রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ , ১০ শাবান ১৪৪৬

ফিচার
  >
মানচিত্র

নীল সবুজ পানির দেশ মালদ্বীপ

নিউজজি ডেস্ক ৫ মে , ২০২১, ১২:৫০:৪৪

991
  • নীল সবুজ পানির দেশ মালদ্বীপ

ঢাকা: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, স্বর্গের দ্বীপ, প্রকৃতির কন্যা, সৌন্দর্যের রানি, পৃথিবীর অন্যতম নয়নাভিরাম ও অপরূপ রূপের দেশ মালদ্বীপ। বিধাতা যেন এখানে দুই হাত ভরে প্রকৃতির রূপে কল্পনাতীতভাবে সাজিয়েছেন। যা দুনিয়াজোড়া মানুষকে মুগ্ধ করে ও টানে। এখানে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নতমানের টুনা মাছ পাওয়া যায় বলে। মালদ্বীপকে টুনা কন্যাও বলে থাকেন অনেকে। 

মালদ্বীপের মূল আকর্ষণ হলো এর সরল, শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, আদিম সমুদ্র সৈকত ও ক্রান্তীয় প্রবাল প্রাচীর। এখানকার সমুদ্রের রং অতি পরিষ্কার, পানির রং নীল, বালির রং সাদা। ছোট ছোট দ্বীপগুলো যেন নানান রঙের মাছের অ্যাকুরিয়াম। জলরাশির দিগন্তজোড়া সমুদ্রবক্ষ, সমুদ্র গর্জন, বায়ুপ্রবাহ যেন তাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন করে পর্যটকদের অশান্ত মনকে শান্ত করে। হতাশা দূর করে উচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয় আর মুগ্ধতায় ফিরিয়ে দেয় মনপ্রাণ। 

যারা সমুদ্র পছন্দ করেন, নির্জনতায় হারিয়ে যেতে চান, সমুদ্রের অবগাহনে নিজেকে স্নান করাতে চান, প্রকৃতির সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যের সুরা পান করতে চান, তাদের জন্য মালদ্বীপই হচ্ছে আকর্ষণীয়, প্রিয় ও আদর্শ স্থান।

দক্ষিণ এশীয় দেশ মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম মালে এবং দেশটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক জোট সার্কের সদস্য। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ দেশের মোট আয়তন ১১৫.১ বর্গমাইল এবং মোট জনসংখ্যা প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ। রাষ্ট্রপতিশাসিত দেশটির রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় ভাষা মালদ্বীপি বা ধিবেহি। পাশাপাশি সিংহলি, আরবি, হিন্দি এবং পর্যটকদের জন্য কিছু কিছু অংশে ইংরেজি ভাষার প্রচলন আছে। দেশটির মুদ্রার নাম রুফিয়া এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে নিচুু এ দেশটি এক হাজার দুই শরও বেশি ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। মধ্য যুগে ইবনে বতুতা ও অন্য আরব পর্যটকরা এই অঞ্চলকে ‘মহাল দিবিয়াত’ নামে উল্লেখ করেছেন। আরবিতে মহাল অর্থ প্রাসাদ। বর্তমানে এই নামটিই মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয় প্রতীকে লেখা হয়।

মালদ্বীপের সময় বাংলাদেশ থেকে এক ঘণ্টা  পেছানো। উড়ালপথে দক্ষিণ ভারতের কেরালা থেকে মালদ্বীপ দেড় ঘণ্টার পথ। ক্ষুদ্র এই দেশটিতে ‘দ্য মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ)’ নামে আছে নিজস্ব যৌথ প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই বাহিনীর মূল কাজ দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা। কোস্টগার্ড, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস, ইনফেন্ট্রি সার্ভিস, ডিফেন্স ইনস্টিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এমএনডিএফের বাহিনী পরিচালনা করে থাকে।

পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এ দেশের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র ২.৩ মিটার এবং গড় উচ্চতা ১.৫ মিটার। পর্যটন খাতই মালদ্বীপের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। পর্যটকদের জন্য ছোট ছোট দ্বীপে করা হয়েছে বিলাসবহুল রিসোর্ট। বেশির ভাগ রিসোর্টই গঠিত গোটা একটি দ্বীপ নিয়ে। দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীপগুলোতে বছরজুড়েই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। মৎস্য চাষও মালদ্বীপের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মালদ্বীপ ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘে যোগদান করে।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন