বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ , ২০ শাবান ১৪৪৬

খেলা

তামিমের ব্যাটিংয়ে সুপার লিগের পথে প্রাইম ব্যাংক

স্পোর্টস রিপোর্টার এপ্রিল ৩, ২০২৪, ২০:৩৬:৫১

284
  • ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিচ্ছেন তামিম। ছবি-প্রাইম ব্যাংক

পারটেক্স : ২০৮/৯ (৫০.০ ওভারে)

প্রাইম ব্যাংক : ২১১/৬ (৪৮.৪ ওভারে)

ফল : প্রাইম ব্যাংক ৪ উইকেটে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : তামিম ইকবাল (প্রাইম ব্যাংক)।

৬ষ্ঠ রাউন্ডে মোহামেডানের কাছে ১ উইকেটে হেরে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথটা কঠিন করে ফেলেছে প্রাইম ব্যাংক। ওই হারের ধকল কাটিয়ে ৭ম রাউন্ডে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের কক্ষপথে ফিরে এসেছে প্রাইম ব্যাংক।

বুধবার বিকেএসপি-ফোর-এ ৮ম রাউন্ডে পারটেক্সের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচে ৮  বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতে সুপার লিগের পথটা মসৃন করেছে প্রাইম ব্যাংক।

অফ স্পিনার শেখ মেহেদি (৩/৩৬) ও পেস বোলার রুবেলের (৩/৩২) বোলিংযে পারটেক্সকে ২০৮/৯-এ আটকে ফেলায় জয়ের পথ সুগম হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৭০তম এবং চলমান লিগে তামিম ৪র্থ ফিফটি উদযাপন করেছেন (১০০ বলে ৫ চার-এ ৭৪)। মিঠুন করেছেন ৬৬ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৫১। 

প্রাইম ব্যাংকের এটি ৮ম ম্যাচে ৬ষ্ঠ জয়। অন্যদিকে পারেটেক্সের ৭ম হার।

শেখ জামাল ধানমন্ডি : ২৪৭/৯ (৫০.০ ওভারে)

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১৮৭/১০ (৪৪.৪ ওভারে)

ফল : শেখ জামাল ধানমন্ডি ৬০ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : সৈকত আলী (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)।

টানা ৪ জয়ের পর ৫ম রাউন্ডে এসে মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। ফলে কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের সুপার লিগে ওঠা। 

বিকেএসপিতে থ্রি-তে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬০ রানে হারিয়ে সুপার লিগের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। 

প্রথমে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সৈকত আলীর ১০৬ বলে ৮ চার, ৪ ছক্কায় ৯৩, ইয়াসির আলীর ৪৩ বলে ৪০ এবং জিয়াউরের ৩২ বলে ৪০ রানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ২৪৭/৯ স্কোর কেরে। লিজেন্ডেস-এর পেসার আল আমিন পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/৪৪)। লেগ স্পিনার আমিনুল বিপ্লব পেয়েছেন ২ উইকেট (২/২০)।

জবাব দিতে এসে ওপেনিং পার্টনারশিপের ৬৭ বলে ৪৫ রানে লিজেন্ডস লড়াইয়ের আভাস দিলেও স্কোরশিটে ৪৫ থেকে ৫৫ পর্যন্ত উঠতে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে লিজেন্ডস। আমিনুল বিপ্লব লড়াই চালিয়ে গেছেন একা। করেছেন ৮৫ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৬৪।

মেহেদী হাসান রানার ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ বলে ৩ চার, ৪ ছক্কায় ৪৯। তবে বাঁ হাতি স্পিনার টিপু সুলতান (৩/২৬) এবং অফ স্পিনার সাইফ হাসানের (৩/৪৪) বোলিংয়ের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতৈ পারেনি লিজেন্ডস। 

লিজেন্ডসকে হারিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডির সংগ্রহ ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে সেখানে লিজেন্ডসের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।

গাজী টায়ার্স : ৮৪/১০ (২৫.৪ ওভারে)

গাজী গ্রুপ : ৮৬/১ (১৯.৩ ওভারে)

ফল : গাজী গ্রুপ ৯ উইকেটে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : রুয়েল মিয়া ( গাজী গ্রুপ)।

ফতুল্লায় এক শিল্প প্রতিষ্ঠানের দুই দলের খেলায় গাজী গ্রুপ ৯ উইকেটে হারিয়েছে গাজী টায়ার্সকে। বাঁ হাতি পেসার রুয়েল মিয়ার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে (৫/১৮) গাজী টায়ার্স ৮৪ রানে অল আউট হলে সহজ জয়ের পথ প্রশস্ত হয় গাজী গ্রুপের।

পিনাক ঘোষের ৫৯ বলে হার না মানা ৪২ ও মেহেদী মারুফের ৩৬ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৮৩ বল হাতে রেখে গাজী গ্রুপ ৯ উইকেটে জিতেছে। গাজী গ্রুপের এটি ৫ম জয়, গাজী টায়ার্সের ৬ষ্ঠ হার। 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন