শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

সিলেট টেস্ট: বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং, দিনটা শুধুই জিম্বাবুয়ের

ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১৯:১৭:৫৪

507
  • ছবি: ক্রিকইনফো

টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুঃচিন্তা অনেক দিনের। তবে এবার ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে নামার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুনিয়েছিলেন আশার বানী। তবে সেটা অন্তত রবিবার সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাঠে দেখাতে পারেনি টিম টাইগার্স। আগের মতই হতশ্রী ব্যাটিং উপহার দিয়েছে স্বাগতিকরা। এদিকে বল হাতেও সুফল পাননি নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা। যে কারনে এদিনটা পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।  

রবিবার আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ১৪.১ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছেন ৬৭ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের জন্য এটা ওপেনিং জুটিতে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রান। বেনেট ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত, কারেন ৪৯ বলে ১৭ রানে। প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৭৫.১ ওভার, জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে ১২৪ রানে। এরআগে বাংলাদেশ দল গুটি য়ে যায় মাত্র  ১৯১ রানে। 

সিলেটের উইকেটে শনিবার সকাল থেকেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট করতে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সেখানেই 

শেষ বিকেলে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বোলারদের শাসন করেছেন সফরকারী দলের বেনেট। ৬ চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৪০ রান তার। বেন কারেন অবশ্য টেস্টই খেলেছেন। ৪৯ বলে করেছেন ১৭ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক চার বোলার ব্যবহার করেও পাননি উইকেটের দেখা। 

এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের আগেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। নিয়াগুচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দুই ওপেনার সাদমান এবং জয়। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ১৯১ পর্যন্ত টেনে নেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই জুটিরই।  লাঞ্চের পর অবশ্য এত সুসমইয় থাকেনি। দলীয় ৯৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত। ব্লেসিং মুজারাবানির দিনের প্রথম শিকার তিনি। মুশফিককে নিয়ে মুমিনুল পরের উইকেটে যোগ করেন আরও ২৫ রান। তবে সেখান থেকেই শুরু হয় বিপর্যয়ের। ১২৩ থেকে ১৩৭ রানে যেতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৫৬ রান করলেও মুশফিক করেন মোটে ৪ রান। আর মিরাজ আউট হন ১ রান করে। 

দলীয় ১৪৬ রানে তাইজুল ইসলাম ফিরে গেলে বড় স্কোরের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাইয় বাংলাদেশের। তবু ৮ম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন জাকের আলী অনিক। তবে সেটা বাংলাদেশকে নিতে পারেনি দুইশ পর্যন্ত। ওয়েসলি মাধেভেরে এবং মুজারাবানি মিলে বাংলাদেশকে আটকে দেন ১৯১ রানেই। এই সংগ্রহ ফিরিয়ে এনেছে বিব্রতকর রেকর্ডও। সবশেষ ২০০১ সালে এমন এক দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকায় সেদিন বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৭ রানে। এরপর আর কখনোই দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২০০ এর নিচে অলআউট হয়নি টাইগাররা। সেটা হলো একেবারে দুই যুগ পর এসে।

মুজারাবানি উইকেট নিয়েছেন ৩টি। প্রথম দিনে নাহিদ রানার সঙ্গে লড়াইয়ে আপাতত এগিয়েই আছেন এই পেসার। বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (মাহমুদুল ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, নাজমুল ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ রানা ০; মুজারাবানি ৩/৫০, মাসাকাদজা ৩/২১, মাধেভেরে ২/২, নিয়াউচি ২/৭৪, এনগারাভা ০/৩৭)।

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০ (বেনেট ৪০*, কারেন ১৭*; হাসান ০/১৬, নাহিদ রানা ০/২১, খালেদ ০/১১, মিরাজ ০/১০)।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন