতেছে অলিম্পিকের মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্ট মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক। 

মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফেভারিট হিসেবে আলোচনায় ছিলেন জ্যামাইকার ফ্রেসার প্রাইস এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাকারি রিচার্ডসন। ২ নম্বর হিটে ১০.৯৫ সেকেন্ড সময়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ৫ম হয়ে শেষ করা জুলিয়ান আলফ্রেডকে নিয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করেনি সেন্ট লুসিয়া।     

জ্যামাইকার ফ্রেসারর-প্রাইস সেমিফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় জুলিয়ান আলফ্রেড অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখেয়িয়ের সেন্ট লুসিয়াকে। ১০.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবার উপরে থেকে সেমিফাইনালের হার্ডল পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাকারি রিচার্ডসনকে ছুঁড়ে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জ।

ফাইনালে সাকারি রিচার্ডসনকে পেছনে ফেলে জুলিয়ান আলফ্রেড জিতেছেন স্বর্ণপদক। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বের দ্রুততম মানবীর খেতাব পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাকারি রিচার্ডসন ১০.৮৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড়ে জিতেছেন রৌপ্য পদক, একই দেশের মিলিসা জেফারসন ১০.৯২ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। 

সেন্ট লুসিয়ার ২৩ বছর বয়সী স্প্রিন্টার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ইয়ুথ অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রৌপ্য জিতে এসেছেন প্রথম আলোচনায়।২০২২ সালে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসেও পেয়েছেন রৌপ্যপদক।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইয়ুথ এন্ড কমিউনিটি স্টাডিজের উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা জুলিয়ান আলফ্রেড নিজেকে ভালভাবে প্রস্তুত করেই নেমেছেন প্যারিস অলিম্পিকে। স্তাদ দু ফ্রান্সে বৃষ্টিভেজা ট্র্যাকে হৈ চৈ ফেলে দিয়ে জিতলেন স্বর্ণপদক। 

১১ বছর আগে হারিয়েছেন বাবাকে। সেই দুঃস্মৃতি মনে পড়ায় সেন্ট লুসিয়াকে প্রথম স্বর্ণপদক উপহার দেয়ার পর কেঁদেছেন জুলিয়ান আলফ্রেড। স্বর্ণপদকটি বাবাকেই উৎসর্গ করেছেন তিনি- ‘এই পদকটি মূলত সৃষ্টিকর্তা, কোচ এবং সর্বশেষ আমার বাবার জন্য। তিনি বিশ্বাস করতেন, আমি পারব। তিনি (বাবা) ২০১৩ সালে চলে গেছেন।তিনি সব সময়ই তাঁর মেয়ের অলিম্পিয়ান হওয়ার জন্য অহংকার বোধ করবেন। কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেননি।’

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন