শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

ফিচার
  >
মানচিত্র

হাজার দ্বীপের দেশ ক্রোয়েশিয়া

নিউজজি ডেস্ক ৮ জুলাই , ২০১৮, ১২:০৪:৪২

21K
  • হাজার দ্বীপের দেশ ক্রোয়েশিয়া

বিশ্বকাপ ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণে ক্রোয়েশিয়া এখন সারা বিশ্বের কাছে বহুল পরিচিত এক দেশ। ক্রোয়েশিয়া ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এক সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী ক্রোয়েশিয়া। এটির রাজধানী জাগ্রেব। ক্রোয়েশিয়া দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উত্তর পূর্ব সীমান্তে হাঙ্গেরি, পূর্বে সার্বিয়া, দক্ষিণ পূর্বে বসনিয়া,হার্জেগোভিনা ও মন্টিনেগ্রো। 

ক্রোয়েশিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোতে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী একটি বহুদলীয় ব্যবস্থাতে সরকার প্রধান। নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে এবং আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ক্রোয়েশীয় সংসদ বা সাবর (Sabor)-এর হাতে ন্যস্ত। বিচার ভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ হতে স্বাধীন। ক্রোয়েশিয়ার বর্তমান সংবিধান ১৯৯০ সালের ২২শে ডিসেম্বর গৃহীত হয়। দেশটি ১৯৯১ সালের ২৫শে জুন প্রাক্তন ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

ক্রোয়েশিয়ার উপকূলে রয়েছে প্রায় হাজারখানেকের মত বিভিন্ন আকৃতির দ্বীপ। এটি ৫৬.৫৯৪ বর্গ কিলোমিটার (২১,৮৫১ বর্গ মাইল) জুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্যে ৫৬.৪১৪ বর্গ কিলোমিটার ভূমি (২১,৭৮২ বর্গ মাইল) এবং ১২৮ বর্গ কিলোমিটার জল ভাগ (৪৯ বর্গ মাইল) রয়েছে। অপরূপ সুন্দর এই দ্বীপগুলোতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটকদের ভিড় হয়ে থাকে। ক্রোয়েশিয়া পর্যটকদের জন্য একদম উপযুক্ত একটি জায়গা আর সমুদ্র পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে এই বিশ্বে। অসাধারণ দৃশ্যের সমুদ্র দেখতে ক্রোয়েশিয়ায় আসতেই হয় পর্যটকদের।

ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করছে। যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই আধুনিককালের ক্রোয়েশীয় দল ১৯৯১ সালে গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়ে তারা তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে ও ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় দলটি। প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় স্থান লাভ করে বিশ্ব ফুটবলে সাড়া জাগায়। দলের পক্ষে ডেভর সুকার শীর্ষ গোলদাতার ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হন ও বিশ্বকাপের সোনার বুট লাভ করেন।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানির চেয়েও শক্তিশালি মিডফিল্ড যদি কোনো দলের থাকে তো সেটি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বসেরা দুই ক্লাব বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের দুই সেরা মিডফিল্ডার হচ্ছেন ইভান র্যাকিটিক এবং লুকা মদ্রিচ। যারা দু’জনই ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার। সঙ্গে মাতেও কোভাচিচ, ইভান পেরিসিকের মত মিডফিল্ডার রয়েছেন এই দলটিতে। মিডফিল্ড যাদের যত বেশি শক্তিশালী, দলটাও তত শক্তিশালী।

কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি এখন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অবশ্য শুধু এইটুকু বললে তার কৃতিত্ব আসলে বোঝানো হয় না। দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি!  ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক মন্ত্রী ছিলেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ। তারপর ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৪ – এই তিন বছর প্রথম নারী হিসেবে ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সি কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ।

দেশের ক্ষমতার শীর্ষে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরেই ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেছেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ। তখনকার বিরোধী দলীয় ‘প্যাট্রিয়টিক কোয়ালিশন’, অর্থাৎ ‘দেশপ্রেমিক জোট’-এর সদস্যরা নির্বাচনে জয় লাভের পর তাকেই বেছে নেয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে। 

এক মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশেষ কিছু করে সবার মন জয় করা প্রায় অসম্ভব। তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তার মোহনীয় রূপ এবং আকর্ষণীয় দেহবল্লরির সুবাদে দেশের সীমানার বাইরেও কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে নাকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ক্রোয়েশিয়ার নাগরিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন!

ছবি ও তথ্য – ইন্টারনেট 

পাঠকের মন্তব্য

নাম: Wahidur
২০১৮-০৭-০৮ ১২:৪৭:০০
মন্তব্য: আরো বেশী তথ্য চাই।

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন