রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ , ১৭ শাবান ১৪৪৬

খেলা

তীরে এসে তরী ডুবল খুলনার

ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারী ১৪, ২০২৫, ০০:০০:৫৬

135
  • ছবি: ইন্টারনেট

জয়ের জন্য ষেষ ১৮ বলে খলনা টাইগার্সের দরকার ১৮ বলে ২২ রান। হাতে ৭ উইকেট। এমন সমীকরন হঠাৎ করেই ১ বলের ব্যবধানে পাল্টে গেল। তাই খুলনাও তীরে এসে তরী ডুবল। এমন ম্যাচ রংপুর রাইডার্সের কাছে তারা হেরে গেল ৮ রানে।

সোমবার সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স হারল অদ্ভুতভাবে। রংপুরের ১৮৬ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান থেকে ১৭৮ রানে থেমে গেল তারা।

১৮তম ওভারে খুলনা করতে পারে মাত্র ৪ রান। হারায আফিফ হোসেনের উইকেট। এরপর ১৯তম ওভারে ৬ রান তুলে খুলনা হারালো আরও ২ উইকেট। শেষ ৬ বলে জেতার জন্য তাই ১২ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায় খুলনার। কিন্তু ওই ওভারে স্রেফ ২ রান তুলে তারা হারায় ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শেষ ওভারে পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ব্যাটে যেন লাগাতেই পারছিলেন না, যেটা লাগালেন তাতে দুই রান নিতে গিয়ে হলেন রান আউট। পরের বলে রান আউট হলেন নাসুম আহমেদ, পঞ্চম বলে আবু হায়দার রনি ধরা দিলেন বাউন্ডারি লাইনে।

খুশদিল শাহর ব্যাটে পাওয়া লড়াইয়ের পুঁজি নিয়েও স্বস্তিতে ছিলো না রংপুর রাইডার্স। নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনদের ব্যাটে সহজ জয়ের রাস্তাতেই ছিলো খুলনা। সেই ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে তারা।

এই জয়ে টানা সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রংপুর। ৫ ম্যাচে ৩ হারে ধুঁকছে খুলনা।

১৮৭ রানের লক্ষ্যে থেলতে নেমে ভাল কিছুর আভাস দেন দারবিশ রাসুলি। তবে ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনি বোল্ড হন আকিফ জাভেদের বলে। দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম শেখের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন মেহেদী আসান মিরাজ। তবে অধিনায়ক মিরাজ ২৪ বলে ৩৯ করে শেষ পর্যন্ত আউট হন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে। নাঈম রান বাড়াচ্ছিলেন, দলের সমীকরণ সহজ হচ্ছিলো তার ব্যাটে। তবে এই বাঁহাতি ফিফট পেরিয়ে অসময়ে থামান দৌঁড়। শেখ মেহেদীর সোজা বলে বোলারের হাতেই তুলে দেন ক্যাচ। ৪১ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ফেরেন ৫৮ রান করে।

এরপর আফিফ দলকে রেখেছিলেন জেতার পথে, কিন্তু শেষ দিকে সমীকরণ আচমকা ধসে মেলাতে পারেনি তারা। এরআগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা হারায় দুই উইকেট। তবে ওপেনার তৌফিক খান তুষার এক পাশ টিকেছিলেন, খুব বেশি আগ্রাসী হতে পারেননি এই ডানহাতি। ৩০ বলে ৩৬ করে তিনি যখন উট হন তখন পেরিয়ে গেছে দশ ওভার, স্কোর বোর্ডে কেবল ৭০ রান। ওই পরিস্থিতিতে রানের চাকায় গতি আনেন দুই পাকিস্তানি ইফতেখার ও খুশদিল।

আহমেদকে টানা চার ছক্কায় রান বাড়ান খুশদিল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১৫ রান। একদম শেষ ওভারে গিয়ে ভাঙে ওই জুটি। ইফতেখার ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান। মাত্র ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৬ ছক্কায় ৭৩ করেন খুশদিল। তিনিই হন ম্যাচ সেরা।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন