শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

আবারও ইংল্যান্ডের ফাইনাল ট্র্যাজেডী, রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা স্পেনের

শামীম চৌধুরী জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৪:১৫:৩৫

519
  • ইউরো জয়ের উৎসব স্পেনের। ছবি-ইন্টারনেট

স্পেন ২ : ইংল্যান্ড ১

ফুটবলের জনক ইংল্যান্ডের ইউরোর ট্রফি জয়ের স্বপ্ন উপর্যুপরি দ্বিতীয়বার ভঙ্গ হয়েছে। ৪ বছর আগে নিজেদের মাঠ লন্ডনের উইম্বলিতে ফাইনালে টাইব্রেকারে ইতালির কাছে হারের কষ্টটা এবারও লাঘব করতে পারেনি ইংল্যান্ড। রোববার রাতে জার্মানীর বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এবারের ফাইনালও ট্র্যাজেডী হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। 

ফাইনালে অতীত রেকর্ডটা দারুণ স্পেনের। অতীতে ৪ টি ফাইনালের মধ্যে একটিতেই শুধু হতাশ হতে হয়েছে। অন্য ৩টিতে কাপ জয়ে করেছে স্প্যানিশরা উৎসব।

সেই অতীত থেকে টনিক নিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর ইউরোপ সেরার মুকুট ফিরে পেল স্পেন। ইউরো ইতিহাসে প্রথম কোনো দল হিসেবে চতুর্থবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন হলো স্প্যানিশরা।

বার্লিনে স্পেনের ৪-২-৩-১ ফরমেশনের বিপরীতে ইংল্যান্ডের ৩-৪-৩ ফরমেশনের ফুটবলে প্রথমার্ধের খেলা ছড়াতে পারেনি আকর্ষন। বলের দখল ৭০ শতাংশ রাখার পরও স্পেনের পরিকল্পিত আক্রমন চোখে পড়েনি তেমন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের গতিময় ফুটবল দেখা যায়নি ফাইনালে। 

দ্বিতীয়ার্ধে গতি পেয়েছে ফাইনাল। ইংল্যান্ড ডিফেন্ডাররা হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লে সেই সুযোগটা নিয়েছেন নিকো উইলিয়ামস। খেলার ৪৭তম মিনিটে ইয়ামালের দুর্দান্ত পাস থেকে নিকো উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন ( ১-০)।

সমতা আনতে ইংল্যান্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৫ মিনিট। খেলার ৭৩ মিনিটের মাথায় ডান পাশ থেকে সাকার থ্রু থেকে  বক্সের ভেতর থাকা জুড বেলিংহাম বল পেয়েই অরক্ষিত পালমারকে দিয়েছেন পাস। সেই পাস থেকে পালমারের নেয়া শট জড়ায় জাল (১-১)। খেলার ৮২ তম মিনিটে ওলমারের কাছ থেকে যে পাসটি পেয়েছিলে, তা অপচয় করেন স্পেনের ইয়ামাল।  

তার জন্য স্পেনকে সেজন্য আক্ষেপ করতে হয়নি। খেলার ৬৭ মিনিটে অধিনায়ক আলভারো মোরাতার বদলি হিসেবে নামা মিকেল ওইয়ারসাবাল। করেছেন জয়সূচক গোল। খেলার ৮৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে কুকুরেলার পাস ডি বক্সে সাকার মার্কিং এড়িয়ে নিখুঁত টাইমিংয়ে ওইয়ারসাবেল স্তব্দ করে দেন ইংলিশ সমর্থকদের (২-১)।

খেলার শেষ বাঁশি বেজে ওঠার ঠিক পূর্বক্ষণে সমতার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড।  পালমারের কর্নার থেকে আসা বলে ডেক্লান রাইসের দারুণ হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি বলে হেড করেন মার্ক গুয়েহি। গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন দানি ওলমো। তাতেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা টেনে নেয়ার আশা শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। ইনজুরি টাইমের ৪ মিনিট ইংল্যান্ডকে থামিয়ে ১৯৮৪, ২০০৮, ২০১২-এর পর ২০২৪-এ ইউরো জয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে স্পেন।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন