সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ , ১১ শাবান ১৪৪৬

খেলা

নিউ জিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৩, ২০২৪, ১১:২৯:০৫

142
  • ছবি: ক্রিকইনফো

সুপার এইটে উঠতে শুধু একটা জয়ের প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অন্যদিকে এ সম্ভাবনা টিকে থাকতে নিউ জিল্যান্ডেও জয়ই চাওয়া। দুই দলের এ লক্ষে বৃহস্পতিবার শুরুতেই বেশ এগিয়েছিল কিউইরা। ৩০ রানে স্বাগতিকদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল দলটি। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দলকে একাই টানলেন শেরফেইন রাদারফোর্ড। তার বিধ্বংসী ফিফটিতে কোনোমতে দেড়শর কাছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বল হাতে জ্বলে উঠলেন আলজারি জোসেফ ও গুডাকেশ মোটি। এই দুইজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করল ক্যারিবিয়ানরা।

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ত্রিনিদাদে বৃহস্পতিবার ১৩ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৯ রানের পুঁজি গড়ে কিউইদের তারা থামিয়ে দিয়েছে ১৩৬ রানে। 
 
নিউ জিল্যান্ডের সুপার এইটে যেতে আফগানিস্তানকে বাকি দুই ম্যাচেই হারতে হবে। যেখানে এক প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। কখনো বিশ্বকাপে জয় না পাওয়া দলটি আফগানদের হারাবে– এমনটা প্রায় অসম্ভবই বটে। সবমিলিয়ে উইন্ডিজের কাছে হারে বিদায় নিশ্চিত।
 
১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। মাস্ট উইন ম্যাচেও দলীয় রান ১০০ পেরুবার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তবুও স্বপ্নটা বেঁচে ছিল গ্লেন ফিলিপসের কল্যাণে। কিন্তু আলজারি জোসেফের বলেই ফিরতে হয় তাকে। সেখানেই শেষ হয় কিউইদের আশা। 
 
ডেভন কনওয়ের উইকেট দিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় শুরু হয়। আকিল হোসেইনের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফিন অ্যালেন খেলছিলেন ব্যাটে-বলে তাল মিলিয়ে। ইনিংস দ্রুতগতির করতে চেয়েছিলেন। তখনই আলজারি জোসেফের দিনের প্রথম শিকার এই ওপেনার। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। রাচিন রবীন্দ্রও আশা জাগাতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ করে ফেরেন তিনি। এর আগে ২ বলে ১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন। 
 
ড্যারিল মিচেল হতাশ করেছেন এদিন। ১৩ বলে ১২ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হন তিনি। জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন বড় কিছু করার। নিশাম ১০ রানে আউট হলে একা হয়ে পড়েন গ্লেন ফিলিপস। মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটার ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেছেন ৪০ রান। 
 
শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন বটে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৩৬ রানেই থামে তাদের ইনিংস। ১৩ রানের এই হারে বিশ্বকাপের যাত্রাও প্রায় শেষের দিকে। 
 
এরআগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর রাদারফোর্ড ইনিংসের শুরুতে খেলেছেন রয়ে সয়ে। পরিস্থিতি বুঝে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। ইনিংসের ১৮তম ওভার শেষে তাঁর রান ছিল ২৭ বলে মাত্র ৩১। সেখানে থেকে মোতিকে নিয়ে দশম উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পথে একাই ৩৭ করেন তিনি। ১৯তম ওভারে মিচেল ১৯ ও ২০তম ওভারে স্যান্টনার দেন ১৮। 
 
বৃহস্পতিবার ধ্বংসস্তুপ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ পর্যন্ত একাই নিয়ে যান রাদারফোর্ড। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংসের রাদারফোর্ডের ৬৮ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে, তিনি করেছেন মাত্র ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত দারুণ এক জয় সঙ্গী করে এক ম্যাচ আগেই ক্যারিবিয়ানরা নিশ্চিত করেছে চলতি বিশ্বকাপের সুপার এইট। 
 
অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাদারফোর্ড। 
 
নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন