রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ , ১৭ শাবান ১৪৪৬

খেলা
  >
ফুটবল

আবারও গোল উৎসব করে রিয়ালকে উড়িয়ে সুপার কাপ বার্সেলোনার

ক্রীড়া ডেস্ক ১৩ জানুয়ারি , ২০২৫, ১০:২৪:৩২

256
  • ছবি: ইন্টারনেট

আরও একবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দাপট দেখাল বার্সেলোনা। তাদের জালে রবিবার রীতিমতো গোল উৎসব করে কাতালানরা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সমর্থকরা আশায় ছিলেন নাটকীয়তার কিছু। তবে তেমনটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাই আরেকটি ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উড়িয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করে বার্সেলোনা। এরআগে গত অক্টোবরে মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় লা লিগায় রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের চার গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা।

সৌদি আরবের জেদ্দায় রোববার রাতের সুপার কাপের ফাইনালে ৫-২ গোলে জেতে বার্সেলোনা। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড কাতালান দলটি আরও সমৃদ্ধ করল ১৫তম ট্রফি জিতে।

কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে রবিবার শুরুতেই অবশ্য পেছনে পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘুঁরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। যে কারণে প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় কাতালানরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি গোলে স্কোরলাইন ৫-১ করে ফেলে তারা। খানিক বাদে তাদের গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর রদ্রিগোর গোলে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারে রিয়াল। জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া, একটি করে লেভানডোভস্কি, ইয়ামাল ও আলেহান্দ্রো বাল্দে।

জেদ্দায় রবিবার তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিউস জুনিয়রের পাস ধরে এগিয়ে যান কিলিয়ান এমবাপে। ডিফেন্ডার বাল্দের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। তবে সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি কাতালাদের। ২২তম মিনিটে, ইয়ামালের চমৎকার গোলে স্বস্তি ফেরে কাতালানদের শিবিরে। পায়ে অস্বস্তি অনুভব করায় ২৯তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেস। তার জায়গায় নামেন রোনাল্দ আরাউহো।

৩৬তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন লেভানডোভস্কি। রিয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে গাভিকে ফাউল করলে শুরুতে সাড়া না দিলেও, ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৭ ম্যাচে ২৬ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে চালকের আসনে বসে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে বক্সে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই জালের দেখা পান বাল্দ। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে শাণানো প্রতি-আক্রমণে রাফিনিয়ার পাস ধরে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

বিরতির পর ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধ থেকে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে এগিয়ে যান রাফিনিয়া, বক্সে একজনকে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৭ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১৯টি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট আছে ১০টি।

বক্সের বাইরে এসে এমবাপেকে ফাউল করে ৫৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পোলিশ গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি। ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে রিপ্লে দেখে এই সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। গাভিকে তুলে নিয়ে ইনিয়াকি পেনিয়াকে পোস্ট সামলানোর জন্য নামান বার্সেলোনা কোচ। একই সঙ্গে ইয়ামালের বদলি নামেন দানি ওলমো। ওই ফ্রি-কিকেই ব্যবধান কমান রদ্রিগো। বল পেনিয়ার হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে জালে জড়ায়। এরপর  বার্সেলোর রক্ষণে আরও চাপ বাড়ায় রিয়াল। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত বড় হারই সঙ্গী হয় তাদের। অন্যদিকে সুপার কাপের শিরোপা জেতায় উল্লাসে মাতে বার্সেলোনা। 

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন