শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৫ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

অন্যান্য
  >
ইয়োগা

মানব কল্যাণে যোগ

শচীন্দ্র নাথ হালদার ২০ জুন , ২০২২, ১৮:৪৭:৪৮

  • মানব কল্যাণে যোগ

যোগ মানব জাতির জন্য অন্যতম সেরা একটি উপহার। এ যোগে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকার। চার হাজার বছরের বেশি আগে ঋষি পতঞ্জুলী এ যোগ আবিষ্কার করেন। তাঁর এ আবিষ্কার পাতঞ্জল সূত্র নামে পরিচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ মহান আবিষ্কার অধীকারিকদের কৃপণতার জন্য ধ্বংস হয়েছে। আধীকারিক মুনি-ঋষিরা উপযুক্ত শিষ্য বা পুত্র ছাড়া অন্য কাউকে এ গুহ্য বিদ্যা অনুশীলন করার সুযোগ দিতেন না। ফলে এ বিদ্যা ধারবাহিকভাবে মানব জাতির অসামান্য কল্যাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

যোগ আত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ ঘটায়। যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা সুস্থ্য, সবল, কর্মক্ষম দেহ এবং দীর্ঘজীবন লাভ করতে পারি। এ যুগে মানুষের বয়স ১১৬ বছর। যোগীরা প্রধানতঃ প্রাণের সাধনা করে থাকেন। যোগীদের জন্য প্রাণ ব্রহ্ম (সৃষ্টিকর্তা) এবং রোগীদের জন্য প্রাণ মহৌষধি। টেনশন, নৈরাশ্য, অধিক ওজন, খাদ্যাভাস, বংশগত, জীবাণু প্রভৃতিই আমাদের অধিকাংশ রোগের কারণ। প্রাণ মহৌষধি প্রয়োগের মাধ্যমে এসব রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে আমাদের দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে যে রস নির্গত হয় তার সমতা বিধান হয়। ফলে দেহে আর কোন রোগ সৃষ্টি হতে পারে না। সমতাই স্বাস্থ্য এবং অসমতাই রোগ। আমাদের দেহের প্যানক্রিয়াস থেকে যে ইনসুলিন নির্গত হয় তা প্রয়োজন মত নির্গত হলেই আমরা সুস্থ্য থাকি। যদি প্যানক্রিয়াস থেকে কম ইনসুলিন নির্গত হয় তাহলে আমরা ডায়বেটিক (বহুমূত্র) রোগে আক্রান্ত হই। আবার যদি প্যানক্রিয়াস থেকে বেশি ইনসুলিন নির্গত হয় তাহলে আমাদের দেহে সব সময় ক্ষুধার ভাব দেখা দেয়। আমরা সাধারণভাবে শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিবার ৫০০-১০০০ মিলিলিটার অক্সিজেন গ্রহণ করি কিন্তু যোগীরা প্রতিটি দীর্ঘ গভীর শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে ৫০০০-১০০০০ মিলিলিটার অক্সিজেন গ্রহণ করেন। ফলে যোগীর দেহের সমস্ত কোষগুলি অক্সিজেনে পূর্ণ থাকে। জীবকোষে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবই আমাদের দেহের অধিকাংশ রোগের কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অক্সিজেনের মধ্যে কোন বিজানু বা জীবানু রাখলে তা মারা যায়। এমন কি ক্যান্সারের জীবানুও অক্সিজেনের মধ্যে বাঁচতে পারে না। যোগী দীর্ঘদিন যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে মনঃশক্তি চালনার শক্তি অর্জন করেন। দেহে শক্তির ভারসাম্যহীনতাই রোগের কারণ। দেহে কোন স্থানে শক্তির অভাব দেখা দিলে যোগী মনঃশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সে স্থানের শক্তির অভাবটুকু পূরণ করতে পারেন। ফলে শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। অপাণ বায়ু দূষিত হলে আমাদের দেহে নানা প্রকার রোগ হয়। এ বায়ু শুদ্ধি করার মাধ্যমে যোগী নিজেকে সুস্থ্য করতে পারেন। আমাদের নাভির নীচে এ বায়ুর অবস্থান। আমাদের দেহের খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের সাথে এ বায়ুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমাদের জীবনের জন্য সঠিক আহার এবং সঠিক বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের মত মৃত্যুকে মানব জীবনের একটি কঠিন সত্য। যোগীর জীবনাবসান সুখকর হয়। যোগী সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পৃথিবী থেকে অমৃতলোকে গমন করতে পারেন। এটাই যোগের অন্যতম সেরা উপহার।

মনকে নিয়ন্ত্রণ করাকে যোগী অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন। যোগী মনকে অন্তর্মুখী করে দেহের ভিতর কি ঘটছে তা তিনি জানতে চান। যোগী বিশ্বাস করেন যে মনের শক্তি অসীম। যোগীরা কর্মবীর। তাঁরা বিশ্বাস করেন কর্মই ধর্ম, কর্মই জীবন। মানব কল্যাণই তাঁদের কর্মের মূল্য উদ্দেশ্য। যোগী তীব্র ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন হন। তার এ ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করে তিনি অশেষ মানব কল্যাণ সাধন করেন। যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে যোগীর দেহ, মন, প্রাণ, আত্মা দিব্যতায় ভরে উঠে।তিনি দিব্যজীবন লাভ করেন। যোগ অনুশীলনে পাপের ক্ষয় হয়। ক্রমাগত অনুশীলনের ফলে যোগীর আত্মা শুদ্ধ, নির্লোভ ও নির্মল হয় এবং সাধনের জন্য উপযুক্ত হয়। পরিণামে সাক্ষাৎ নির্বাণ (মুক্তি) লাভ হয়। 

যোগ বলতে আমরা সাধারণতঃ রাজযোগ বুঝে থাকি। রাজযোগ ধর্মবিজ্ঞান। ধর্মের যাবতীয় প্রশ্নের বিজ্ঞান সম্মত উত্তর প্রদানে রাজযোগ সক্ষম। রাজযোগকে আট ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার ধ্যান, ধারণা ও সমাধি। যম বলতে অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, অচৌর্য, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহকে বুঝায়। এ যম দ্বারা চিত্ত শুদ্ধি হয়। কোনভাবেই কোন প্রাণীর অনিষ্ট না করাকে অহিংসা বলে। অহিংসা অপেক্ষা মহত্তর ধর্ম আর নেই। সত্য দ্বারাই আমরা কর্মের ফল লাভ করি। এ সত্যের ভিতর থেকেই সবকিছু পাওয়া যায়। সবকিছু সত্যেই প্রতিষ্ঠিত। যথার্থ কথনকেই সত্য বলে। চুরি বা বলপূর্বক অপরের বস্তু গ্রহণ না করাকে অস্তেয় বলে। কায়মনবাক্যে সর্বদা সকল অবস্থায় পবিত্রতা রক্ষা করাই ব্রহ্মচর্য। নিয়ম শব্দের অর্থ নিয়মিত অভ্যাস ও ব্রত পালন। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সকল প্রকার শৌচই সাধনের জন্য প্রয়োজন। যম ও নিয়ম চরিত্র গঠনের সহায়ক। আসন বলতে বুক, গ্রীবা ও মাথা সমান রেখে দীর্ঘক্ষণ সাচ্ছন্দ্যভাবে বসে থাকার অবস্থাকে বুঝায়। যথা পদ্মাসন, সিদ্ধাসন বা গোমুখাসন।

প্রাণায়াম শক্তি অর্জনের উপায়। অনেকেই মনে করে প্রাণায়াম শ্বাস-প্রাশ্বাসের ব্যায়াম। আসলে কিন্তু তা নয়। শ্বাস-প্রাশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টাই প্রাণায়াম। প্রাণায়ামের ক্রিয়া তিন প্রকার। যথা : রেচক, পুরক ও কুম্ভক। দেহ থেকে শ্বাস বাহিরে ছাড়াকে রেচক বলে। শ্বাস বাহির থেকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করানোকে পুরক বলে এবং শ্বাস দেহের মধ্যে বা দেহের বাইরে ধরে রাখাকে কুম্ভক বলে। গৃহীদের খুব বেশি কুম্ভক করা উচিৎ নয়। প্রাণায়াম ফুসফুসের ক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। প্রাণায়ামে মনঃশক্তিরূপ প্রাণের বিকারসমূহকে মানসিক উপায়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন প্রাণায়ামের অনুশীলনের ফলে সাধক অষ্টসিদ্ধি লাভ করতে পারেন। তখন সাধকের নিকট অনন্ত শক্তির দরজা খুলে যায়। অষ্টসিদ্ধি হলো অনিমা, লঘিমা, মহিমা, প্রাপ্তি, প্রকাম্য, বশিত্ব, ঈশিত্ব ও কামবসায়িতা (সত্য সংকল্পতা)। অষ্টসিদ্ধি লাভ হলে জগতের সকল শক্তি ক্রীতদাসের মতো যোগীর আদেশ পালন করেন। প্রাণকে যিনি জয় করেছেন সমস্ত জগত তিনি জয় করেছেন। তার আদেশে মৃত দেহে প্রাণের সঞ্চার হতে পারে। আমাদের দেহে প্রাণ, অপান, সমান, ব্যান ও উদান এ পাঁচ ধরনের বায়ু কাজ করে। নাভীমুলে সমান বায়ুর অবস্থান, নাভীর উপরে প্রাণবায়ু এবং নাভীর নিচে অপ্রাণ বায়ুর অবস্থান। প্রাণ বায়ুর সাথে অপ্রাণ বায়ুর মিলন ঘটায়ে যোগী তখন ইচ্ছামৃত্যু লাভ করতে পারেন। আত্মদর্শন হলে দুঃখ, কষ্ট বা ভয় থাকে না। অরিষ্ট নামক মৃত্যু লক্ষণগুলির উপর মনঃসংযোগ করলে যোগী তার মৃত্যুর সময় জানতে পারেন।

মন সর্বদাই কাম, রাগ, লোভ, মোহ, মদ ও পরশ্রীকাতরতা এ ছয় রিপুর তাড়নায় পঞ্চ ইন্দ্রিয় যথা : চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক এ সংলগ্ন থাকে। মনের এ বিষয়াভিমুখী গতি ফিরিয়ে অন্তর্মুখী করাকে প্রত্যাহার বলে। চিন্তার একমুখতাই ধ্যান। ধ্যানাবস্থা মানক জীবনের সর্বোচ্চ অবস্থা। ইতর প্রাণীর সুখ ইন্দ্রিয়ে, মানুষের সুখ বুদ্ধিতে এবং দেবমানব ধ্যানেই সুখ লাভ করে থাকেন। মনের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে স্থায়ীভাবে ধারণ করাকে ধারনা বলে। হৃদপদ্মে, মাথার কেন্দ্রে বা দেহের অন্য কোন স্থানে মনকে স্থির করার নামই ধারণা। দীর্ঘস্থায়ী গভীর ধ্যানকে সমাধি বলে। সমাধি অবস্থায় অর্থাৎ জ্ঞানাতীত অবস্থায় সাধক জ্ঞানভূমি স্পর্শ করেন। আমাদের অধিকাংশ জ্ঞানই যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে অর্জিত জ্ঞান। এতে সত্য এবং অসত্যের মিশ্রম থাকে। কিন্ত সমাধির জ্ঞান নির্ভেজাল জ্ঞান। সমাধিতে গিয়ে সাধক মহাজ্ঞানী হয়ে উঠেন। এ সমাধিতেই সাধক অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দেখে থাকেন। তিনি তখন অতীতের বার বার জন্ম-মৃত্যুর বিষয়াদি অবলোকন করে মুক্তিকামী হয়ে ওঠেন। সমগ্র মন যখন একটিমাত্র তরঙ্গে পরিণত হয় মনের এ একরূপতার নামই সমাধি।

যোগ সাধনার সময় নানা প্রকার কাজ শরীরের মধ্যে চলতে থাকে। এর অধিকাংশই মেরুদণ্ডের ভিতর সুষুর্মা নাড়ীতে হয়ে থাকে। ইড়া (চন্দ্রনাড়ী) নাড়ী মেরুদন্ডের বামে এবং পিঙ্গলা (সূর্যনাড়ী) মেরুদণ্ডের ডানে অবস্থিত এবং সুষুর্মা নাড়ী মেরুদেণ্ডের মাঝখানে অবস্থিত। ইড়া এবং পিঙ্গলা আজ্ঞাবাহী নাড়ী এবং সমস্ত মেরুদণ্ড প্রাণীতেই এর কার্যকারিতা রয়েছে এবং মস্তিকের আদেশে দেহ এর মাধ্যমেই কাজ করে। মেরুদেণ্ডের মাঝখানে সুষুর্মা নাড়ীর অবস্থান এবং সকল মেরুদণ্ড প্রানীর দেহেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। সাধারণ মানুষের এ সুষুর্মা নাড়ীর  কোন কার্যকারিতা নেই এবং এর নির্মাংশ বন্ধ থাকে। মেরুদন্ডের নিম্নাংশের সামান্য নীচে কুলকুন্ডলিনী বা মূলাধারের অবস্থান এবং দেহের শক্তির কেন্দ্র এ মুলাধার। যোগীরা যোগ সাধনার দ্বারা সুষুর্মার নির্মাংশ খুলে ফেলেন এবং শক্তি ঊর্ধ্বমুখে চালিত করেন। মূলাধার থেকে মাথা পর্যন্ত মেরুদণ্ড সংলগ্ন আটটি চক্র রয়েছে। সর্বনিম্নে মূলাধার চক্র, তারপর স্বাধিষ্ঠান চক্র, মনিপুরচক্র, অনাহত চক্র, বিশুদ্ধ চক্র, আজ্ঞাচক্র, ললনা চক্র এবং মাথায় সহস্রদল চক্র। শক্তির দুটি রূপ। একটি পাশবিক রূপ এবং অপরটি আধ্যাতিক রূপ। নিম্নভূমি মূলাধার চক্র থেকে সহস্যদল চক্রে পৌছলে পাশবিকশক্তি ওজঃশক্তিতে পরিণত হয়। এ ওজঃশক্তিই মানুষের আধ্যাতিক শক্তির পরিচায়ক। মানুষের জ্যোতির্ম্ময় দেহের কারণও এ ওজঃশক্তি। কুন্ডুলিনী শক্তি জাগরিত করাই দিব্যজ্ঞান, জ্ঞানাতীত অনুভূতি বা আত্মানুভূতি লাভের একমাত্র উপায়। কেউ সৃষ্টিকর্তার প্রেমে, কেউ সিদ্ধ মহাপুরুষের কৃপায় আবার কেউ সুক্ষ্ম জ্ঞান বিচার দ্বারা কুন্ডুলিনী জাগরিত করেন।

সাতটি স্তরে যোগী উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেন। যখন জ্ঞানলাভ হতে থাকে তখন একটির পর আর একটি করে সাতটি স্তরে আসতে থাকে। প্রথম অবস্থায় যোগী বুঝতে পারেন যে তিনি জ্ঞান লাভ করছেন। তখন সমস্ত অসন্তোষের ভাব চলে যায়। দ্বিতীয় অবস্থায় সকল দুঃখ চলে যাবে। তৃতীয় অবস্থায় যোগী পূর্ণজ্ঞান লাভ করবেন। চতুর্থ অবস্থান বিবেক সহায়ে সকল কর্তব্যের অবসান হবে। পঞ্চম অবস্থায় চিত্ত-বিমুক্তি অবস্থা আসবে এবং যোগী বুঝতে পারবেন যে তাঁর বাধাবিপত্তি সব চলে গিয়েছে। ষষ্ঠ অবস্থায় চিত্ত বুঝতে পারবে যে ইচ্ছামাত্রই উহা স্বকারণে লীন হয়ে যাচ্ছে। সপ্তম অবস্থায় যোগী বুঝতে পারেন যে, তিনি স্বস্বরূপে আছেন। মন বা শরীরের সাথে আত্মার কোন সম্পর্ক নেই। উহারা আত্মার সাথে কখনও যুক্ত ছিল না। আত্মা একাকী, নিঃসঙ্গ, সর্বশক্তিমান সর্বব্যাপী ও সদানন্দ। আত্মা এত পবিত্র ও পূর্ণ যে তার আর কিছুরই আবশ্যক ছিল না। কারণ আত্মা পূর্ণস্বরূপ। ইহাই যোগীর চরম অবস্থা। যোগী তখন ধীর ও শান্ত হয়ে যান। আর কোন প্রকার কষ্ট অনুভব করেন না এবং দুঃখ আর তাকে স্পর্শ করতে পারে না। তিনি জানতে পারেন যে তিনি নিত্যানন্দস্বরূপ, নিত্যপূর্ণস্বরূপ এবং সর্বশক্তিমান। 

আজ ২১ জুন “আন্তর্জাতিক যোগ দিবস”। পৃথিবীর সকল দেশেই এ দিবস পালিত হচ্ছে। যোগের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করাই এ যোগ দিবস পালনের উদ্দেশ্য। পৃথিবীর সকল মানুষ যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে দিব্য, যোগময় জীবন যাপন করে সুস্থ্য, সবল, কর্মক্ষম দেহ ও দীর্ঘজীবন লাভ করুক- আন্তর্জাতিক যোগ দিবস”-এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : প্রাক্তণ মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন