শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ , ২ রমজান ১৪৪৪

অন্যান্য
  >
বিশ্বকাপ

সেমিফাইনলে উঠে মরক্কোর ইতিহাস

শামীম চৌধুরী ১০ ডিসেম্বর , ২০২২, ২৩:৩৭:৪২

  • পর্তুগালকে হারিয়ে ইতিহাস রচনার পর মরক্কোর উৎসব। ছবি-ইন্টারনেট

মরক্কো ১ : পর্তুগাল ০

১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে পর্তুগালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোল-তে উঠে ফুটবল রেঁনেসার জানান দিয়েছিল মরক্কো। তিন যুগ পর কাতার বিশ্বকাপে রাউন্ড অব সিক্সটিনে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস রচনা করেছে ইতোমধ্যে মরক্কো।

৬দিন পর পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে নিজেদের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে মরক্কো। প্রথম আরব দেশ এবং প্রথম আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস রচনা করেছে মরক্কো। 

কোয়ার্টার ফাইনালে আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে দেন মরক্কোর ইউসুফ এন-নেসিরি (১-০)। জিতলেই প্রথম আরব এবং আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে উঠে যাবে মরক্কো সেমিফাইনালে।

ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশুন্য ড্র দিয়ে শুরু করা মরক্কো বেলজিয়ামকে ২-০, কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাউন্ড সিক্সটিনে স্পেনকে টাইব্রেকারে ০(৩)-০(০) হারিয়েছে যে যোগ্যতর দল হিসেবে, তাদের জয়গুলো যে ফ্লুক নয়, কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে মরক্কো।

মরক্কোর ৪-৩-৩ ফরমেশনে জিয়াস, নেসিরি,বউফলের প্রতিটি আক্রমনই ছিল ভয়ংকর।২৭% বলের নিয়ন্ত্রন নিয়েও পর্তুগালের গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৯টি মরক্কো।

খেলার ৪২ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত থেকে অতিয়াতের ক্রস থেকে পর্তুগাল ডিফেন্ডার রুবেন, ওতাভিও এবং গোলরক্ষক দিয়াগো কস্তার মার্কিং এড়িয়ে স্পট জাম্পে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন নেসিরি (১-০)।মরক্কোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে তিন গোল করলেন সেভিয়ার ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতার সুযোগ হারায় পর্তুগাল। দালতের ফ্লিক থেকে বল পেয়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজের নেয়া শটটি গোলপোস্টের উপরে লেগে প্রতিহত হয়।

খেলার ৫১ মিনিটে নেভিসের জায়গায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মাঠে নামিয়ে আক্রমন তীব্র করেও সুফল পাননি পর্তুগীজ কোচ। ৬৫ মিনিটে ব্রুনো  ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। খেলার ৮৩ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে হোয়াও ফেলিক্সের নেয়া বাঁ পায়ের  ব শট নিলে ডান দিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মরক্কো গোলরক্ষক বুনু।

খেলার ৯০ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে রোনালদোর ডান পায়ের তীব্র শট শট রুখে দেন বুনু। খেলার ৯২ মিনিটে মরক্কোর চেদিরা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে বহিষ্কৃত হলে অবশিষ্ট ৬ মিনিট ১০ জনের মরক্কো সামাল দিয়েছেন পর্তুগালকে। তারপরও ১০ জনের দলটি দ্বিতীয় গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।

খেলার ইনজুরি টাইমের ৫ম মিনিটে মরক্কোর আবুখলি পর্তুগিজ গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল দিতে পারেননি। ৯৭ মিনিটে পর্তুগাল হারায় শেষ সুযোগ। জটলার মধ্যে পেপের নেয়া হেড গোলপোষ্ট  ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। 

এই ম্যাচে সবার চোখ ছিল ৫ বার ফিফা ব্যালন ডি অর জয়ী রোনালদোর দিকে। ৬ বছর আগে একক নৈপূণ্যে জিতিয়েছিলেন পর্তুগালকে ইউরোর শিরোপা। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার মিশনটা থেমেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। 

উরুগুয়ের সুয়ারেজ, ব্রাজিলের নেইমারের পর চোখের পানিতে বিশ্বকাপকে বিদায় জানিয়েছেন পতুগীজ লিজেন্ডারি রোনালদো।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন