মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ১ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

‘১০-১২ বছর খেললেও সিনিয়র হতে পারিনি’

ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ১৪, ২০২৫, ২১:৩৬:৩২

125
  • ছবি: ইন্টারনেট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর অনেক সময়। কিন্তু এতোদিন খেললেও লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের প্রজন্মটা এখনও সেভাবে সিনিয়র তকমাটা পায়নি। মাঠের ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের অধারাবাহিকতা যেখানে বড় কারণ। 

১০-১২ বছর জাতীয় দলে খেললেও সিনিয়র হতে না পারার ব্যাপারে আফসোস রয়েছে সৌম্যর। দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে তাদের (সাকিব-মুশফিকদের) সঙ্গেই খেলে গেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধারায় কী ঘটে? এক প্রজন্ম খেলে চলে গেছে, এরপর পরের প্রজন্ম এসে সেটা এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। তাদের সঙ্গেই আমরা ১০-১২ বছর খেলে গেছি। আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তৈরি হয়নি। তারাই সব ছিলেন। ওনারা সিনিয়র, আমরা কখনো সিনিয়র হতে পারিনি। ওনারাই সিনিয়র থেকে গেছেন। যাদের নাম বললেন (তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজ...), দেখবেন কদিন পর এদেরই অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। এদের কোনো প্রজন্মই তৈরি হবে না। ওনাদের (পাঁচ সিনিয়র) সঙ্গে আমরা যারা এত দিন খেলেছি, আমাদেরই (খেলা) ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এরা (সৌম্য-তাসকিন-মোস্তাফিজ...) অনেক আগে সিনিয়র হলেও সিনিয়র-তকমা কখনও পায়নি।’

সাকিব-তামিমরা মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরবর্তী পর্যায়ে নিতে পেরেছিলেন, যার ফলে জুটেছিল সিনিয়র তকমাটা। সৌম্য-লিটনরা কতটুকু তা পেরেছেন সেই প্রশ্নও তোলা যায় চাইলে। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন সৌম্যও, ‘যখন তারা শুরু করেছিলেন (সাকিব-তামিমরা), তাদের সময়ে যারা সিনিয়র ছিলেন, বেশি দিন জাতীয় দলে ছিলেন না। যেমন —হাবিবুল বাশার সুমন, (মোহাম্মদ) রফিক ভাইদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন প্রায় শেষ, তখন এরা (সাকিব-তামিমরা) দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন, অনেকটা সিনিয়র হয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। যেমন সাকিব ভাই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। মুশফিক ভাই পাঁচ বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। তখন কী হয়েছে? তারা সিনিয়রদের সামলেছেন, জুনিয়রদেরও সামলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। আমরাও যদি তাদের মতো ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেতাম, তাদের (সিনিয়রদের) পরিচালনা করার সুযোগ মিলত, তখন পরিণতবোধ বাড়ত। সবাইকে নিয়ে একটা দল কীভাবে চালাতে হয়, সেটা ভালোভাবে শেখা যেত।’

২০১৫, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন সৌম্য সরকার। খেলেছেন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। বয়সও পার করে ফেলেছেন ৩০ এর কোটা। তবে এত দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাটিয়ে দিলেও এত এত সুযোগ পেয়েও এখনও সেভাবে ধারাবাহিক হতে পারেননি সৌম্য। তাই সিনিয়র হয়ে ওঠাও আর হয় না। এত কিছুর সমাধান আপাতদৃষ্টিতে একটিই – বড় মঞ্চে স্মরণীয় কোনো পারফরম্যান্স। 

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন