মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৮ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকার রান পাহাড়, ফের হতাশার ব্যাটিং বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক ৩০ অক্টোবর , ২০২৪, ১৭:৫০:০৪

103
  • ছবি: ইন্টারনেট

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে দাপুটের সঙ্গে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারীদের তিন ব্যাটার তুলে নেন সেঞ্চুরি। সে সুবাদে বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম স্কোর দাঁড় করায়। ঠিক সেখানেই ব্যাট হাতে জবাব দিতে নেমে বুধবার শুরুতেই ব্যর্থতার পরিচয় দেয় টাইগার টপঅর্ডার। পরে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে এসেও সুবিধা করতে পারেননি পেসার হাসান মাহমুদ। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নাম টিম বাংলাদেশ পড়েছে বড় বিপদেই। 

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান। সেই রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। উইকেটে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন(৪*) ও মুমিনুল হক(৬*)। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে আছে ৫৩৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন—ডি জর্জি, স্টাবস ও মুল্ডার। তাইজুল নিয়েছেন ৫ উইকেট।

বিশাল স্কোরের পেছনে ছোটার শুরুতেই শেস বিকেলে সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সাদমান ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তাতে বল এজ হয়ে যায় উইকেটকিপার ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মার্করাম। আল্ট্রাএজে সাদমানের ব্যাটে বড় এজ ধরা পড়ে। তাতে তিনি ফেরেন খালি হাতেই।

সাদমান ফেরার কিছুক্ষণ পরেই সাজঘরের পথ ধরেন জাকির হাসান। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলটিকে ব্যাক ফুট পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেটা না পারায় বল চলে যায় উইকেটকিপার হাতে। এরপর অবশ্য রিভিউ নেন তিনি। তবে সফল হয়নি। 

সাদমান–জাকিরের পরই দ্রুতই আউট হন মাহমুদুল হাসান। ডেন প্যাটারসনের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মার্করামের হাতে ক্যাচ দেন এ ওপেনপার। তিন টফঅর্ডার ফিরলে 'নাইটওয়াচম্যান' হিসেবে এসেছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তবে তিনিও হতাশ করেন। দিনের একবারে শেষ দিকে স্পিনার কেশব মহারাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তাই বাধ্য হয়ে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন(৪*) ও মুমিনুল হক(৬*)।

এরআগে ৩০৭ রান নিয়ে বুধবার দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার টনি ডি জর্জি ও স্টাবস। দারুণ খেলে তারা জুটিতে তোলে ২০১ রান। এরমধ্যেই সেঞ্চুরি করেন  স্টাবস। এরপর ফেরেন তিনি। তারপরও হতাশা কমেনি টাইগারদের।

তবে লাঞ্চের আগে পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটে জমে যাওয়া টনি ডি জর্জি ও ডেভিড বেডিংহামকে ৯৯তম ও ১০১তম ওভারে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে এসে ফেরান কাইল ভেরায়েনেকে। 

৩৮৬ থেকে ৩৯১- এই ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা চাপে ফেলেছিলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর মুলডারের সঙ্গে রায়ান রিকেলটনের ৩২ রানের জুটি ভাঙেন পেসার নাহিদ রানা। রিকেলটনকে (৪১ বলে ১২) রানে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতের ক্যাচ বানান ডানহাতি টাইগার পেসার।

রিকেলটন ফেরার পর জুটি গড়েন উইয়ান মুল্ডার ও সেনুরান মাতুসামি। শেষ পর্যন্ত দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠে ১৫৪ রান। ১০৫ রানে মুল্ডার ও ৭০ রানে অপরাজিত মাতুসামি।

তাইজুল একাই নেন ৫ উইকেট। এদিকে নাহিদ রানা নেন ১টি উইকেট। 

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন