গাইবান্ধার ফুলছড়ি হানাদারমুক্ত দিবস আজ

ঢাকা: ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়। তার মাত্র ১২ দিন আগে চৌঠা ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের দামাল ছেলেরা হানাদারমুক্ত করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলাকে। ১১নং সেক্টরের সহকারি কোম্পানি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদকের নেতৃত্বে ৪ ডিসেম্বর ভোররাতে মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম ফুলছড়ি থানায় (পুলিশ ষ্টেশনে) ১০টি গ্রেনেড হামলা চালান। 

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাকসেনারা ক্যাম্প ছেড়ে গোবিন্দী ওয়াপদা বাঁধের আড়ালে অবস্থান নেয়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ঊর্ধ্বশ্বাসে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার দিকে দৌড়ে পালাতে থাকে। গ্রামবাসীও পাকসেনাদের ধাওয়া করে।

এ সময় মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া পাকসেনাদের একটি দল ওয়াপদা বাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ সম্মুখযুদ্ধে ২২ পাকসেনা নিহত এবং শহীদ হন ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরই মধ্যে দিয়ে শক্রমুক্ত হয় ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা।শাহাদত বরনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগন হলেন আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী এবং আব্দুল সোবহান। 

পরদিন ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ সাঘাটা থানার সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা স্কুল মাঠের পাশে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে এই ৫ বীর শহীদের সম্মানার্থে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। তাদের সম্মানে কবরের পাশেই নির্মিত করা হয় স্মৃতি সৌধ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।