শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৫ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

ফিচার
  >
উৎসব

আজ শ্যামাপূজা ও দীপাবলি

নিউজজি প্রতিবেদক ১২ নভেম্বর , ২০২৩, ১২:২০:২৭

576
  • ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দীপাবলির কাউন্ট ডাউন। সেই অপেক্ষা শেষে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে হয় কালী পূজা। কার্তিক মাসের এই কালীপূজা শ্যামাপূজা নামেই অভিহিত। আজ রোববার (১২ নভেম্বর) শ্যামা পূজা বা কালী পূজা। ভূভারত হয়ে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করবে দীপাবলি উৎসব। ন্যায়ের জয় আর পারলৌকিক আঁধার সরিয়ে ফেলার কামনায় তারা নৈবেদ্য দেবে তাদের কালীমাতার পাদপদ্মে। মঙ্গলশিখায় হিন্দু গৃহগুলো আলোকিত করে রাখা হবে। নিশি উপবাসের পর আগামীকাল অন্নকুট মহোত্সব আর সন্ধ্যা আরতি দেয়া হবে।

হিন্দু পূরাণ মতে- কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে- শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

শিশিরঝরা হেমন্তের ঘনঘোর অমাবস্যা তিথিতে আজ দীপাবলির আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে চারদিক। দীপাবলি অন্ধকারের ওপর আলোর বিজয়, মন্দের ওপর ভালোর এবং অজ্ঞতার ওপর জ্ঞানের প্রতীক। হিন্দুরা মনে করেন, এই মাহেন্দ্র লগনে আবির্ভাব ঘটবে কালী দেবীর। 

এই দিন সনাতন ধর্মের মানুষরা ঘরে ঘরে ছোট মাটির প্রদীপ জ্বালেন। দীপাবলির অনুষ্ঠানে সারি-সারি প্রদীপের আলোতে স্বর্গের দেবতাকে গৃহে বরণ করে নেয়া হয়। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক। উত্তর ভারতে দীপাবলির সময় নতুন পোশাক পড়া, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণের প্রথাও আছে।

বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, আজ সন্ধ্যায় দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্বালন এবং দিবাগত রাতে শ্যামাপূজা। সোমবার প্রসাদ বিতরণ, এক দিন পরেই বুধবার ভাইফোঁটা ও অতিথি আপ্যায়ন, আরতি।

শ্যামাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন নানা ধর্মীয় উৎসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সংগঠনসমূহ হলো মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটি, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, শ্রীশ্রী শিবমন্দির।

দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব নিয়ে হিন্দু পুরাণ কাহিনী ও ইতিহাস থেকে হরেক রকম তথ্য পাওয়া যায়। পুরাণ কাহিনি মতে, ক্ষীর সাগর মন্থনের পর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে অমৃতভাণ্ড হাতে সমুদ্র থেকে ধন্বন্তরি উঠে এসেছিলেন। তাই তিথির নাম ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী (ধনতেরাস)। ঐ দিন একই সঙ্গে স্বর্গচ্যুত দেবী লক্ষ্মীও সমুদ্র থেকে উঠে আসেন। তারপর অমৃতের ভাগ নিয়ে দেবাসুরের লড়াইয়ের পরে লক্ষ্মীদেবী পুনরায় স্বর্গে ফিরে যান এই কার্তিকি অমাবস্যার রাতেই। সেই ঘটনার স্মরণেই  অমাবস্যার রাত সাজানো হয় প্রদীপ জ্বালিয়ে।

নিউজজি/এস দত্ত/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন