রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ , ১১ রমজান ১৪৪৪

ফিচার
  >
পাঠক বিভাগ

শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী প্রবীণদের আবেদন

মো. ফকরুদ্দিন ২০ অক্টোবর , ২০১৮, ০০:১৬:৪৫

9K
  • শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী প্রবীণদের আবেদন

এই মাসের  ৮ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৮-১১৮ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১৫ বছর পর পুনরায় মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপনের  বিষয়টি মঞ্জুর করেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বর্তমান সরকারই শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী নিন্মোক্ত আর্থিক সুবিধাগুলোও দিয়েছে—

১. ইতিপূর্বে যাঁরা অবসরে গিয়েছেন তাঁদের অবসরে যাবার প্রাক্কালে যে পেনশন্যাবল অ্যামাউন্ট নির্ধারিত হয়েছে তার ভিত্তিতে তাঁরা দুটি ঈদে বোনাস পেয়ে আসছিলেন, যদিও ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১৫ সালে পে-স্কেলে পেনশন হোল্ডারগণ যথাক্রমে ২৫%, ৫০% ও ৫০% বৃদ্ধিতে বোনাস পেতেন। বর্তমান সরকার নিয়মিত পেনশন হোল্ডারদের মতো শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদেরও উপর্যুক্ত হারে পেনশন্যাবল অ্যামাউন্ট বাড়িয়ে বকেয়াসহ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে (প্রজ্ঞাপন নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৩ (অংশ-২)/১৫৭, তাং- ১৯.১১.২০১৪ ইং)।

২.নিয়মিত পেনশন হোল্ডারদের মতো শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী প্রবীণদের বৈশাখীভাতা এবং বাত্সরিক ৫% হিসাবে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয় (প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭৩.৪৪.০৬৬.১৬-৪০, তাং- ১৯.০৪.২০১৭ ইং)।

৩. শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর মৃত্যুর পর তাঁদের পোষ্যরা কোনো আর্থিক সুবিধা পেতেন না। বর্তমান সরকার ১০০% পেনশন সমর্পণকারীগণ জীবদ্দশায় যেসব সুবিধা পেতেন যেমন মেডিক্যাল ভাতা, উত্সব বোনাস, বৈশাখীভাতা—পোষ্যরাও সেসব পাবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। (প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৩-০৮ ও ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৩-৭২, তারিখ যথাক্রমে ০১.০২.২০১৬ ও ১১.০৭.২০১৬ ইং)

৪. সর্বোপরি উপর্যুক্ত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১. ৭. ২০১৭ থেকে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী ১৫ বছর অবসর জীবন উত্তীর্ণ হলেই তাঁদের ক্ষেত্রে মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপন হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১ বছর এলপিআর পিরিয়ডসহ ৫৭ বছর চাকরির পর মোট ৫৮ বছর শেষে যাঁরা অবসরে গিয়েছেন তাঁরা (৫৮+১৫)=৭৩ বছর বয়স উত্তীর্ণের পর প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত সুবিধা পাবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭০/৭১ বছর। বাংলাদেশের যাঁরা সিনিয়র সিটিজেন অর্থাত্ ৬৫ বছরের ওপর সকল প্রবীণ নাগরিক বিভিন্নভাবে জরাগ্রস্ত। শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী ৬৫ বছর উত্তীর্ণ প্রবীণদের অবস্থা আরো করুণ। অতএব বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের বয়সসীমা ৭৩ বছর থেকে কমিয়ে সিনিয়র সিটিজেন অর্থাত্ ৬৫ বছর পুনঃনির্ধারণের জন্য সরকারের কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানাচ্ছি।

মো. ফকরুদ্দিন

নির্বাহী কর্মকর্তা (অব), রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, ঢাকা

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন