সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ , ১৭ রমজান ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

প্রিমিয়ার লিগকে টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন জাহানারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ১২ জুলাই , ২০২৪, ২০:৪৯:৪৯

378
  • জাহানারা আলম। ছবি-বিসিবির ভিডিও থেকে নেয়া

২০০৭ সালে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পথচলার শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন দলে নিয়মিত। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে অমিতব্যয়ী বোলিংয়ে বাদ পড়েছেন দল থেকে।

জাতীয় দলে ফিরতে এই এক বছর করেছেন জাহানারা কঠোর পরিশ্রম। সর্বশেষ নারী প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী অধিনায়ক জাহানারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৫টি উইকেট।

ফিটনেস অনুশীলনে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই নারী পেসার- ‘দীর্ঘ এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছি, আল্লাহ'র কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ। এই ১২ মাসের মধ্যে ৯ মাস আমি মাসকো ক্রিকেট একাডেমীতে ট্রেনিং করেছি।  সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন, উনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। চেষ্টা করেছি সামনের এশিয়া কাপের জন্য খুব ভালোভাবে প্রস্তুত হতে।’

নারী প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনী রানার্স আপ হয়েছে জাহানারার পারফরমেন্সে। প্রিমিয়ার ডিভিশনের এই পারফরমেন্সকে জাতীয় দলে ফেরার টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন জাহানারা- ‘প্রিমিয়ার লিগের আগে দলের বাইরে ছিলাম। সেখানেও চেষ্টা করেছি নিজেকে তৈরি করতে। প্রিমিয়ার লিগ আমার জন্য টার্নিং টুর্নামেন্ট ছিল। এখন জাতীয় দলের ক্যাম্প চলছে। আশা করি, এই প্রস্তুতি ম্যাচে পারফরম্যান্সে মেলে ধরতে সহায়তা করবে আমার জন্য।’ 

হ্যান্ডবল, ভলিবল থেকে ক্রিকেট- ৯ বছর বয়স থেকে খেলাধুলায় সিরিয়াস জাহানারা নিজেকে ফিটনেস ফ্রিক বলে মনে করেন জাহানারা-‘আমি সবসময়ই ফিটনেস-ফ্রিক। ৯ বছর বয়স থেকেই খেলাধুল করি, সেটা হ্যান্ডবল, ভলিবল আন্তস্কুল, আন্তজেলা, আন্তবিভাগ, তখন থেকেই আসলে শুরু। ২০০৭ সালে যখন ক্রিকেট শুরু করি, তখন থেকে চেষ্টা করেছি যেন ফিটনেস ভালো পর্যায়ে থাকে। একই পেস মেন্টেইন করতে পেরেছি। সাড়ে ১৫ বছর জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়েছি, সাড়ে ১৭ বছর আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সবকিছু মিলিয়ে এখনও যে লেভেলে ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করি বা অনুশীলন করি, ওই ‘পাওয়ার জেনারেট’ আমাকে সহায়তা করে গতি ও ফিটনেস ধরে রাখতে।’ 

এক সময় উইকেট শিকারে সালমা খাতুন, রোমানা আহমেদের সঙ্গে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিলেন জাহানারা। এক বছর দলের বাইরে থাকায় পেছন থেকে জাহানারাকে টপকে গেছেন নাহিদা আক্তার (৪৩ ওডিআই ম্যাচে ৫৩ উইকেট)।

প্রত্যাবর্তন টুর্নামেন্টে মাইলস্টোনের হাতছানি দিচ্ছে জাহানারার সামনে (৫২ ওডিআই ম্যাচে ৪৮ উইকেট)। আর দুটি উইকেট পেলে সালমা, রোমানা, নাহিদার পর চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন জাহানারা। এশিয়া কাপে এ লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি প্রতিটি ম্যাচে অবদান রাখতে চান জাহানারা- ‘আবারও বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারব, এটা অনেক ভালো অনুভূতি। ব্যক্তিগতভাবে নিজের লক্ষ্য থাকবে যেন প্রত্যেকটি ম্যাচে খুব ভালো অবদান রাখতে পারি দলের জয়ে।’ 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন