মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ , ২১ রজব ১৪৪৬

খেলা
  >
অন্যান্য

তিন বছরের মধ্যে দেশের খেলাধুলার অগ্রগতি দেখতে চান নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী

স্পোর্টস রিপোর্টার ১৪ জানুয়ারি , ২০২৪, ২০:১৩:০১

447
  • সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান পাপন। ছবি-সৌজন্যে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে এক যুগ দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছেন নাজমুল হাসান পাপন।

তার আমলেই বাংলাদেশ জিতেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল জিতেছে উইমেন্স এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে উঠে এসেছে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছে সেমিফাইনাল। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় উঠিয়ে আনা নাজমুল হাসান পাপন রোববার শুরু করেছেন যুবও ক্রীড়া মন্ত্রানালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব।

সঙ্গত কারণে দেশের সকল খেলাধুলায় আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট থাকবেন তিনি, তার কাছে এমনটাই প্রত্যাশা। ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহে তার মেয়াদকালে বর্তমানের অবস্থা থেকে উপরে উঠিয়ে আনতে চান নতুন মন্ত্রী-‘সব খেলা বিশ্বকাপে খেলব, এটা আশা করা ঠিক হবে না। আগে সমস্যাগুলো জানতে হবে। আমাকে প্রথমে সবগুলো ফেডারেশনের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। তাদের লক্ষ্য জানতে হবে। তারপর তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেডারেশনগুলোকে ঠিক করতে হবে। এখন যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে উপরে উঠাতে পারি কি না, তা দেখব।’

তবে দেশের খেলাধুলার মান উন্নয়নে ফেডারেশনসমূহকে তিন বছর সময় বেঁধে দিতে চান তিনি-‘সব খেলা তো আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবে না। এমন অনেকগুলো ফেডারেশন আছে, যারা ইতোমধ্যে ভালো। তবে, তাদের আর্থিক সমস্যা আছে। তারা আমার সঙ্গে বসে আমাকে একটা লক্ষ্য দেবে, বাজেট দেবে। আমি তিন বছর সময় দিব তাদের। যেন অগ্রগতি দেখতে পারি। তারা আমাকে পাঁচ-সাত-দশ বছরের লক্ষ্যমাত্রা দিতেই পারে। তাই বলে আমি এত সময় দেওয়ার পক্ষে না। তিন বছর পর যদি দেখি তারা ভালো করছে, লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সামনের দিকে ভাবব। লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলেও যে ফাইন্যান্স করা বন্ধ হবে তেমনটি নয়, তখন যারা উন্নতির দিকে যাচ্ছে সেদিকে বাড়তি নজর দেব।’

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অধিকাংশ ক্রীড়া ফেডারেশন ধুঁকছে অর্থ সংকটে। সে কারণেই তিনি সরকারী সহায়তার উপর নির্ভর না করে স্পন্সরের ব্যবস্থা করতে চান-‘আমি বিসিবিতে যতটা দেখেছি আমাদের দেশে স্পন্সরের অভাব নেই। তারা চায় যেখানে বিনিয়োগ করছে সেখান থেকে কী পাচ্ছে। ফেডারেশনগুলোকে এটি বুঝতে হবে। সব সময় সরকার দেবে, এমনটা আশা না করে স্পন্সরের ব্যবস্থা করতে হবে।’

উপযোগিতা যাচাই না করে স্টেডিয়াম নির্মাণের পক্ষে নন পাপন। খেলাধুলার নিবিড় চর্চার জন্য খেলার মানসম্পন্ন মাঠকে দিতে চান তিনি গুরুত্ব-‘ক্রীড়া বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ অবকাঠামোগত নির্মাণে, তা জানি। খেলাধুলার উন্নতির জন্য ভৌত অবকাঠামো দরকার। ভাল প্লেয়ার তৈরি করতে গেলেও অবকাঠামো দরকার। খেলার মাঠ, ড্রেসিং রুম, চেঞ্জ রুমের নিশ্চয়তা দরকার। তবে এসব মাঠ হতে হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। দেশে কম স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল হয়নি। কিন্তু অনেক স্টেডিয়াম আছে, যে স্টেডিয়াম তালাবদ্ধ, খেলাধুলা হচ্ছে না। এমন স্টেডিয়াম দরকার নেই। স্টেডিয়াম পরিচর্যা খরচ অনেক। তাই খেলার মাঠ দরকার।’ 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন