রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ , ১১ রমজান ১৪৪৪

খেলা

সিলেটে বড় ধাক্কা খেল স্ট্রাইকার্স

স্পোর্টস রিপোর্টার জানুয়ারী ২৭, ২০২৩, ১৭:৫১:১৬

217
  • ম্যাচ সেরা আজমতউল্লাহ ওমরজাই সেরা সমর্থককে দিচ্ছেন অটোগ্রাফ ব্যাট। ছবি-ইন্টারনেট

সিলেট স্ট্রাইকার্স : ৯২/৯ (২০.০ ওভারে)

রংপুর রাইডার্স : ৯৩/৪ (১৫.৪ ওভারে)

ফল : রংপুর রাইডার্স ৬ উইকটে জয়ী। 

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : আজমতউল্লাহ ওমরজাই (রংপুর রাইডার্স)

টানা ৫ জয়ের পর চট্টগ্রামে প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৬ষ্ঠ রাউন্ডে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৫ উইকেটে হারের ধকল কাটিয়ে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মাশরাফির দল।

তবে পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষে থেকে সিলেটে খেলতে এসে স্থানীয় সমর্থকদের সমর্থনে যেখানে চাঙ্গা হওয়ার কথা সিলেট স্ট্রাইকার্সের, সেখানে বড় ধরণের ছন্দপতন হয়েছে সিলেটের খেলায়। রংপুর রাইডার্সের কাছে ২৬ বল হাতে রেখে হেরে গেছে মাশরাফির দল ৬ উইকেটে।

 টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রংপুর রাইডার্সের ২ পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৪/১৭),হাসান মাহমুদ (৩/১২) এবং অফ স্পিনার শেখ মেহেদীর (২/১২) বোলিংয়ে ৯২/৯-এ থেমেছে মাশরাফির দল।বিপিএলে চলমান আসরে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের অপবাদ পেয়েছে তারা।

স্কোরশিটের চেহার যখন ১৯/৭, তখন৭ বছর আগে টাইটান্সের মিরপুরে ডুবে যাওয়ার দুঃসহ ছবিটাই যেনো ভেসে উঠেছে মাশরাফিদের সামনে।  বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের  রেকর্ডের (রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টাইটান্সের ৪৪/১০) কথা মনে করিয়ে দিয়েছে সিলেট। তবে দুর্বিষহ এই ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মাশরাফি-তানজিম হাসান সাকিব। ৮ম উইকেট জুটিতে ৪২ বলে ৪৮ রান যোগ করে বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন তারা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে।

ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ব্যাকফুটে নামিয়েছে রংপুর রাইডার্সের দুই বোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৩-১-৩-৩) এবং শেখ মেহেদী (৩-০-১১-২)। এই দুই বোলারের তোপে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-এর ৬ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্কোর ছিল ১৬/৫!!

ওমরজাই-এর প্র্রথম ওভারে মুরস উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার মধ্য দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু। শেখ মেহেদীর দ্বিতীয় ওভারে শান্ত ছক্কা মেরে পরের বলে একই শট নিতে যেয়ে লং অনে শোয়েব মালিকের হাতে ধরা পড়ার (৯) পরের ওভারটিতে পর পর দুই বলে তৌহিদ হৃদয় এলবিডাব্লু (৫ বলে ০), ইনসুইং ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিম বোল্ড (১ বলে ০)। মেহেদীর পরের ওভারে জাকির স্ট্যাম্পিংয়ে কাঁটা পড়ার (০) পরের বলে থিসারার ক্যাচ স্লিপে ফেলে দিয়েছেন নাইম শেখ।

তবে ০ রানে বেঁচে যাওয়া থিসারাকে থামিয়েছেন হারিস রউফ (৩)। হাসান মাহমুদের প্রথম ওভারে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়াসিম হায়দার। ১ থেকে ৭-এই ৭ ব্যাটারের কেউ যেতে পারেননি ডাবল ফিগারে। উপরের সারির ব্যাটারদের লজ্জা দিতে এদিন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস উপহার দিয়েছেন তানজীম হাসান সাকিব। হারিস রউফকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কায় শুরু করেছেন।

রবিউলকেও মেরেছেন একই জায়গা দিয়ে ছক্কা।তার দেখাদেখি নেওয়াজকে মাশরাফি মেরেছেন পর পর ২টি ছক্কা। হাসান মাহমুদের বলে ডিপ কভারে ক্যাচ দেয়ার আগে মাশরাফি করেছেন ২১ বলে ২১। ১৯তম ওভারে হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থামার আগে তানজিম হাসান সাকিব করেছেন ৩৬ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৪১। এটি তার আইসিসি স্বীকৃত তিনটি সংস্করণের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর।

ওমরজাই ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন। ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১৬টি দিয়েছেন ডট। যার মধ্যে এক ওভারে ২টি উইকেট পেয়েছেন কোনো রান না দিয়েই। তবে শেখ মেহেদী ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী (৪-০-১২-২)। ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১৮টি দিয়েছেন ডট। হাসান মাহমুদ (৪-০-১২-৩) দিয়েছেন ১৭টি ডট। হারিস রউফও দিয়েছেন ১৭টি ডট (৪-০-১৯-১)।

৯৩ রান তাড়া করে জিততে ৪ উইকেট হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।রেজাউর রহমান রাজাকে মিড উইকেট দিয়ে রনি তালুকদারের বাউন্ডারি শটে ২৬ বল হাতে রেখে ৭ম ম্যাচে চতুর্থ জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। রনি তালুকদার এক এন্ড আগলে রেখে ৩৮ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। নেওয়াজ ছিলেন ১৩ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ১৩ রানে অপরাজিত।

প্রতিপক্ষকে কম টার্গেট দিয়েও মাশরাফি পেয়েছেন পর পর দুই বলে ২ উইকেট (৩-০-১৮-২)। মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারের ৫ম বলে লং অনে শেখ মেহেদী এবং মিড উইকেটে শোয়েব মালিক দিয়েছেন ক্যাচ। তরুণ রেজাউর রহমান রাজা (১/২৩) এবং পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির (১/২৬) পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন