রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ২০ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা
  >
ফুটবল

নাটকীয়তায় ভরা রিয়াল-সিটির লড়াইয়ে কেউ জেতেনি

ক্রীড়া ডেস্ক ১০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৫৮:৩৫

187
  • ছবি: ইন্টারনেট

চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের ম্যাচ। মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি। স্বাভাবিকভাবে তাই উত্তেজনার পারদটা দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ছিল বেশি। সেটাই মঙ্গলবার শুরু থেকেই দেখা গেল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। চল্লিশ সেকেন্ডের মধ্যে ফ্রি কিক পেল ম্যানচেস্টার সিটি, পরের মিনিটে গোল। ওই ধাক্কা সামলে পাল্টা জবাবে দুই মিনিটে দুবার জালে বল পাঠাল রিয়াল মাদ্রিদ। ফুটবলের গতি মাঝে-মধ্যে কিছুটা কমল বাড়ল; কিন্তু উত্তেজনা আর উন্মাদনায় ঘাটতি পড়ল না মুহূর্তের জন্যও। শেষ পর্যন্ত চলা গোল-পাল্টা গোলের লড়াইয়ে কেউ হারেনি আবার কেউ জেতেনি। 

মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগ ৩-৩ ড্র হয়েছে। বের্নার্দো সিলভার দারুণ ফ্রি কিকে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পর তাদেরই আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপরই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন রদ্রিগো। দ্বিতীয়ার্ধে ফিল ফোডেন ও ইয়োশকো ভার্দিওলের চমৎকার দুটি গোলে ফের এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার দল। খানিক পরই অবশ্য সমতা টানেন ফেদেরিকো ভালভের্দে। 

বার্নাব্যুতে মঙ্গলবার ম্যানসিটি-রিয়ালের লড়াইয়ের শুরুটা হয় ৪০তম সেকেন্ডে। সে সময় জ্যাক গ্রিলিশ প্রতিপক্ষ শিবিরে ছড়ান ভীতি। তাকে আটকাতে ছুটে গিয়ে ফাউল করে বসলেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, দেখলেন হলুদ কার্ড। কার্ডের খাড়াতেই ফিরতি লেগে সম্ভাবনাময় এই মিডফিল্ডারকে পাবে না রিয়াল।  ওই ফ্রি কিকেই গোল আদায় করে নেয় সিটি। ২৫ গজ দূর থেকে জোরাল নিচু শট নেন বের্নার্দো সিলভা, একটু দেরিতে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনের হাতে লেগে বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে! 

সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে এবার আর ভুল করেননি লুনিন। আর্লিং হলান্ডের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।  এরপরই যেন তেতে ওঠে রিয়াল। খানিক বাদেই দুই মিনিটে দুই গোল করে প্রতিপক্ষকে হতভম্ব করে দেয় তারা।  ভাগ্যের সহায়তাও যথেষ্ট পায় তারা। দ্বাদশ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন কামাভিঙ্গা, বল সামনে সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াসের গায়ে লেগে দিক পাল্টে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। 

কিছুক্ষণ পরেই এগিয়ে যায় রিয়াল। এবার ভিনিসিউসের দারুণ পাস ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। শুরুতে এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে গোলরক্ষকের প্রসারিত পায়ে লেগে গড়াতে গড়াতে চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে। 

৫৩তম মিনিটে ডি-বক্সে দুজনের বাধা এড়িয়ে জুড বেলিংহ্যামের নেওয়া শট দূরের পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়। আর বক্সের মধ্যে থেকেই ভিনিসিউসের শট ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায়। 

দারুণ ছন্দে থাকা ফোডেন ৬৬তম মিনিটে চমৎকার নৈপুণ্যে সিটিকে সমতায় ফেরান। ডান দিক থেকে সিলভার পাস বক্সের বাইরে ডান পায়ে ধরেই বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি লুনিন। এর ৫ মিনিট পর ভার্দিওল অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন। বক্সের মধ্যে থেকে গ্রিলিশের কাটব্যাক ধরে, একটু জায়গা বানিয়ে ২০ গজ দূর থেকে বাঁকানো শট নিলেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার, বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে খুঁজে পায় ঠিকানা। 

তবে, এমন রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের নাটকীয়তার যে শেষ নেই, তারই আরেক দফা প্রমাণ মেলে ৭৯তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে ডান দিকে মাপা ক্রস বাড়ালেন ভিনিসিউস, আর ছুটে এসে বুলেট গতির ভলি করলেন ভালভের্দে। গোলরক্ষকসহ সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট বল জড়ায় জালে।  নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওযার সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল; কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি দানি কারভাহাল। 

চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগে রিয়াল-সিটির লড়াইয়ে কেউ না জেতায় দুই দলের চোখ এখন ফিরতি লেগে। যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী আগামী বুধবার সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। 

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন