শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ১১ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

অন্যান্য
  >
নির্বাচন

চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী যারা

নিউজজি ডেস্ক ১ এপ্রিল , ২০১৯, ০০:০৭:১৮

  • ছবি : ইন্টানেট

ঢাকা: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ২২ জেলার ১০৭টি উপজেলায় ভোট হয়। কিন্তু আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার পুরো নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। রোববার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৫১ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ৪১ জন। অন্যদিকে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছে একজন।

ভোটে আ.লীগের চেয়ারম্যান হলেন যারা

ফেনী সদরে আব্দুর রহমান, পটুয়াখালী সদরে গোলাম সরোয়ার, কলাপাড়ায় এস এম রাকিবুল আহসান, গলাচিপায় মো. শাহিন শাহ, দশমিনায় আব্দুল আজিজ, মির্জাগঞ্জে আবু বক্কর ও বাউফলে আবদুল মোতালেব হাওলাদার, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুজাহিদুর রহমান হেলু, মুন্সীগঞ্জ সদরে আনিছউজ্জামান আনিছ, যশোরের চৌগাছায় মো. মোস্তানিসুর রহমান, খুলনার রুপসায় কামালউদ্দিন বাদশা ও পাইকগাছায় গাজী মোহাম্মদ আলী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাহমুদুল হক সায়েম, ফুলপুরে আতাউল করিম রাসেল, ঈশ্বরগঞ্জে মাহমুদ হাসান সুমন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ডা. রফিউদ্দিন আহমেদ।

স্বতন্ত্র হিসেবে আ.লীগের বিদ্রোহী জিতলেন যারা

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন পিরোজপুরের নেছারাবাদে আলহাজ্ব আবদুল হক, খুলনার তেরখাদায় মো. শহীদুল ইসলাম, কয়রায় এসএম শফিকুল ইসলাম, দাকোপে মুনসুর আলী খান ও দিঘলিয়ায় শেখ মারুফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোফাজ্জল হোসেন, নান্দাইলে হাসান মাহমুদ জুয়েল, মুক্তাগাছায় আবদুলহাই আকন্দ ও ধোবাউড়ায় ডেভিড রানা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদরে ফিারোজুর রহমান ওলি ও ওসরাইলে রফিকউদ্দিন ঠাকুর।

বিনা ভোটে আ.লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত যারা

ভোলা সদরে মোশারফ হোসেন, চরফ্যাশনে জয়নাল আবেদীন আকন, মনপুরায় সেলিনা আক্তার ও দৌলতখানে মঞ্জুরুল আলম খান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মিরাজুল ইসলাম, যশোর সদরে শাহীন চাকলাদার ও শার্শায় সিরাজুল হক মঞ্জু, খুলনার ফুলতলায় শেখ আকরাম হোসেন ও বটিয়াঘাটায় আশরাফুল আলম খান, বাগেরহাট সদরে সরদার নাসির উদ্দিন, মোংলায় আবু তাহের হাওলাদার, চিতলমারীতে অশোক কুমার বড়াল, কচুয়ায় এস এম মাহফুজুর রহমান, রামপালে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও শরণখোলায় কামাল উদ্দিন আকন, ময়মনসিংহ সদরে আশরাফ হোসাইন, গফরগাঁওয়ে আশরাফ উদ্দিন বাদল ও ফুলবাড়ীয়ায় মালেক সরকার, ঢাকার সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব, কেরানীগঞ্জে শাহীন আহমেদ ও দোহারে আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হারুন-অর-রশিদ হিরা, মধুপুরে সরোয়ার আলম খান আবু ও গোপালপুরে ইউনুস ইসলাম তালুকদার, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আব্দুস সোবহান ভুইয়া হাসান, নাঙ্গলকোটে শামসুদ্দিন হায়দার কালু, লাকসামে অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া, মনোহরগঞ্জে মো. জাকির হোসেন ও দেবীদ্বারে জয়নাল আবেদীন, নোয়াখালীর সেনবাগে জাফর আহমেদ চৌধুরী, সোনাইমুড়ীতে খন্দকার রুহুল আমিন, সুবর্ণচরে অধ্যক্ষ খাইরুল আনম সেলিম ও কোম্পানীগঞ্জে সাহাব উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আবুল কাসেম ভূইয়া ও কসবায় অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, ফেনীর ফুলগাজীতে আব্দুল আলিম, সোনাগাজীতে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন, দাগনভূঞায় দিদারুল কবির রতন, ছাগলনাইয়ায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ও পরশুরামে কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং দিনাজপুর সদরে ইমদাদ সরকার।

চলতি পঞ্চম উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে পাঁচ বিভাগের ২২ জেলার ১০৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় আজ। এর মধ্যে ছয়টি জেলার সদর উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ ধাপে ১২২টি উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ ধাপে ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই ১৫টি উপজেলার ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি।

এ ছাড়া আদালতের আদেশ প্রতিপালনের জন্য চারটি ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তৃতীয় ধাপ থেকে স্থানান্তর করা ছয়টি উপজেলা এ ধাপে যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোট হয় ১০৭ উপজেলায়।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন