পাকিস্তানের সিরিজ জয়, মুকিমের ইতিহাস

সিরিজ তিন ম্যাচের। তবে এক ম্যাচ আগেই মঙ্গলবার দাপুটের সঙ্গে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন পাক বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে গড়েছেন ইতিহাস। 

মঙ্গলবার পাকিস্তান স্পিনার সুফিয়ান মুকিমের বোলিং বিশ্লেষণ ২.৪–০–৩–৫! পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি উমর গুলের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন এই ২৫ বছর বয়সী। ২০০৯ সালে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন গুল।

বুলাওয়েতে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মঙ্গলবার ৪.২ ওভার পর্যন্তও জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৭। এরপর মাত্র ৮.২ ওভারের (৫০ বল) মধ্যে দলটি তুলতে পারে ২০ রান। হরায় সব উইকেট। ১২.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ে অলআউট মাত্র ৫৭ রানেই। এ ফরম্যাটের ক্রিকেটে এটাই দলটির সর্বনিম্ন রানে অলআউটের ঘটনা। 

জবাব দিতে নেমে ৫.৩ ওভারে ১০ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার বুলাওয়েতেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। পাকিস্তানের ওপেনার ওমাইর ইউসুফ ২২ রানে ও সাইম আইয়ুব ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। 

এরআগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটাও কিন্তু ভালো ছিল। ৪ ওভারে ৩৭ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে মারুমানিকে আব্বাস আফ্রিদি তুলে নেওয়ার পর যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ইনিংস।

৫ থেকে ৯ পর্যন্ত—প্রতি ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ১৬ বলের ব্যবধানে মাত্র ৩ রানে ৫ উইকেট নেন মুকিম। এ ম্যাচ পাকদের হয়ে ২টি উইকেট নেন আব্বাস, ১টি করে উইকেট আবরার, হারিস রউফ ও সালমান আগার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১২.৪ ওভারে ৫৭ (বেনেট ২১, মারুমানি ১৬, মাদান্দে ৯, মেয়ার্স ৩, রাজা ৩; মুকিম ৫/৩, আব্বাস ২/২, সালমান ১/৭, হারিস ১/১৩)

পাকিস্তান: ৫.৩ ওভারে ৬১ ( ওমাইর ২২*, সাইম ৩৬*; এনগারাভা ০১৫, রাজা ০/১১)

ফল: পাকিস্তান ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: সুফিয়ান মুকিম (পাকিস্তান)।

সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

নিউজজি/সিআর