বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ , ২১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

সুসংবাদ আসছে!

মাঈনুদ্দীন দুলাল ২৮ আগস্ট , ২০২৫, ১৯:৪৭:৪৩

436
  • সুসংবাদ আসছে!

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রক হাডসন, বাস্কেটবল তারকা ম্যাজিক জনসন, র‍্যাপ গায়ক লিন রাইট, ব্রিটিশ রক তারকা ফ্রেডি মার্কারের কথা আমাদের মনে থাকবার কথা। এরা প্রত্যেকেই অবধারিত মৃত্যুর দিকে গেছেন বিনা চিকিৎসায়। আরো অনেক সেলিব্রিটি মারা গেছেন এইডসএ আক্রান্ত হয়ে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান নিরুপায় হয়ে ল্যাবে বসে এসব মৃত্যু দেখেছে। রোগটি শনাক্ত হওয়ার পর জানা গেছে প্রায় ৪ কোটি মানুষ এ রোগে মারা গেছেন।

মানুষ অদম্য ক্ষমতা বহন করা এক প্রাণী। সে নানা ধরনের বাধার মুখে দাঁড়িয়ে সেই বাধাকেই অতিক্রম করেছে। 

সুসংবাদ হল, রাশিয়ার একদল চিকিৎসা বিজ্ঞানী ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগ অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম বা এইডসের টিকা তৈরি করছে। তারা সাফল্যের কাছাকাছি । যদি এই টিকা প্রকল্প সফল হয়, তাহলে এটি হবে বিশ্বে এইডসের প্রথম টিকা। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তি এই মনভালো করা সংবাদটি জানিয়েছে।

দেশটির চিকিৎসা ও অনুজীববিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার ইতোমধ্যে টিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ বছর বা তারও কম সময়ের মধ্যেই বাজারে আসাবে এই টিকা।

গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টারের মহামারিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ভ্লাদিমির গুশচিন বুধবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, রিয়া নভোস্তিকে ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক এমআরএনএ প্রযুক্তি অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হবে এই টিকা।

প্রচলিত পদ্ধতিতে টিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয়, তবে তারা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে এক ধরণের প্রোটিন ব্যবহার করছেন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বহুগুণ শক্তিশালী করবে।

১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এইডসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরই দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস এইচআইভিও শনাক্ত করে।

অনিরাপদ যৌনতা, সিরিঞ্জের সূঁচের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এইচআইভি ভাইরাস। এছাড়া, প্রসূতী মায়ের মাধ্যমেও এইডসে আক্রান্ত হয় শিশুরা। কোনো গর্ভবতী নারীর দেহে এইডসের জীবাণু থাকলে তা অনাগত সন্তানকেও সংক্রমিত করে।

সাহারা ও নিম্ন আফ্রিকার অঞ্চলগুলোতে এইডসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১০ লাখ মানুষ।

এইডস রোগের কারণ এইচআইভি ভাইরাস, যা মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রাইমেটদের মধ্যে প্রথম দেখা যায়, সম্ভবত ১৯২০ সালের দিকে কঙ্গোর কিনশাসায় বন্য পশুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। পরবর্তীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এটি একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। 

এইচআইভি ভাইরাসটি প্রথমে প্রাইমেটদের মধ্যে পাওয়া যেত। 

১৯২০-এর দশকে কঙ্গোর কঙ্গোর কিনশাসায় এইচআইভি-১ এর এম স্ট্রেইনের উৎপত্তি হয়। যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী মহামারীর রূপ নেয়। 

লেখক : সাংবাদিক
 
বি.দ্র.- (এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। নিউজজি২৪ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন