মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ , ১৯ শাবান ১৪৪৬

ফিচার
  >
ফেসবুক কর্ণার

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী জয়ার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

আজহারুল হক মিজান ১৫ জুলাই , ২০২১, ১৬:৩৮:৪৬

9K
  • ছবি : সংগৃহীত

জয়শ্রী দাস জয়ার বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়। চরবাটা খাসের হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে  অধ্যয়নরত। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এখন নারী উদ্যোক্তা।

করোনা মহামারীর শুরুতে যখন ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পাশাপাশি  এবং সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অরিত্রিক ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে মেয়েদের থ্রী-পিস, শাড়ীর ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা শুরুর দিকে পুঁজি কম হওয়ায় তিনি শুধু রিসেলিং করতেন। ধীরে ধীরে ব্যবসা ভালো হওয়ায় ২০২০ সালের ঈদ-উল-আযহার পূর্বে নিজেই সরাসরি প্রোডাক্ট অর্ডার করে সেল দেয়া শুরু করেন।

পাশে ছিল পরিবার ও বন্ধুরা- জয়শ্রী দাস জয়ার ব্যবসার শুরুতে প্রোডাক্ট সেল নিয়ে ভয় পেলেও তার পরিবার ও বন্ধুরা সবসময় তার পাশে ছিল। ব্যবসার শুরুতে তার পরিবার তাকে পুঁজি বিনিয়োগ করতে সাহায্য এবং সবসময় সাহস যোগাতেন। বন্ধুরাও পরিচিত মানুষজনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট  অর্ডার করাতো। জয়শ্রী দাস জয়া বলেন, ব্যবসার শুরুতে আমি খুব ভয় পেতাম! প্রোডাক্ট সেল কেমন হয়? কীভাবে সেল হবে? এমন অনেক প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খেত। আমার পরিবার এবং বন্ধুরা সবসময় সাপোর্টিভ থাকায় আমি সবসময় সাহস পেতাম। তাদের সহযোগিতার কারণে আজ আমার ব্যবসা এগিয়ে যাচ্ছে।

বিক্রির পরিমাণ- বর্তমানে জয়ার অরিত্রিক পেজে বিক্রি হয়েছে  এক লাখ টাকার বেশি প্রোডাক্ট। অনলাইনে পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আস্থা কম হওয়ায় জয়া আগে প্রোডাক্ট দেন তারপর টাকা নেন। ফেসবুক পেজ অরিত্রিক এ অর্ডার দেওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই পণ্য পৌঁছানো হয় এবং পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ করা হয়। জয়া বলেন,  অনলাইনে পণ্য অথেনটিক না এমন বিশ্বাসে ক্রেতারা যেন বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য আমি আগে পণ্য পৌঁছাই।  এভাবে একজন ক্রেতার সাথে বিশ্বস্ত লেনদেন হওয়ার পর তার হাত ধরেই আরও ক্রেতা আসে। ক্রেতাদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে আমার অনলাইন গার্মেন্টস  ব্যবসা।

লেখক: মো. আজহারুল হক মিজান

শিক্ষার্থী- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন