বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ , ২৯ শাবান ১৪৪৪

ফিচার
  >
মানচিত্র

প্রাচীন পৃথিবীর সদস্য জর্ডান

নিউজজি ডেস্ক ২১ মে , ২০২০, ০১:৩৭:১১

9K
  • প্রাচীন পৃথিবীর সদস্য জর্ডান

ঢাকা : পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যেসব জনপদ গড়ে উঠেছে, এবং যেসব জনপদের সভ্যতার ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ, সেসবের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জর্ডান। 

রাষ্ট্রীয় নাম : হাশেমি রাজতন্ত্র, জর্ডান (The Hashemite Kingdom of Jordan)। রাজধানী : আম্মান। রাষ্ট্রপ্রধান: বাদশাহ্ । 

আধুনিক জর্ডানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ১৯৪৬ সালের ২২শে মার্চ লন্ডনে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটেন একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ট্রান্সজর্ডানকে স্বীকৃতি দেয়। ঐ বছর ২৫শে মে আমীর আব্দুল্লাহ্ রাজা উপাধি ধারণ করেন। তারপর ১৭ই জুন লন্ডন চুক্তিটি অনুমোদিত হয়। ১৯৪৯ সালে এ অঞ্চলের নাম হাশেমি রাজতন্ত্র জর্ডান রাখা হয়। ১৯৫৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইরাক ও জর্ডানের সমবায়ে ‘আরব ফেডারেশন’ গঠিত হয়। কিন্তু ঐ বছর’১৪ই জুলাই ইরাকে বিপ্লবের ফলে ফেডারেশন বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালের জুন মাসে ইসরাঈলী সৈন্যরা পশ্চিম তীর দখল করে নেয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনীদের এ অংশটি আর জর্ডান সরকারের প্রশাসনভুক্ত নয়। এ অঞ্চলের দাবি ফিলিস্তিনী মুক্তি সংস্থার (পিএলও) কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

আয়তন : জর্ডানের মোট আয়তন ৮৯,৫৪৪ বর্গকিলোমিটার। 

জনসংখ্যা : ২০১১ সালের জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী জর্ডানের জনসংখ্যা ৭৭,৪৫,০০। যাদের অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসলমান। 

ভৌগোলিক অবস্থান : জর্ডান এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ। দেশটির চারপাশে রয়েছে সিরিয়া, ইরাক, সৌদি আরব, ফিলিস্তিন ও ইসরাঈল। 

ধর্ম : জর্ডানের ৮০ শতাংশ নাগরিক সুন্নী মুসলমান। 

ভাষা:  আরবি ও ইংরেজি প্রচলিত ভাষা। 

জলবায়ু : দেশটিতে প্রধানত ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বিদ্যমান। গ্রীষ্মকালে জলবায়ু গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে ঠান্ডা ও আর্দ্র। দেশটির পাহাড়ী এলাকায় গ্রীষ্মকালেও ঠান্ডা, শীতকালে আরও প্রচন্ড শীত। সমতল এলাকায় গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এবং শীতকালে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। জানুয়ারি মাসে রাজধানী আম্মানের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট এবং জুলাই মাসে ৭৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠানামা করে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩০.৪৮ সে.মি.। 

মুদ্রা: জর্ডানী দিনার (জেডি) 

সংবিধান ও সরকার: জর্ডানে রাজতান্ত্রিক সরকার বিদ্যমান। দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেনেটর উচ্চ কক্ষের সদস্য সংখ্যা ৮০। সদস্যরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সিনেটের সদস্য সংখ্যা ৩০। সদস্যরা বাদশাহ কর্তৃক মনোনীত হন। মন্ত্রিপরিষদ তার কাজের জন্যে পার্লামেনেটর কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। 

যোগাযোগ ব্যবস্থা : দেশটির সড়ক পথের দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৯৫ কিলোমিটার, রেলপথ ৮শ’ ১৮ কিলোমিটার। জর্ডানে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং একটি নৌ-বন্দর রয়েছে। 

জীবন যাত্রা: ইউরোপ-আমেরিকার মত খোলামেলা। 

শিল্প : জর্ডানে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিমেন্ট, ইস্পাত, সার, জ্বালানি, ফসফেট, সিগারেট, বস্ত্র, পাদুকা, ব্যাটারি, প্লাস্টিক সামগ্রী, চামড়া দ্রব্য, ওষুধ, কসমেটিক প্রভৃতি প্রধান। 

খনিজ সম্পদ: জর্দানের খনিজ পদার্থের মধ্যে ফসফেট, পটাশ প্রভৃতি প্রধান। কৃষিঃ দেশটির কৃষিপণ্যের মধ্যে জলপাই, টমেটো, গম, তামাক, ফলমূল প্রভৃতি প্রধান। পর্যটনঃ ডেড সী (মৃত সাগর) ও রোমান সভ্যতার অনেক নিদর্শন এখনো টিকে থাকায় সারা বছর ইউরোপ ও আমেরিকা হতে প্রচুর পর্যটক জর্ডান ভ্রমণ করে। বনজ সম্পদঃ ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী জর্ডানের বনাঞ্চলের পরিমাণ ৮১ হাজার হেক্টর।

তথ্য ও ছবি – ইন্টারনেট 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন