রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ , ১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার
  >
মানচিত্র

ফ্রান্স পশ্চিমা বিশ্বের প্রাচীনতম রাষ্ট্র

নিউজজি ডেস্ক ৩০ জুন , ২০২০, ০১:০৭:০৪

9K
  • ফ্রান্স পশ্চিমা বিশ্বের প্রাচীনতম রাষ্ট্র

ঢাকা : পৃথিবীর সকল কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীদের যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন দেশে প্রথমে ভ্রমণ করতে চান, তাদের সোজা উত্তর ফ্রান্স। প্যারিস নিয়ে কত কবি ও লেখকের এত এত লেখালেখি পড়ে আমরা বেড়ে উঠেছি। এই দেশের ইতিহাস সবচেয়ে সমৃদ্ধ। 

আয়তনের দিক থেকে ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই এর স্থান। আর জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। মূল ভূখণ্ডের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রান্সের দশটি উপনিবেশ আছে, যেগুলি বেশির ভাগই প্রাক্তন ফরাসি সাম্রাজ্য থেকে পাওয়া। ফ্রান্স মোটামুটি ষড়ভুজাকৃতির। এর উত্তর-পূর্বে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবুর্গ, পূর্বে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি, দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যান্ডোরা ও স্পেন, উত্তর-পূর্বে ইংলিশ চ্যানেল, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তরে উত্তর সাগর, এবং দক্ষিণ-পূর্বে ভূমধ্যসাগর।

ফ্রান্স পশ্চিমা বিশ্বের প্রাচীনতম রাষ্ট্রগুলির একটি। এর ইতিহাস সমৃদ্ধ ও বিচিত্র। ফ্রান্সের সর্বপ্রথম অধিবাসীদের সম্পর্কে তেমন বিশেষ কিছু জানা যায় না। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের গুহায় পাওয়া ছবিগুলি প্রায় ১৫,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বলে অনুমান করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক থেকে কেল্টীয় ও অন্যান্য গোত্রের লোকেরা ফ্রান্সে প্রবেশ করতে ও এখানে বসবাস করতে শুরু করে। প্রাচীনকালে ফ্রান্স অঞ্চল কেল্টীয় গল (Gaul) নামে পরিচিত ছিল। 

প্রাচীন রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে ফ্রান্সের দখল নেয় এবং খ্রিস্টীয় ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত অঞ্চলটি শাসন করে। রোমের পতনের পর অনেকগুলি রাজবংশ ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্স শাসন করে। মধ্যযুগে রাজতন্ত্রের প্রভাব খর্ব হয় এবং স্থানীয় শাসকভিত্তিক সামন্তবাদের উত্থান ঘটে।

১৪শ শতক থেকে ১৮শ শতক পর্যন্ত আবার রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়; এসময় ফ্রান্সের রাজারা ও তাদের মন্ত্রীরা ধীরে ধীরে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র ও বড় আকারের সামরিক বাহিনী গড়ে তোলেন। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এর পর বহু দশক ধরে ফ্রান্স রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়। এ সত্ত্বেও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (Napoleon Bonaparte) এর শাসনামলে ফ্রান্স একটি সংহত প্রশাসনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করে।

১৯শ শতকে ও ২০শ শতকের শুরুতে ফরাসি শক্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এসময় ফ্রান্স বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় পুরোটাই ফ্রান্সের মাটিতে সংঘটিত হয় এবং এর ফলে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি উত্তর ফ্রান্স দখল করলে মধ্য ফ্রান্সের ভিশিতে (Vichy) একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্স তার ধূলিস্যাৎ অর্থনীতিকে আবার গড়ে তোলে এবং বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পরাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ফ্রান্সের উপনিবেশগুলিতে সাম্রাজ্যবিরোধী আন্দোলন জেগে ওঠে এবং এর ফলে ফ্রান্স অচিরেই তার বেশির ভাগ উপনিবেশ হারায়।

১৯৫৮ সালে আলজেরিয়ায় ফরাসিবিরোধী আন্দোলন ফ্রান্সকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। এসময় ফরাসি সরকার ২য় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ফরাসি নেতা শার্ল দ্য গোল-কে (Charles de Gaulle) একনায়কের ক্ষমতা দান করে। দ্য গোল বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে ফ্রান্সকে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। সাম্প্রতিককালে ফ্রান্স জার্মানির সাথে একত্রে মিলে গোটা ইউরোপের অর্থনীতি ও রাজনীতির সমন্বয়ে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছে।

ফ্রান্সের মোট দেশজ উৎপাদনের মূল্য ২৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ফলে ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি । কৃষিদ্রব্য উৎপাদনে ফ্রান্স ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ; এটি মূলত খাদ্যশস্য, ওয়াইন, পনির ও অন্যান্য কৃষিদ্রব্য ইউরোপ ও সারা বিশ্বে রপ্তানি করে।

ফ্রান্স ভারী শিল্পের দিক থেকেও বিশ্বের প্রথম সারির দেশ; এখানে মোটরযান, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি, ও রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। তবে ইদানীংকার দশকগুলিতে সেবামূলক শিল্প যেমন ব্যাংকিং, পাইকারী ও খুচরা বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটন ফরাসি অর্থনীতিতে ব্যাপক ও প্রধান ভূমিকা রাখা শুরু করেছে।

ফরাসি সংস্কৃতি জগদ্বিখ্যাত; শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে ও প্রসারে ফ্রান্সের সংস্কৃতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মধ্যযুগ থেকেই প্যারিস পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। ফরাসি রান্না ও ফ্যাশন বিশ্বের সর্বত্র অনুসৃত হয়।

ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা/কোট ডা’জিউর:   ফ্রান্সের সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানের লিস্টের ৫ম স্থানে রয়েছে ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা / কোট ডা’জিউর (French Riviera / Côte d’Azur)। এটি ফ্রান্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপকূলীয় অঞ্চল যার সমার্থক শব্দ হতে পারে — “গ্ল্যামার”।

কোট ডা’জিউর এর মানে হলো “Coast of Blue (নীল উপকূল)” যার কারন ভূমধ্য সাগর (Mediterranean Sea) এর গভীর নীল রং। তবে ইংরেজিতে একে বলা হয় ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা। এটি সেইন্ট ট্রপেহ (Saint Tropez) থেকে ইতালির সীমান্তবর্তী মেন্টন (Menton) পর্যন্ত বিস্তৃত।

গ্রীষ্মকালে এটি হয়ে উঠে সৈকতপ্রেমীদের মিলনস্থল। জাহাজ আর ইয়ট গুলোতে চোখে পরে অনেক বিত্তশালী লোকদের। এখানকার “কান (Cannes)” বিখ্যাত এর সেলিব্রিটি ফিল্ম ফেস্টিভাল এবং হোটেলের জন্য।

ভার্সাইল:  লিস্টের ৪র্থ স্থানে রয়েছে ভার্সাইল (Versaille) যা হলো ফ্রান্সের একটি ক্ষুদ্র গ্রাম। আর এই ভার্সাইল গ্রাম তার বৃহৎ এবং অত্যাশ্চর্য প্রাসাদ (চাতেউ, Palace of Versaille) – এর জন্য বিখ্যাত। এই স্থানটি হল ফরাসি শিল্পের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্যের নিদর্শন।

ফরাসি বিপ্লবের সময় রানি মারি এন্তনের জন্য ভার্সাইল প্রায়ই খবরের শিরোনাম হতো।ভার্সাইলের মূল বাসভবন শুধুমাত্র ত্রয়োদশ লুই এবং তার পরিবারের জন্য একটি শিকার লজ হিসাবে ব্যবহৃত হলেও, পরবর্তীকালে একে বিভিন্নভাবে অলংকৃত করে একটি অপরিমেয় রাজকীয় ভবনে রূপ দেওয়া হয়।

রাজকীয় এই প্রাসাদটি তার সুন্দর বাগান এবং “হল অফ মিরর” এর জন্য খুবই পরিচিত। ফ্রান্সের পর্যটকরা সাধারণত বিখ্যাত এবং রাজকীয় এই প্রাসাদটির পরিদর্শন করতেই ভার্সাইল আসে। তবে, এই শহরটি তার নিজস্ব সত্ত্বায়ই পর্যটকদের কাছে বিস্ময় হয়ে উঠেছে। 

মন্ট সেন্ট-মিচেল:  ফ্রান্সের সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানের লিস্টের ৩য় স্থানে রয়েছে মন্ট সেন্ট-মিচেল (Mont Saint-Michel)। সমুদ্র থেকে উত্থিত মন্ট সেন্ট-মিচেল যেন এক অদ্ভূত কাল্পনিক দূ্র্গ। এর অবস্থান ফ্রান্স এর নরমান্ডি উপকূলের কাছাকাছি একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে যা ইউরোপের সর্বোচ্চ জোয়ার প্রবাহ দ্বারা আক্রান্ত হয়।

মধ্যযুগীয় এই দূর্গটি গির্জাতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে ফ্রান্সের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল রূপে মাথা তুলে দাড়ায়। এখানে বিভিন্ন দোকান, রেস্তোঁরা এবং ছোট ছোট হোটেলও দেখা যায়। ইউনেস্কো ১৯৭৯ সালে মন্ট সেন্ট-মিচেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। প্রতি বছর প্রায় ৩০০০০০০ দর্শনার্থী আসে এই গির্জাটি দেখতে। 

লুভ্যর মিউজিয়াম:  ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ও সমৃদ্ধ লুভ্যর মিউজিয়ামটি (The Louvre Museum) আমাদের লিস্টে ২য় স্থানে রয়েছে। ফ্রান্সের এই মিউজিয়ামটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১২০০ সালে যদিও এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০ বছর আগে। তবে লুভ্যরের স্বর্ণযুগ বলা হয় সম্রাট ১ম নেপোলিয়ানের শাসনামলকে। তার নেতৃত্বেই ফ্রান্সের আধিপত্য সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিস্তৃত হয় এবং মিউজিয়ামটির সংগ্রহশালা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।

তিনি বিজিত দেশগুলো থেকে লুট করা মহামূল্যবান দ্রব্যসমাগ্রী ও শিল্পসম্ভার এখানে এনে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু নেপোলিয়ানের পতনের পর এসব মহামূল্যবান অনেক দ্রব্যসমাগ্রী ও শিল্পসম্ভারই বিজিত দেশগুলোকে পুনরায় ফেরিয়ে দেয়া হয়। ১৮৪৮ সালে লুভ্যর মিউজিয়াম ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে পরিণত হয়।

বর্তমানে এতে ৬টি প্রশাসনিক বিভাগসহ পৃথক গ্যালারিতে গ্রিক, মিসরীয়, রোমান ও প্রাচ্যের অসংখ্য শিল্পনিদর্শন রয়েছে। বহু বিখ্যাত শিল্পী ও ভাস্করের শিল্প ও ভাস্কর্যকর্মও আছে এই মিউজিয়ামটিতে। দা ভিঞ্চির বিশ্ববিখ্যাত শিল্পকর্ম ‘মোনালিসা’ও এই লুভ্যরেই সংরক্ষিত আছে। 

আইফেল টাওয়ার:   ফ্রান্সের দর্শনীয় বা আকর্ষণীয় স্থানের কথা বলা হলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে আইফেল টাওয়ার (Eiffel Tower) এর ছবি। তাই তো? হ্যাঁ, আমাদের লিস্টের ১ম স্থানেও আছে ফ্রান্সের এই ল্যান্ডমার্ক। এর অবস্থান প্যারিস শহরে। এর নির্মাতা গুস্তাভো আইফেল ১৮৮৯ সালে প্যারিস আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর প্রবেশদ্বার তোরণ হিসেবে এটি নির্মাণ করেন। এটি লম্বায় ৩২৪ মিটার (১,০৬৩ ফুট)। ১৮,০৩৮ টি লোহার খণ্ড দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় কাঠামো জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই আইফেল টাওয়ার।

দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য লৌহ নির্মিত এই আইফেল টাওয়ারটিতে ৩টি স্তর রয়েছে। তবে এর তৃতীয় তলাটিই প্যারিস শহর পর্যবেক্ষণ করার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০০০ দর্শনার্থী আসে এই আইফেল টাওয়ার দেখতে। ফ্রান্সের আরো কিছু দর্শনীয় স্থান: শ্যাতো দে ভিনসেনস্, শ্যামনি, চ্যাম্প-ইলিসি, নটর্ ডেম, সেন্ট-ক্ল্যাউড, শেভরেস, ল্যে চেসন্যে, গার্চেস, ডিজনিল্যান্ড, আর্ক ডি ট্রাইয়ামফ্, মুস্যি ডি’ওর্স্যে ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন। উয়েফার একজন সদস্য হিসেবে ফ্রান্স বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১৯৩০ সালে ফ্রান্স প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়। সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ছিলো অংশ নেওয়া চারটি ইউরোপীয় দলের একটি।

১৯৯৮ সালে দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। সেবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশও ছিলো ফ্রান্স। ফাইনালে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপে একবার করে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করা দল। এছাড়া ফ্রান্স দুইবার উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন।

প্রথমটি ছিলো ১৯৮৪ সালে। সেবার ব্যলন ডি’অর জেতা ফরাসি ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি ফ্রান্সের এই জয়ে ভূমিকা রাখেন। আর এর পরেরটি ফ্রান্স জেতে তিনবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া জিনেদিন জিদানের নৈপুণ্যে। পরবর্তীতে ফ্রান্স ফিফা কনফেডারেশন্স কাপও জয়লাভ করে। এর ফলে ফ্রান্স দ্বিতীয় দল হিসেবে ফিফা আয়োজিত তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগীতার শিরোপা অর্জনকারী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই তিনটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ, ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, ও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবল।

ছবি ও তথ্য – ইন্টারনেট 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন