রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ , ১১ রমজান ১৪৪৪

ফিচার
  >
পাঠক বিভাগ

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে যাত্রীদের ভোগান্তি

স্বপন ইসলাম, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৭ মে , ২০১৭, ১৮:৩৫:৪৫

6K
  • মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে যাত্রীদের ভোগান্তি

আমরা যারা প্রবাসে থাকি, হৃদয়ের টানে দেশে যাই। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন তথা প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটিয়ে ফিরে আসি প্রবাসে। যাওয়া আসার একমাত্র বাহন হলো বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এয়ার বাসগুলো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ এয়ারলাইনস ভালো সেবা দেয়। এমনকি বাংলাদেশ বিমানের সার্ভিসও ভালো। বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর সার্ভিসও ভালো।

সম্প্রতি আমি বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে। ফেরার সময় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে ফিরেছি। বাংলাদেশে কর্মরত এই এয়ার লাইন্সের কিছু কর্মকর্তা এতো যে খারাপ- তা আমার জানা ছিল না। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাসান সাহেব। ঢাকা থেকে ফেরার পথে এই ভদ্রলোক যে কি পরিমান হেনস্থা করেছে যাত্রীদের- তা বলে বোঝাতে পারব না। তার কাছে আমার অনেক প্রশ্ন করার ছিল। কিন্তু করতে পারিনি। সেই প্রশ্নগুলোই আমি এই লেখার মাধ্যমে করতে চাই তাকে।

জনাব হাসান সাহেব, আপনি কি কারণে হ্যান্ড লাগেজের জন্যে এক্সট্রা টাকা চার্জ করেছেন? তাও আবার ঠিক প্লেন এ ওঠার আগে। বোর্ডিং পাস দেবার সময় হ্যান্ডব্যাগ কেন আপনি চেক করেননি? এই কাজটি করে তো আপনি আপনার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। কিভাবে আপনি যাত্রীদের হ্যান্ডব্যাগ চেক না করে তাদেরকে ছেড়ে দিলেন। আবার যাত্রীরা ঠিক প্লেনে উঠার আগে আপনি হ্যান্ডব্যাগ ক্যারি করার অভিযোগ করে ক্যাশ টাকা চাইলেন? সেসময় আপনি কিভাবে হ্যান্ডব্যাগের ওজন না মেপে নিজের খেয়ালখুশি মতো যাত্রীদের কাছে এতো টাকা চার্জ করছেন তা বোধগম্য ছিল না আমার মতো ভুক্তভোগী অনেক যাত্রীর কাছে। এরপর যাত্রীরা মালয়েশিয়ায় নেমে এয়ারপোর্টে ব্যাগ পাননি।  এই ব্যাগগুলো পাওয়া গেল, যেদিন ল্যান্ড করেছে তার পরের দিন রাতে। সেই হ্যান্ড ব্যাগের জিনিসপত্রগুলো বেশিরভাগই ভাঙা পেয়েছেন যাত্রীরা। তাহলে এত ডলার এক্সট্রা দিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে ব্যাগ ক্যারি করিয়ে কী লাভ হলো যাত্রীদের? আপনার মতো লোক এইভাবে এয়ারপোর্টে ব্ল্যাকমেইল করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেন, অথচ নিজের দায়িত্ব পালন  করেন না। এটা কি ঠিক? বেতনের টাকা যদি আপনার না পোষায় তাহলে চাকরি ছেড়ে ঠেকবাজি করেন। এতে বাংলাদেশের বদনাম অনেক কমে যাবে। আর অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় লোকজন যেতে পারবে না।

সবশেষে বলি, এত টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে ভ্রমণ শেষে আমরা আমাদের ব্যাগগুলো পেয়েছি ছেঁড়া। আসলে দু-একজন অসৎ কর্মচারির জন্যে নাম খারাপ হয় প্রতিষ্ঠানের। তাই আমার মতো ভুক্তভোগী যাত্রীরা আশা করব, তাদের বাংলাদেশ অফিসে নিযুক্ত হাসান সাহেবের মতো অসৎ কর্মকর্তাদেরকে শাস্তি দিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখুক। এটা যে শুধু মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বদনাম তা নয়। এটা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জন্যেও ক্ষতিকর। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করার জন্যে অনুরোধ করব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। যেন কোনো এয়ারলাইনস বা কোনো অসৎ কর্মচারীর জন্যে যাত্রীরা যেন ভুক্তভোগী না হন কিংবা এসবের কারণে বাংলাদেশের সুনাম যেন ক্ষুণ্ণ না হয়।

 

নিউজজি/এসএফ

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন