শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ , ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

আফিফের মাইলস্টোন ম্যাচটি ম্লান হতে দেননি শরিফুল-মিরাজ

শামীম চৌধুরী সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০০:৪১:১১

316
  • ট্রফির সামনে দুই অধিনায়ক। ছবি-ইন্টারনেট


বাংলাদেশ : ১৫৮/৫ (২০.০ ওভারে)
সংযুক্ত আরব আমিরাত : ১৫১/১০ (১৯.৪ ওভারে)
ফল : বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : আফিফ হোসেন ধ্রুব (বাংলাদেশ)।

ডেথ ওভারে বড় দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে সোহানের দলকে। এই বুঝি পঁচা শামুকে পা কেঁটে যায় ! শেষ ৩০ বলে ৫৪ রানের টার্গেটটা এই বুঝি পাড়ি দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

তবে শেষ ৬ বলে ১১ রানের টার্গেট সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পাড়ি দিতে দেননি বাঁ হাতি পেসার শরিফুল। ওই ওভারে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুই সেট ব্যাটার আয়ান (২৫) ও জুনায়েদকে (১১) ফিরিয়ে দিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে ৭ রানের জয় উপহার দিয়েছেন শরিফুল।   
টি-টেয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পঞ্চাশতম ম্যাচে ফিফটি! অর্ধশততম ম্যাচ উদযাপন করেছেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস উপহার দিয়ে। দুবাইয়ের আকাশে ঠিকই ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলেছেন আফিফ। করেছেন ৫৫ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৭৭।

৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫৪ বলে করেছেন ৮১। তাতেই দুবাইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিবাসীদের দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি (১৫৮/৫)।  
অনুশীলনে চার-ছক্কার প্র্যাকটিস নিয়মিত করছে বাংলাদেশ দল। অথচ, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার প্রতিফলন নেই। নিউ জিল্যান্ড সফর এবং অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দুবাইয়ে এক সপ্তাহের অনুশীলনের সঙ্গে ২ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।
টি-টোয়েন্টির পুঁচকেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে তাদেরকে পিষে মারার কথা। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত বোলারদের একটু বেশিই সমীহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাটাররা।
ইনজুরি কাটিয়ে লিটন ফেরার পরও দুবাইয়ে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে মেকশিপ্ট ওপেনিং জুটি পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই পরিকল্পনাটা যে ভুল, তা জেনে গেছেন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম।
দ্বিতীয় ওভারেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে ওপেনিং জুটি। আরব আমিরাতের বাঁ হাতি পেসার সাব্বিরকে শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির রুম্মান (৩ বলে ০)। মাত্র ১১ রানে প্রথম উইকেট জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় জুটির অবদান ১৫। অফ স্পিনার আয়ানকে তৃতীয়  ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে ৫ম বলে সুইপ করতে যেয়ে মিড অনে দিয়েছেন ক্যাচ লিটন (৮ বলে ১৩)। ৫ম ওভারে জাওয়াদ করিমের শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে মিরাজ রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছেন (১৪ বলে ১২)।  
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র ব্যাটিংটাই হয়নি প্রত্যাশিত (৪২/৩)। শুরুর এই ব্যাটিংই বাংলাদেশকে ফেলে দিয়েছে চাপে। কার্তিক মায়াপ্পন পর পর দুই ওভারে ইয়াসিরকে বোল্ড (৭ বলে ৪) এবং মোসাদ্দেককে স্ট্যাম্পিংয়ে কেঁটে দিলে স্কোর দাঁড়ায় ৭৭/৫। সেখান থেকে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ জুটির অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানে বিপর্যয় এড়িয়েছে।
 তবে ডেথ ওভারের শেষ ৩০ বলকে ঠিকই শিক্ষা দিয়েছেন আফিফ-সোহান জুটি। সংযুক্ত আরব আমিরাত বোলারদের এই ৩০ বলে বেধড়ক পিটিয়েছে এই জুটি। যোগ করেছে বাংলাদেশ উইকেটহীন ৫৩।ভাগ্যটা ভাল আফিফের।
২ রানের মাথায় সাব্বিরের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া আফিফ শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে ছিলেন অপরাজিত! সোহান ছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রানে নট আউট। সংযুক্ত আরব আমিরাত বোলারদের মধ্যে কার্তিক মায়াপ্পন পেয়েছেন ২ উইকেট (২/৩৩)।
১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ফেলে দিয়ে যতোটা  সহজে ম্যাচ জেতা দরকার ছিল, তার বিপরীত চিত্রটা দেখেছে দর্শক এদিন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশের চেয়ে বেটার অবস্থায় থাকা (৪৩/১) সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৩৯ রানে ম্যাচে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীতার আমেজ। চিরাগ সুজি (২৪ বলে ৩৯) আয়ান (১৭ বলে ২৫) ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অভিজ্ঞতার কাছে হার মেনেছে তারা।

পেসার সাইফুদ্দিন খেয়েছেন মার (৪-০-৪০-০)। বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম ছিলেন নির্বিষ (৪-০-৩১-০)। মোস্তাফিজ (৪-০-৩১-২) , মিরাজ (৩-০-১৭-৩) এবং শরিফুলের (৩.৪-০-২১-৩) বোলিংয়ে দুর্ভাবনা কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল।
 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন