বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ , ১৭ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

আত্মহত্যা রুখতে শিক্ষা কার্যক্রম জরুরি

রানা আহম্মেদ অভি ১০ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ১২:৪৬:০৪

894
  • আত্মহত্যা রুখতে শিক্ষা কার্যক্রম জরুরি

আত্মহত্যা বা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধি আজকাল বিশ্বের তরুণ সমাজের জন্য ভীষণ ভয়ংকর সমস্যা। বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশানুরূপ ফলাফল ও ধর্মান্ধতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক দুর্ভাগা সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষাপ্রাপ্ত সমাজে। বেকারত্ব-যৌতুক-নির্যাতন ও খারাপ বন্ধুত্বের ছোঁয়ায় অনুরূপ ব্যাধি। জীবন থমকে বাড়ছে আত্মহত্যা! কি লাভ এ আত্মহননে? জীবন পরিচালনার পথে ছুটে চলা দুর্গন্ধময় তারুণ্যের অধঃপতনের শ্বাস প্রশ্বাসে যেন দীর্ঘতর ছোঁয়া। গরিব থেকে ধনী সুদদাতা থেকে ঋণী বিশ্বের গোলকধাঁধায় আত্মহনন সমস্যা থেকে কেউ মুক্ত তা বলা যায় না। সভ্যতার সাথে সাথে অপরাধও ডিজিটাল হচ্ছে। আর্থসামাজিক ও ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা মোকাবিলায় সকল দিক থেকেই জাতি ও রাষ্ট্র ব্যর্থ। গরিব থেকে ধীরে ধীরে যখন দেশ যখন উন্নতির গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে চলছে, তখন দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ব্যপ্তির কারণে উঠে আসছে ‘মনস্তাত্ত্বিক ব্যধি ও আত্মহত্যা’। পত্রিকায় চলমান বস্তুনিষ্ঠ মতামত ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ ব্যাধির সমস্যা সমাধান করা এখন শুধু সময়ের দাবি।

বর্তমান সময়ের গবেষণা বলে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে ‘মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধি’ নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিসংখ্যানে অন্যতম বিবেচিত ‘আত্মহত্যা’। যা বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সেবাগুলোকে লাথি মেরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সমসাময়িক তথ্যগুলোর উপর ভিত্তি করে কিছু শ্রেণীবিভাগ বানালে ‘আত্মকেন্দ্রিক, পরার্থমূলক, নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা’ এ তিন ভাগে আত্মহননকে বিভক্ত করা যায়। ‘প্রেমে ব্যর্থতা, পারিবারিক সমস্যা, বাল্যবিবাহের পর নির্যাতন, অস্থিরতাময় জীবন, নৈতিক চেতনার অবক্ষয়, ধর্মীয় অজ্ঞতা, মাদক’ ইত্যাদির কারণে ‘যুব সমাজ থেকে বৃদ্ধা’ সকলে আত্মহত্যাকে জীবনের একমাত্র ‘সমাধান’ ভেবে মনোনয়ন করছে।

আত্মহত্যার উপর চালানো কিছু তথ্যবহুল গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ‘পৃথিবীর সকল আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক মানসিক রোগ, একাকীত্বের বিষন্নতা, ব্যক্তিতের সাধ্যমতো বিকাশ না করা, মুড ডিসঅর্ডার ও মাদকাসক্ত।’ প্রতিনিয়ত এ মানসিক রোগগুলো সমাজের বদনাম করছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষক সমাজ প্রতিটি মানব জীবনে এসব বদনাম জড়িত। সমাজে প্রচারিত ও ব্যাপকহারে পদক্ষেপ নেয়া বা উৎসাহিত কর্মকাণ্ড না থাকায় বলা যায় আত্মহত্যার অন্যতম একটি কারণ। বইয়ের ভাষায় ‘সমাজবিজ্ঞান তত্ত্বের উপর আলোচনা করতে গিয়ে এর প্রকৃতি কী এবং কীভাবে তত্ত্ব ও উপাত্ত মেলাতে হয়’ সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন অনেক সমাজবিজ্ঞানী। এমিল দুরক্যাঁ তাঁর ‘আত্মহত্যা' গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন ‘সাধারণ দৃষ্টিতে আত্মহত্যা ব্যক্তিগত ব্যাপার হলেও তিনি আত্মহত্যাকে দেখিয়েছেন সামাজিক মায়াময় ধাঁধা হিসেবে এবং আত্মহত্যার হারকে সম্পৃক্ত করেছেন সামাজিক অঙ্গীকরণের সাথে’। জার্মান ভাববাদী চিন্তার উৎসে কার্ল মার্কস দেখিয়েছেন ‘বিচ্ছিন্নতাবোধ’ বলে। বিচ্ছিন্নতাবোধ দর্শনজাত ও পরাদার্শনিক হলেও তিনি একে দেখেছেন সামাজিক প্রক্রিয়া হিসেবে ক্ষুদ্রতর ‘যেখানে মানুষ বা সমাজ গড়ে তোলে না যার কারণে তারা হারিয়ে ফেলে তাদের আত্মসত্ত্বাকে।’

জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ আত্মহত্যা বিষয়ে গবেষণা করেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় প্রতিটি বছরের বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা করেন প্রায় ৮ লাখের উপরে মানুষ। প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার। প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে সংখ্যায় ১৬ জন। গত অর্ধশত বছরে বিশ্বের উন্নত যেসব দেশসমূহ রয়েছে সেসবে আত্ম্যহত্যার প্রবণতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশে এ হার দুই দশমিক ছয় শতাংশ। এখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন করে আত্মহনন করেন। প্রতিবছরের এ হার দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। পত্রিকায় ও বিভিন্ন তথ্যসূত্র গবেষণায় জানা যায় বাংলাদেশে গত ৬ বছরে ৬০ হাজারের উপরে মানুষ আত্মহত্যা করেছে। মহানগরের মেট্রোপলিটন পুলিশের গবেষণায় বাংলাদেশে ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেছে ১০ হাজার ৭৪৯ জন। তার পরবর্তী বছরের ১০ হাজার ২৫৬ জন। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা দশ পেরিয়ে ১১ হাজার। ২০১৯ সালে এ হার ততটা গতানুগতিক হিসাব না থাকলেও করোনায়সময় ২০২০ সালে গত ও এ বছর যথা দুই বছর মিলে ১৪ হাজার ৪৩৬ জনের তথ্য পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু বর্তমান মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যা প্রায় দ্বিগুণ। পুলিশি সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২০ সালে এপ্রিল মাস থেকে গতবছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকায়  আত্মহত্যাজনিত অপমৃত্যুর কারণ খুঁজতে মামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৬টি। জাতীয় পরিসংখ্যার ব্যুরোর সূত্রে জানা, ২০২১ সালে এগারো হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। পুলিশি হিসাব মতে বাংলাদেশে গড়ে প্রতিটি বছরে দশ হাজারের বেশি মানুষ শুধু গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে ও বিষ খেয়ে মারা যায়। এছাড়াও ঘুমের ওষুধ খাওয়া, মাদক সেবন ও ছাদ থেকে লাফ দিচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক রোগীরা। বিভিন্ন সংস্থার মতে দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোয় যে পরিমাণ ইমারজেন্সি রোগী ভর্তি করা হয় তার প্রায় ২০ ভাগ আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করা রোগী। ২০২১ সালের একটি আত্মহত্যা প্রতিরোধ সভায় প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, আত্মহত্যার পরিকল্পনা করা ও আত্মহত্যার চেষ্টা কার মানুষদের মধ্যে অধিকাংশ বেঁচে যায়। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো যারা মারা যায় তাদের অধিকাংশ যুবসমাজ। সমগ্র বিশ্বের যুবাদের মৃত্যুবরণ কারণ হিসেবে আত্মহত্যা অনন্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সারা বিশ্বের প্রায় এক দুই শতাংশ মৃত্যু হয় আত্মহত্যাজনিত কারণে। এসব প্রবণতা বেশিভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তুলনামূলক বেশি।

২৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি গবেষণায় উঠে এসেছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর মাথায় জীবনের কোনো না কোনো সময় ‘আত্মহত্যা’ করার চিন্তা এসেছে। ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যাসহ চলতি ও বিগত বছরের বিভিন্ন মর্মান্তিক ঘটনা দেশবাসীকে যন্ত্রণাদগ্ধ করেছে। জুলাই মাসের প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনসম্মুখে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে এক ব্যবসায়ীর কষ্টদায়ক মৃত্যু হয়। আইন ও শালিস কেন্দ্রকর্তৃক জরিপে বলা যায়, এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে জুন মাস এতটুকু সময়ে দেশে হত্যা, নির্যাতন ও বিভিন্ন মৃত্যুর উপর গবেষণা করে জানা গেছে ৮০৭ শিশুর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১৫২ জন শিশু, আত্মহত্যা করেছে ১৬ জন, বিভিন্ন স্থানে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৫৬, রহস্যজনক মৃত্যুর হয়েছে আরও ১৪ জনের । এছাড়াও বালৎকারে ব্যর্থ হয়ে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সে প্রতিবেদনটিতে আরও তুলে ধরা হয়েছে ধর্ষিত হওয়া এমন মোট ৪৭৬ জন নারীর কথা। যাদের মধ্যে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে ২৪ জনকে। ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ছয় জন নারী। পারিবারিক কোলহলে ১৪০ জন নারীকে বিভিন্ন ভাবে সরাসরি হত্যা করা হয়েছে ও আত্মহত্যা করেছে ৪২ জন নারী। যৌতুক চেয়ে ৯৮ জন নারীকে নির্যাতন করে ৪৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে ও এ কারণে আত্মহত্যা করেছে ৬ জন। বর্তমান বিশ্বের  আত্মহত্যার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম।

উক্ত প্রতিবেদন মতে দরিদ্র দেশগুলোতে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান অনেক বেশি থাকলেও ডিজিটাল ও উন্নত দেশগুরোর মধ্যে সবচেয়ে আত্মহত্যা বেশি হওয়া দেশ জাপান। গত এক দশকে জাপানের আত্মহত্যা কমতে নিম্নগামী হলেও করোনা মহামারি চলাকালে এ পরিসংখ্যান ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপান দেশে যে মৃত্যু করোনার চেয়ে প্রায় দশ গুণ। বিবিসির একটি প্রতিবেদন মতে, এ আকস্মিক আত্মহত্যার হার গত ১১ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা রের্কড। জাপান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে শুধু করোনাকালীন ২০২০ সালেই এ দেশে আত্মহত্যা করেছে ২০ হাজার ৯১৯ জন নাগরিক। অর্থনীতিতে ধস নামাতে নাগরিকরা হতাশায় গিয়ে আত্মহত্যার এ সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তথ্যমতে, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে বর্তমান গায়ানায় আত্মহত্যা বেশি হয়। পুরো বিশ্বজুড়ে যে আত্মহত্যা হয় তার থেকে প্রায় চারগুণে মতো বেশি আত্মহনন এ দেশে। মাদকসেবন ও বিষাক্ত কীটনাশকের সহজলাভ্যতা এবং দরিদ্রতায়  এ দেশের আত্মহত্যার বিশেষ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বিজ্ঞদের গবেষণা মতে ‘গায়না’ এ বছরের লাখের উপরে আত্মহত্যা হয়। আনুমানিক এর গড় সংখ্যা বলা হয়েছে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৪৪ হাজার। সীমাবদ্ধতা এড়ানো ও মানবধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং আর্থসামাজিক অবস্থার চাপে উত্তর কোরিয়ায় বছরের ১০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন। জানা যায় এ দেশের শাসকদের অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেও পুরো পরিবার আত্মহত্যা করেছে এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। অন্যদিকে পাশের দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক চাপ অত্যন্ত বেশি, এখানে পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার কারণে বিষপানে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। প্রতিবছর এখানে এক লাখের মধ্যে ১৫ জন মহিলা ও ৩২ জন পুরুষ গড়ে আত্মহত্যা করেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় প্রতিটি দেশে সামাজিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে আত্মহননের পরিসংখ্যান অনেক বেশি। বাংলাদেশে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বর্তমানে কম। প্রতিবছর দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় লাখে ১৩ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যা। তবে সে দেশে আত্মহত্যা ঘটে বিষপান ও ফাঁসির মাধ্যমে। প্রতি লাখে এখানে ১৫ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। তারপর রয়েছে নেপাল। বিশেষ করে নেপালি মেয়েরা আত্মহত্যা বেশি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কাজাকিস্তানের নাম অনেক উপরে। বিশ্বব্যাপী যে আত্মহনন হয় তার ৩ দশমিক ২৩ শতাংশই এখানে হয়। দেশটির ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সের তরুণ সমাজ এ আত্মহত্যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এখানেও মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি।

মূলত বাংলাদেশে আত্মহত্যার দিন দিন বাড়ছে। এ দেশে পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা আশানুরূপ ফলাফল না আসলে আত্মহনন ঘটায় শিক্ষার্থীরা। গ্রাম গঞ্জে যৌতুক ও নির্যাতন সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। বেকারত্বের কারণে যুবসমাজ ঘটাচ্ছে অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনা। ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান না থাকায় বা ধর্মান্ধতার কারণেও আত্মহত্যায় অনেকে ধাবিত হয়। যদিও বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তবুও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমাধানে পরামর্শ  ও তা  অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা অসন্তোষজনক। শিশু থেকে প্রবহমান কালে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এ বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অতি কম সময়ের মধ্যে ‘আত্মহনন’ বিরুদ্ধে তৃণমূলে ব্যবস্থা, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা না হলে এ সমস্যার ভবিষ্যতে আরও ভীষণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, কোনো সংশয় ছাড়া তা অনুভব করা যায়।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন