শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ১১ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

অন্যান্য
  >
নির্বাচন

জরুরি বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট

নিউজজি প্রতিবেদক ৩০ ডিসেম্বর , ২০১৮, ১৯:৪১:০৯

  • জরুরি বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট

ঢাকা : নির্বাচন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে ঐক্যফ্রন্ট। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ড. কামালের বেইলি রোডের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকটি শুরু। বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আব্দুল রব, মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।

জানা গেছে, ফলাফল যাই হোক তা প্রত্যাখ্যান করবেন ঐকফ্রন্ট। দেবে নতুন কর্মসূচি। এ বিষয়ে রোববার সকালেই ইঙ্গিত দিয়েছেন কামাল হোসেন। রোববার ভোট প্রদানের পর বেইলি রোডে নিজ বাসভবনে ড. কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভোটের পরও আমাদের আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা জনবল নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করবে।

ড. কামাল হোসেন তিনি বলেন, জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করার পর পরবর্তীতে ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করবেন। তিনি বলেন, সারাদেশে গণহারে ভোট ডাকাতি চলছে। সবাইকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তা জানা সত্ত্বেও ভোটের মাঠ থেকে আমরা সরে যাব না। আমরা যখন নির্বাচনে এসেছি, তখনই সরকারি দল আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওরা চাইছে আমরা যাতে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা মামলা করার বিষয়টি নিয়েও আমরা ভাবছি। ২৯৯ আসনে প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করবে। শত শত মামলা হবে। নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ বা পুনঃনির্বাচনের বিষয়ে রিট করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। সব বিষয় ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে। রিট করার আইনি বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। আদালত খুললে পদক্ষেপ নেওয়ার একটা পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

এর আগে ড. কামাল হোসেন ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। ওই কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ড. কামাল বলেন, দেশের মানুষ হিসেবে সবাইকে ভোট দিতে হবে। আমি সবাইকে দেখে উৎসাহ পাচ্ছি। সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছে সবাই। আমার মতো একজনকে দেখলাম লাঠিতে ভর দিয়ে ভোট দিতে এসেছে। শীতের সকালে কেন্দ্রে ভিড় হয়ে আছে। তরুণ সমাজও এসেছে। এসব দেখে আমি উৎসাহ পাচ্ছি।

সময় সাংবাদিকেরা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মন খারাপ করাতে চাই না। মিনিটে মিনিটে ফোন পাচ্ছি। রাতেই নাকি বিভিন্ন জায়গায় ভোট হয়েছে। এগুলো দুঃখজনক, লজ্জাজনক। পদক্ষেপ নিতে হবে। সারা দেশ থেকে যে খবর পাচ্ছি, তা উদ্বেগজনক। এটা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করা।

এজেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করলে কামাল হোসেন বলেন, এখানে এজেন্ট আছে। তবে বাইরে অনেক জায়গায় আমরা এজেন্ট দিতে পারিনি। অনেক জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি দাবি করব এর তদন্ত হক।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন