শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

খেলা

নাইম-মুশফিকের ফিফটিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশের

শামীম চৌধুরী অক্টোবর ২৪, ২০২১, ১৮:০৭:৪৫

439
  • নাইম-মুশফিক। জোড়া ফিফটি। ছবি-ক্রিকইনফো

বাংলাদেশ : ১৭১/৪ (২০.০ ওভারে)

সারজার পিচকে মিরপুরের মতো মনে করেছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ডোমিঙ্গো। ২ দিন আগে সারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৪ রানে নেদারল্যান্ডসের অল আউট হওয়ায় শঙ্কা ছিল।

সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী দিনে ২টি ম্যাচ লো স্কোরিং হওয়ায় এই ম্যাচ নিয়েও ছিল শঙ্কা। তবে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সারজার পিচকে বন্ধু বানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাট্যাররা ঘুরিয়েছে ছড়ি। খেলেছে মাঠজুড়ে। তাতেই টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর করেছে বাংলাদেশ (১৭১/৪)।

ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ছোট দলগুলোর বিপক্ষেও হতাশ করেছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে দুর্ভাবনায় পড়তে দেননি এই ম্যাচে লিটন-নাইম। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে এই প্রথম ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে প্রত্যাশিত স্কোর করেছে (৪১/১) করেছে বাংলাদেশ। ওপেনিং পার্টনারশিপের সংগ্রহও ৪১।

স্লগটা করেছে আরও ভালো। মুশফিক ছিলেন বলে শেষ ৩০ বলকে প্রকৃত স্লগে পরিণত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। যোগ করেছে শেষ ৩০ বলে ৫৩। যার মধ্যে শেষ ৯ বলে ২১ রান যোগ করতে পেরেছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর কারণে।

নাইম (৬২)-মুশফিকের (৫৭*) জোড়া ফিফটিতে টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চতুর্থ সর্বোচ্চ (১৭১/৪) স্কোর করেছে। টানা ১৬ টি-২০ ম্যাচ খেলিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নাইমকে সাইড লাইনে রেখে অবিচার করা হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে যে ছেলেটি ৮১ রানের ইনিংসে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে যথার্থ ওপেনার হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন, সেই ছেলেটিকে কেন ওয়ার্ম আপ ম্যাচ দেখে বাদ দেয়া হবে? বোর্ড সভাপতি পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি।

ওমানের বিপক্ষে নাইমকে ফিরিয়ে এনে তার সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টি-২০ বিশ্বকাপে ৬৪ রানের ইনিংসে নিজেকে চিনিয়েছেন এই ওপেনার। রবিবার ১৪তম ওভারের ৪র্থ বলে লাহিরু কুমারাকে দর্শনীয় সুইপ শটে বাউন্ডারিতে টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ম ফিফটি এবং টি-২০ বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি উদযাপন করেছেন ৪৪ বলে। ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন তিনি ৬২ পর্যন্ত। বিনুরু ফার্নান্ডোকে পুল করতে যেয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন নাইম (৫২ বলে ৬ চার-এ ৬২)। 

২০১৯ সালের নভেম্বরে দিল্লীতে ৬০ রানের হার না মানা ইনিংসের পর ১২ ইনিংস ফিফটিহীন কেটেছে মুশফিকুর রহিমের। ১২ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত মে মাসে ওয়ানডে সিরিজ সেরা মুশফিকুর রহিম সে মাসে আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যান্থ হয়েছেন।

প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ম ম্যাচে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেছেন উদযাপন। টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ২৯তম ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটির মুখ দেখেছেন মুশফিক প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে।

হাসারাঙ্গা এবং বিনুরু ফার্নান্দেকে সুইপ শটে ছক্কায় মাতিয়েছেন সারজা। ৯৫ তম ম্যাচে ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি উদযাপনের ইনিংসে নাইমকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৭৩ রানের পার্টনারশিপে দিয়েছেন নেতৃত্ব। 

সাকিব ব্যাটে ছন্দটা পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি (৭ বলে ১০)। করুণারত্নেকে কভার দিয়ে খেলতে যেয়ে বোল্ড হয়েছেন।  লাহিরু কুমারার বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন দাস (১৬ বলে ১৬)। রান আউটে থেমেছেন আফিফ (৭)। মাহমুদউল্লাহ ৫ বলে ১০  রানে মিটিয়েছেন প্রয়োজন।

প্রথম পর্বে হাওয়ায় উড়তে থাকা অফ স্পিনার থিকশানা (৩ ম্যাচে ৮ উইকেট) সাইড স্ট্রেইনের কারণে এই ম্যাচে খেলতে না পারায় শ্রীলঙ্কার স্পিন আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ ইনিংসে। শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গাকে (৩-০-২৯-০) এদিন ভালোই শিক্ষা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন