পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর আজম

এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি বাবর আজম। যে কারণে তার অধিনায়কত্ব পড়েছিল সমালোচনার মুখে। ব্যাপারটি নিজেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন বাবর নিজেই। তাইতো তিনি আজ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বাবর নিজেই এই ঘোষণা দেন। নেতৃত্ব ছাড়লেও তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার আগে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে দেখা করেন বাবর। 

এরআগে ২০১৯ সালে সাদা বলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বাবর। টেস্টের দায়িত্ব পান ২০২০ সালে। চার বছর ধরে অধিনায়কত্ব করলেও তাঁর নেতৃত্বে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাবেক ক্রিকেটারদের। এ সময়ে পাকিস্তান কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টও জেতেনি। তবে এ বছর ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। তার অধীনে ২০ টেস্টে অংশ নিয়ে ১০টিতে জয় পায় পাকিস্তান। ৪৩ ওয়ানডে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানকে ২৬ ম্যাচে জয় উপহার দেন বাবর। আর টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪২ ম্যাচে জয় উপহার দেন বাবর। 

ভারত বিশ্বকাপে বাবর নিজেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৯ ইনিংসে ৪০ গড়ে করেন ৩২০ রান। দলের নেতৃত্ব বাবরের ব্যাটেও ছাপ ফেলেছে বলে সমালোচনা আরও জোরালো হয়।  এ সব নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে বুধবার পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান বাবর। পাকিস্তানের জিও সুপার জানায়, বাবরকে শুধু টেস্ট অধিনায়কত্ব রেখে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি।

বুধবার ইনস্টাগ্রামে পদত্যাগ-বার্তা পোস্ট করেন বাবর। সেখানে চার বছরের অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরা তিনি লিখেছেন, ‘এ সময়ে আমি মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছি। তবে সব সময়ই ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানের গৌরব ও সম্মান বজায় রাখার দিকে লক্ষ্য রেখেছি। আজ আমি পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সব সংস্করণ থেকে পদত্যাগ করছি। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত, তবে আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়।’ 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাবর আজমের অবর্তমানে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন শান মাসুদ, টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পেতে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

নিউজজি/সিআর