শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯ , ৯ রমজান ১৪৪৪

খেলা
  >
ক্রিকেট

হ্যাটট্রিক হারের পর হ্যাটট্রিক জয় কুমিল্লার

স্পোর্টস রিপোর্টার ১৯ জানুয়ারি , ২০২৩, ১৭:৪৫:৫৭

136
  • ঝড়ো ইনিংসের পথে খুশদিল শাহ'র একটি শট। ছবি-ক্রিকইনফো

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৮৪/৪ (২০.০ ওভারে)

ঢাকা ডমিনেটর্স : ১৫১/৫ (২০.০ ওভারে)

ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩৩ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : খুশদিল শাহ (কুমিল্লা)।

সাগরিকায় এদিন ঝড় উঠেছে খুশদিল শাহ'র ব্যাটিংয়ে। বিপিএলে তৃতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির (১৮ বলে) রেকর্ড করেছেন এদিন খুশদিল শাহ।তার ব্যাটিং তাণ্ডবে (২৪ বলে ৭ চার, ৫ ছক্কা) শেষ ৩০ বলে কুমিল্লা যোগ করেছে ৮৪ রান।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেয়েছে বড় পুঁজি (১৮৪/৪)।১৮৫ রানের চ্যালেঞ্জ পাাড়ি দিতে পারেনি ঢাকা ডমিনেটর্স। শেষ দিকে এসে অধিনায়ক নাসির চেষ্টা করেছেন সাধ্যমত। তবে তার ৪৫ বলে ৬৬ রানের হার না মানা ইনিংসেও লাভ হয়নি। ঢাকা ডমিনেটর্স হেরেছে ৩৩ রানে।

হ্যাটট্রিক হারের পর চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে হ্যাটট্রিক জয়ে কোয়ালিফাইয়ারের কক্ষপথে আছে এখন অর্থমন্ত্রীর দলটি।

গত বছরের অক্টোবরে হোমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে বাদ পড়েছেন খুশদিল শাহ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলে জায়গা ফিরে পেতে বিপিএলকে প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই বাঁ হাতি মিডল অর্ডার। সাগরিকায় তার ব্যাটিং ঝড় দেখেছে বৃহস্পতিবার দর্শক। 

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ঢাকা ডমিনেটর্স পেসার তাসকিন লিটনকে (০) শিকারে করেছেন উৎসব।ইনফর্ম লিটনকে হারিয়েও কুমিল্লাকে দুর্ভাবনায় পড়তে দেননি রিজওয়ান-ইমরুল। ৪২ বলে এই জুটির ৪২ রানে ইমরুল কায়েসের অবদান ২৬ বলে ৩৩। নাসিরকে সুইপ করতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন তিনি। জনসন চার্লস এসে দিয়েছেন রিজওয়ানকে সাপোর্ট। ইমরানের বলে লং অনে ক্যাচ দেয়ার আগে জনসন চার্লস করেছেন ১৯ বলে ২০ রান।

৭ম থেকে ১৫-এই ৯ ওভারে ৫৮ রান করায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে খুশদিল এসেই তুলেছেন ব্যাটে ঝড়। বাঁ হাতি আফগান স্পিনার আমির হামজাকে ১৬তম ওভারে মেরেছেন খুশদিল ৩ ছক্কা, ২ চার! ওই ওভারে এসেছে ২৯রান। পরের ওভারে মোক্তার আলীকে মেরেছেন ২ ছক্কা, ১ চার। ওই ওভারে এসেছে ২০ রান।

১৮তম ওভারে মোহাম্মদ ইমরানকে মেরেছেন টানা ৩টি চার। ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকারকে অনসাইডে খেলতে যেয়ে খুশদিল থেমেছেন এলবিডাব্লুউতে (২৪ বলে ৭ চার, ৫ ছক্কায় ৬৪)। মোক্তার আলীর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ৩২ রানের মাথায় দিয়েছিলেন ক্যাচ রিজওয়ান। রবীন দাস সেই ক্যাচটি ফেলে দিলে ফিফটি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান (৪৭ বলে ১ চার, ৩ ছক্কায় ৫৫)। ৪৮ রান পূর্ণ করে টি-২০ ক্রিকেটে ৬ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদ এদিন পেয়েছেন রিজওয়ান।

এই ম্যাচে একটু বেশিই মার খেয়েছেন আফগান বাঁ হাতি স্পিনার আমির হামজা (৪-০-৫১-০)। লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন খেলার সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি (২-০-১৭-০)। তবে তাসকিন ঠিকই সুনামের সাথে বল করেছেন (৪-০-২৬-১)।

জবাব দিতে এসে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ব্যাকফুটে নেমেছে ঢাকা (৩৪/২)।থার্ডম্যান থেকে খুশদিলের ডাইরেক্ট থ্রো-তে আহমেদ শেহজাদ রান আউট (১৯) এবং মোসাদ্দেকের বলে মিঠুন ডিপ মিড উইকেটে (৩৪ বলে ৩৬) ক্যাচ দিলে শেষ পাওয়ার প্লে-এর ৩০ বলে ৯০ রান দুরুহ হয়ে পড়ে ঢাকা ডমিনেটর্সের পক্ষে।

সেখান থেকে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে ব্যবধান কমাতে পেরেছেন নাসির (৪৫ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ৬৬*) এবং আরিফুল (১৭ বলে ২৪)। অবিচ্ছিন্ন এই পার্টনারশিপ ৩৫ বলে ৬৬ রান যোগ করলে হারের ব্যাবধানটা ৩৩ রানে নামিয়ে এনেছে ঢাকা ডমিনেটর্স। এদিন কুমিল্লার বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর করেছেন দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং (৪-০-১২-১)।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন