শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ১৭:১৫:১০

119
  • ছবি: ইন্টারনেট

লম্বা সময় পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। তবে তাদেরকে মঙ্গলবার আরও একবার হতাশা উপহার দিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। প্রতিপক্ষকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এ টুর্নামেন্টের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। শুধু তাই নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের রেকর্ডটাকে আরেকটু উঁচুতে তুলে নিলো তারা। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে মোহামেডানকে ২৪০ রানে থামিয়ে রাখে আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ৪০.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। দলীয় অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৭৮ রানে। আর মোহাম্মদ মিথুন  অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে। 

জবাব দিতে নেমে মঙ্গলবার ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মোসাদ্দেক ও মিথুন। তারা ১৩৫ রানে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই শিরোপা আনন্দে মাতান। 

এই ম্যাচের আগে ডিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে এগিয়েই ছিল আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে না জিতলে আজকের অলিখিত ফাইনালেও নামতে হতো না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। সেক্ষেত্রে আবাহনীর শিরোপার অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ হয়েছিল কেবল।

জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। এ হিসাব সামনে নিয়ে মঙ্গলবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নামে দুই দল। নিষেধাজ্ঞায় অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে হারিয়ে ফেলা মোহামেডানের শুরুটা খারাপ ছিল না। তাওফিক খানকে (১৬) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রনি তালুকদার ৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন। নবম ওভারের প্রথম বলে আবাহনীর পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তাওফিককে ফেরান। ১২তম ওভারে আরেক পেসার রিপন মণ্ডলের শিকার রনি। ৪৭ বলে ৪৫ রান করে অধিনায়কের বিদায়ের পর মন্থর হয়ে যায় মোহামেডানের রান তোলার গতি।

এরপর মোহামেডানের মিডলঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন (৫৬ বলে ৪২), মাহমুদউল্লাহ (৬২ বলে ৫০) ও আরিফুল ইসলাম (৫৭ বলে ৫০) রান পেলেও ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৪০ রান করতে পারে তারা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শাহরিয়ার কমলকে হারায় আবাহনী। এরপর ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন জিশান আলমকে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান। পারভেজ ২৮ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার পর ৭৭ রানে আবাহনী হারায় এসএম মেহরবকেও। ভালো খেলতে থাকা জিশান ৫৩ বলে ৫৫ করে আউট হন দলকে ১০৮ রানে রেখে। যে কারণে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শঙ্কা জাগে। শেষ পর্যন্ত সেটা পঞ্চম উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি বেঁধে দূর করেন মিথুন-মোসাদ্দেক। 

নিউজজি/সিআর/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন