বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ , ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার
  >
মানচিত্র

সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের দেশ স্পেন

 ২৭ জুন , ২০২০, ০০:১১:২৫

3K
  • সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের দেশ স্পেন

ঢাকা : প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বিভিন্ন পটভূমির অধিবাসীদের নিয়ে গঠিত এক বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ স্পেন। অধিকাংশ এলাকাজুড়ে রয়েছে গম ও আঙুরের খেত আর অলিভ গাছ। স্পেন ইউরোপ মহাদেশের ইবেরীয় উপদ্বীপের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে অবস্থিত । উপদ্বীপটির বাকি অংশজুড়ে রয়েছে স্পেনের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী রাষ্ট্র পর্তুগাল এবং ব্রিটিশ প্রশাসনিক অঞ্চল জিব্রাল্টার। আয়তনে ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম ও দক্ষিণ ইউরোপের বৃহত্তম দেশ। 

স্পেনের উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর-পূর্বে পিরিনীয় পর্বতমালা, পূর্বে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে পর্তুগাল ও আটলান্টিক মহাসাগর। আটলান্টিক মহাসাগরের লাস কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জ এবং ভূমধ্যসাগরের বালিয়ারীয় দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের শাসনাধীন। মরক্কোর সেউতা ও মেলিয়া নামে দুটি ছিটমহলও স্পেন পরিচালনা করে। 

ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ স্পেন। স্পেনের পাথর দিয়ে নির্মিত দুর্গ, বরফাবৃত পর্বতমালা, বিশাল আকৃতির সৌধ এবং আধুনিক ও পরিশীলিত শহরগুলোর গল্প মুখে মুখে ফেরে। একসময় শিক্ষা, গণিত, ভূগোল, স্থাপত্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কাব্যচর্চায় স্পেন ছিল বিশ্বসেরা। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নেতৃত্বে স্পেনের রাজার জাহাজের বহর আমেরিকা মহাদেশে পদার্পণ করে। এর পরের ৩০০ বছর স্পেনের বিশ্বজয় অব্যাহত ছিল। এ সময় বাণিজ্যে বিপুল অগ্রগতির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হয় স্পেন। পরে অবশ্য কমতে শুরু করে স্পেনের প্রভাব-প্রতিপত্তি। 

স্পেনের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আবারও শুরু হয় বিংশ শতাব্দী থেকে। এখন তারা বিশ্বের ১৫তম বড় অর্থনৈতিক শক্তি। 

স্পেন ২০০৮ সালে উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জার্মানিকে পরাজিত করে। ২০১২ সালে ইতালীকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে স্পেন একমাত্র দল হিসেবে টানা দুবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া স্পেন ১৯৬৪ সালে ইউরোপীয়ান নেশন্স কাপ জয় করে ও ১৯৮৪ সালে ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হয়। এখন পর্যন্ত দলটি ১৪ বার ফিফা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দলটির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে স্পেন ফিফা বিশ্ব র্যাংেকিংয়ে প্রথম বারের মতো শীর্ষে উঠে। ৬ষ্ঠ দল হিসেবে এই স্থানে আসীন হয় তারা। ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে জুন ২০০৯ পর্যন্ত স্পেন টানা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড করে। এই রেকর্ডটি পূর্বে ছিলো একমাত্র ব্রাজিলের দখলে। এই ৩৫টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার সময় স্পেন টানা ১৫টি খেলায় জয়লাভ করে, এবং এটিও ছিলো একটি রেকর্ড।

একনজরে পুরো নাম : কিংডম অব স্পেন। রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর : মাদ্রিদ। দাপ্তরিক ভাষা : স্প্যানিশ। জাতিগোষ্ঠী : ৮৯.৯ শতাংশ স্প্যানিশ, ১০.১ শতাংশ অন্যান্য। প্রধান ধর্ম : রোমান ক্যাথলিক। সরকারপদ্ধতি : ইউনিটারি পার্লামেন্টারি কনস্টিটিউশনাল রিপাবলিক। রাজা : পঞ্চম ফিলিপ। প্রধানমন্ত্রী : মারিয়ানো রাহয়। আইনসভা : কোর্টেস জেনারেলস, উচ্চকক্ষ সিনেট, নিম্নকক্ষ কংগ্রেস অব ডেপুটিস। আয়তন : পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৯৯০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা : চার কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১। জিডিপি : মোট ১.৮৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু ৪০২৯০ ডলার। মুদ্রা : ইউরো। জাতিসংঘে যোগদান : ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৫।

তথ্য ও ছবি – ইন্টারনেট 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন