বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ , ২১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

আশা জাগানিয়া, নির্বাচনের মেট্রোতে উঠছে দেশ

মাঈনুদ্দীন দুলাল ৭ আগস্ট , ২০২৫, ২৩:৪৯:২২

403
  • আশা জাগানিয়া, নির্বাচনের মেট্রোতে উঠছে দেশ

অবশেষে নির্বাচনের ট্রেনে উঠছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ নানা ধর্ম ও জাতি গোষ্ঠীর আবাস। প্রত্যেকের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক নানান উৎসব আছে।

এসব উৎসবের আয়ুকাল প্রতি বছর কয়েকদিন করে।

কিন্তু বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য বড় ও লম্বা উৎসব হচ্ছে নির্বাচন।  তফশীল ঘোষণার পর থেকে এই উৎসব শুরু। চা খানায় আড্ডা, গাল গপ্পো,নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে ফলাফল দেয়া পর্যন্ত।  এরপরও উৎসবের রেশ থাকে। এটি সারাদেশে এবং সকল মানুষের জন্য।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতাসহ নানা অভিযোগ আছে। কিন্তু আমি বড় অভিযোগ করতে চাই আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের উৎসবটি ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। মানুষকে এই উৎসব থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ এই দলের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবরই ছিলেন নির্বাচন মুখী।  পাকিস্তানী স্বৈরাচারী শাসকদের অধীনেও তিনি নির্বাচন করেছেন।

৭০ এর নির্বাচনের ভূমিধ্বস বিজয়ে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে বিশ্বাসী ছিলেন।  অথচ এত বড় দলের নেতা, সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে জনগণের সাথে ছিনিমিনি খেল্লেন। তার খেসারতও দিলেন। এখনো মনে করা হয় জন সমর্থনে বিএনপি - আওয়ামী লীগ সমান্তরাল। তাহলে নির্বাচন নিয়ে কেন হাসিনা সরকার এতসব তালবাহানা করলেন?

যাই হোক আশা করছি শেষ পর্যন্ত দেশ আবার ফিরে আসছে নির্বাচনের উৎসবে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনকে  চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে , ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে পত্র দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

এ পত্রের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।

তবে বর্তমান আইনশৃঙ্খলার অবনতিশীল অবস্থার উন্নতি জরুরি।  নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে নানা ধরনের সহিংসতার মাত্রা বাড়তে থাকবে।

আমরা আশা করতে চাই নানান মত ও পথের দল এবং মানুষের অংশ গ্রহণে নির্বাচন হবে উৎসব মুখর। সরকার প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনুস একটি ভালো নির্বাচনের নজীর রেখে যাবেন এমন প্রত্যাশা জাতির।

কারণ, এখনো উত্তম নির্বাচন উত্তম গনতন্ত্রের ভালো গন্তব্য।

লেখক : সাংবাদিক
 
বি.দ্র.- (এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। নিউজজি২৪ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন