রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ , ১১ রমজান ১৪৪৪

ফিচার
  >
ভ্রমণ

রুপ বদলেছে মহম্মদপুর উপজেলার

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি , ২০২৩, ১৭:৪৫:০১

101
  • রুপ বদলেছে মহম্মদপুর উপজেলার

মাগুরা: জেলার মহম্মদপুর উপজেলা সদর এক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ, রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ী, ঘোপ বাওড় ও মধুমতি নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু। বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা নানা শ্রেনিপেশার মানুষের যেন বিনোদনের কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। ডিজিটাল এই যুগে নানা কাজে ব্যাস্ত থাকা যান্ত্রিক মানুষগুলো মনের খোরাক জোগাতে জুটে আসেন প্রতিনিয়ত এসব দর্শনীয় স্থানে।  

দেখা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত নিজস্ব প্রাইভেটকার গাড়ী বা মটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিকসা যোগে আসছে নানা শেণি-পেশার লোকজন। পারিবারিক সময় কাটাতে এবং শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করেই উপজেলার এই মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন। 

দৃষ্টিনন্দন মনো লোভা নান্দনিক এই সৌন্দর্য করে গড়ে তুলেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর ও সেখানে পানির পোয়ারা তৈরি করেছেন।

এছাড়াও রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ীসহ দোল খোলায় বালু দিয়ে ভরাট করে মনো লোভা নান্দনিক সৌন্দর্যে গড়ে তুলেছেন মনোরম পরিবেশ। দোল খোলা এলাকার শিশু, কিশোর-কিশোরীরা বিকালে সময় কাটানোর জন্য খেলার মাঠ হিসেবে পেয়েছে। 

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর ও রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ী চত্বর জুড়ে সবুজের সমারোহ। এই সব ঝকঝকে, তকতকে চত্বরজুড়ে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী নানা প্রকার গাছ। এছাড়াও ঘোপ বাওড়, মধুমতি নদীর দুই পাড় এবং শেখ হাসিনা সেতুতে বিকেল হলেই দেখা যায় শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। তরুণ-তরুনী, বন্ধুবান্ধব মিলেও অনেকেই ঘুরতে আসে। তবে বিশেষ কোনো দিনে ভিড় একটু বেশি দেখা যায়।

এর সবই সম্ভব হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায়। উপজেলা প্রশাসন জাঙ্গালিয়া মৌজার ১নং খতিয়ানে ২০ একর খাস জমি এবং মুগল আমলের শেরশাহ্ গ্রান্ডট্রাস্ক রোড দখল মুক্ত করেছেন।

এসবই ছিল এলাকার মানুষের দখলে। যেখানে গড়ে তুলেছেন আশ্রায়ণ প্রকল্প। যে আশ্রয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে বসবাস করছেন ৬৬টি ভুমিহীন পরিবার। উপজেলায় মোট ঘর পেয়েছে ১৩১টি ভুমিহীন পরিবার।

বাকি এই খাস জমিতে বাস টার্মিনাল এবং এলাকার মানুষের বিনোদনের জন্য ডিসি পার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন। এছাড়াও নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা এলাকায় ১৩ একর খাস জমি দখলমুক্ত করে চাষ উপযোগি করে গড়ে তুলেছেন। সেখানে বাদামসহ নানা প্রকার ফসলের চাষ শুরু হয়েছে।   

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, সরকারি সম্পদ রক্ষনাবেক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এটা করে কিছু কৃষি জমিতে পরিনত করা হয়েছে এবং সর্বসাধারণের বিনোদনের জন্য সৌন্দর্য্য করে গড়ে তুলা হয়েছে উপজেলা পরিষদের মধ্যে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরসহ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। দৃষ্টিনন্দন এই সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসে এটা ভালো লাগে।

নিউজজি/এমএফ

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন