মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ , ২০ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

ইসরায়েল বর্বরতার তথ্য ব্ল্যাক আউট করতে চায়

মাঈনুদ্দীন দুলাল ১১ আগস্ট , ২০২৫, ১৫:১৬:৪৫

293
  • ছবি : সংগৃহীত

গত দুই বছরে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত ২৩৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত রোববার, ১০ আগস্ট সর্বশেষ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে আসা পরিচিত সংবাদদাতা আল-শরীফ,  মোহাম্মদ কুরেইকেহ এবং ক্যামেরা অপারেটর ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নওফাল ও মোমেন আলিওয়া।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেছে বেছে সাংবাদিকদের হত্যা কেন করা হচ্ছে? এ প্রশ্ন বিশ্ববাসীর মনে জাগছে। সাথে সাথে উত্তরটাও চলে আসে প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে।

ইসরায়েল তার ধ্বংসলীলা লুকানোর চেষ্টায় গণমাধ্যমকে টার্গেট করছে? বিশ্বকে তথ্য প্রবাহ থেকে ব্ল্যাক আউট করতে চায়।

জানা যায় নিহত ৫  সংবাদকর্মী উত্তর গাজা থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত খবর পরিবেশন করছিলেন। গাজার আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাইরে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপন করা একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়ে তারা  মারা যান।

নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও সংবাদকর্মী  আল-শরীফ এক্স-এ লিখেছিলেন যে, ইসরায়েল গাজা নগরীর পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। তাঁর শেষ ভিডিওতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র শব্দ শোনা যায় এবং কিছু ফুটেজ পাওয়া যায়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় বর্বর হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায় ৬২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। যার অর্ধেকের বেশী শিশু। ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনী ধ্বংস স্তুপের নীচে চাপা পড়ে আছেন। হামলায় প্রায় ২ হাজার চিকিৎসাকর্মী, ২৩৩ জন সাংবাদিক, ৭৭৭ জন মানবিক সহায়তাকর্মীকে নিহত হয়েছেন। ২ হাজার ৬১৩টি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত গাজায় ১ লাখ ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে।

সাংবাদিকতার মানদণ্ড ও সততা নিয়ে আমাদের দেশ বা বিশ্বের নানান জায়গায় কিছু প্রশ্ন আছে। সব পেশাতেই নৈতিকতা মাঝে মাঝে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়।সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়।

কিন্ত তারপরও একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন আপনি কোন ইনফরমেশন ছাড়া একটা দিনও কাটাতে পারবেন কিনা? মৃত মানুষের কোন তথ্য লাগে না।  কিন্তু জীবিত মানষ একটি দিনও তথ্য ছাড়া চলতে পারবেননা।

অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন তার গবেষণা ও তথ্য উপাত্তে বোঝাতে পেরেছিলে তথ্য প্রবাহের সাথে  অর্থনীতির গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রকৃতি ও স্থানভেদে প্রয়োজনীয়তা অনেক সময় তথ্য প্রবাহ থেকে আসে।

এখনকার সময় আমাদের চলমান জীবন ও ভবিষ্যৎতে প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত করে অবাধ তথ্য প্রবাহ।

তথ্য প্রাদান ও গ্রহণ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

লেখক : সাংবাদিক
 
বি.দ্র.- (এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। নিউজজি২৪ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন