বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ , ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার
  >
মানচিত্র

নামিবিয়ার ভুতের শহর

নিউজজি ডেস্ক ২০ জুন , ২০২২, ১৩:২১:২০

672
  • নামিবিয়ার ভুতের শহর

ঢাকা: একটা শহরের কথা বলি। সেখানে ১৩০০০-এর বেশি অ্যাপার্টমেন্ট, ১৫টা প্রাইমারি স্কুল, একটা হাসপাতাল, ১০টা জিম, ৩৫টা খেলার মাঠ, একটা রেলওয়ে স্টেশন, ১৬৭টা বাস। হয়তো ভাবছেন, এতে নতুন কী! ‘বিশেষ’ এটাই, যে, সেই শহরে একটিও মানুষ নেই! সব পরিত্যক্ত। আর মানুষ সব ছেড়ে চলে গিয়েছিল মাত্র দু’দিনে। গেরস্থালির জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনা, পড়ে আছে সব।মূলত হীরার খনির শ্রমিকেরা তাদের বসবাসের প্রয়োজনে গড়ে তুলেছিল এই শহর। কিন্তু এক সময় শহরটি তার আবেদন হারায়। মানুষজন তাদের বাড়িঘর ফেলে চলে যায়। কিন্তু কেন চলে গিয়েছিল তারা? চলুন সে বিষয়ে জেনে নেই এবার।

শহর ছেড়ে সবার চলে যাবার কারন?

১৯০০ সালের দিকে একটা গুজব ছড়িয়ে পরে। কলম্যানস্কোপ শহরের আশে পাশেই বালির তলায় নাকি আছে একটা হীরের খনি। গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতের গতিতে। তখন দলে দলে খনি শ্রমিকেরা আসতে শুরু করে এই শহরে। অনেক আশা নিয়ে একের পর এক পরিবার হীরের মোহে ভিড় জমায় এবং বসবাস শুরু করে এই শহরে। বালির ওপর গড়ে ওঠে অত্যাধুনিক এক শহর।  কিন্তু সেভাবে কিছুই না মেলায় হতাশ হয়ে কলম্যানস্কোপ শহর ছাড়তে হয় তাদের। তারপর থেকেই এই শহর সম্পূর্ণ নির্জন। চারদিক নিরব শুনশান। কোথাও কেউ নেই। পড়ে রয়েছে শুধু ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ভগ্ন বাজার, দোকান-ঘাট। পুরো শহরটিতে একধরনের ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

কেন বালির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে এই শহর?

আফ্রিকার দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তের নামিবিয়ার এই ভূতড়ে শহর এখন বিশ্বের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ। যতই হোক ভূতের শহর বলে কথা। তবে প্রতিনিয়ত বালি ঝড়ে ধীরে ধীরে এই শহর তলিয়ে যাচ্ছে বালির নিচে। ঝড়ে শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ির প্রায় অর্ধেক চলে গিয়েছে বালির নিচে। বালির ঝড়ে শোঁ শোঁ আওয়াজ ভূতের শহরকে আরও ভৌতিক করে তুলেছে। খুব বেশিদিন এই শহর টিকবে বলে মনে হয় না। অচিরেই মিলিয়ে যাবে বালির নিচে।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন