শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ১২ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

ওয়ার্নার-মার্শের দাপুটে সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক ২০ অক্টোবর , ২০২৩, ১৮:৩১:০১

255
  • ছবি: ক্রিকইনফো

ডেভিড ওয়ার্নার জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের বোলারদের যে কী হয় সেটাই শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে দেখা গেল। এ ব্যাটার শুরু থেকেই এদিন ব্যাট হাতে তান্ডব চালান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার মিশেল মার্শ। উভয় ব্যাটারই একটা পর্যায়ে তুলে নেন দাপুটে সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়াও ছোটে রান পাহাড়ের দিকে। ঠিক সে সময়ই ফেরেন মার্শ। তবে দমে যাননি ওয়ার্নার। এ ব্যাটার নিজের সেঞ্চুরি ইনিংসটাকে টেনে নেন দেড়শ রানে। ইনিংস আরও বড় করার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে ১৬৩ রানে থামান হারিস রওফ। তারপরও অজিদের রান পাহাড়ে ওঠা ঠেকাতে পারেনি পাকিস্তান। 

বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান। ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৪ চার ও ৯ ছয়ে করেন ১৬৩ রান। এদিকে মার্শের ব্যাট থেকে আসে ১০৮ বলে ১০ চার ও ৯ ছয়ে ১২১ রান। 
 
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৫৪ রানে নেন ৫ উইকেট। এদিকে হারিস রওফ নেন ৮৩ রানে নেন ৩ উইকেট। 
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ওয়ার্নার ও মার্শ। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে হয়েছে আরেকটি রেকর্ড। তারা তোলেন ২৫৯ রান। যা বিশ্বকাপে দলটির ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৩ রান ছিল এতদিন সেরা।
 
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন  পাকিস্তানের একাদশে জায়গা পাওয়া লেগ স্পিনার উসামা মীর। কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ নিয়ে ঝড় তুলেছেন ওয়ার্নার। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সেই ইনিংস তিনি টেনে নেন ১৬৩ রান পর্যন্ত। তাকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান হারিস রওফ। 
 
ওয়ার্নারকে শুক্রবার যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শতক হাঁকান মিচেল মার্শ। ৩১ তম ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান মার্শ। ১০ চার ও ৬ ছক্কায় বরাবর ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেন এই ওপেনার।
 
মার্শের সেঞ্চুরিতেও হয়েছে রেকর্ড। আজ অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনারের জন্মদিন। বিশ্বকাপে জন্মদিনে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের রস টেইলর এই কীর্তি গড়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১৩১ রানের অনবদ্য খেলেছিলেন কিউই ব্যাটার। 
 
সেঞ্চুরির পর ঝড় তোলার চেষ্টা করেন মার্শ। তবে সেটা বেশিক্ষণ করতে পারেননি তিনি। তাকে ইনিংসের ৩৪তম ওভারের ৫ম বলে থামান আফ্রিদি। 
 
মার্শ ও ওয়ার্নার ফেরার পর পথ হারায় অস্ট্রেলিয়া। ঠিক সে সময় থেকেই বোলিংয়ে ছন্দ খুঁজে পায় পাকিস্তান। বিশেষ করে শাহিন আফ্রিদি। এ পেসার শেষ দিকে দেখান কারিশমা। তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। 
 
নিউজজি/সিআর   

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন