শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯ , ৯ রমজান ১৪৪৪

ফিচার
  >
আইনী সহায়তা

৫৭ ধারা কী?

রেজাউল করিম শিল্পী, এডভোকেট ২৬ ডিসেম্বর , ২০১৭, ১৭:১৪:৫১

111K
  • ৫৭ ধারা কী?

ইদানীং কালে সবচেয়ে বেশী আলোচনা, বিতর্ক আর অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে আইন তা হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এর ৫৭ ধারা। সংক্ষেপে এটিকে ৫৭ ধারা নামে চিনে গেছে সবাই।

অনেকেই আলোচনা সমালোচনায় শরীক হলেও বাস্তবে ৫৭ ধারায় কি আছে তারা জানেন না। অনেকেরই জিজ্ঞাসা ৫৭ ধারা কি? তাই সবার জ্ঞাতার্থে নিম্নে হুবহু এই ৫৭ ধারা তুলে ধরা হলঃ

তথ্য ও  প্রযুক্তি আইন ২০০৬

ইলেক্ট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড

ধারা- ৫৭

১/  কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন  হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷

২/  কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷

উল্লেখ্য ২০০৬ সালের আইনে শাস্তির বিধান "অনধিক দশ বৎসর কারাদণ্ডে" থাকলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৪ ধারা বলে শাস্তির বিধান বাড়িয়ে "অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ড" করা হয়।

শুরুতে এই আইনটিকে অনেকে স্বাগত জানালেও কালক্রমে ব্যাপকহারে এটির স্বেচ্ছাচারীমূলক অপপ্রয়োগের অভিযোগ বাড়তে থাকায় এটি বাতিলের দাবি প্রবল হয়ে উঠেছে।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন