বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ , ২১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে মৌলিক পরিবর্তন

শ্যামা সরকার  ৫ জুন , ২০২৪, ১২:০২:১৯

865
  • প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে মৌলিক পরিবর্তন

প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, দেশ বা জাতির নয়; সমগ্র মানবজাতির। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বিপন্ন পরিবেশ। মানুষের বসবাস উপযোগী বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজন দূষণমুক্ত পরিবেশ। তাই বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালন করা হয় ‘পরিবেশ দিবস’।

৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালন করা হয় দিবসটি। প্রতি বছরই এ দিবসটি আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয়। 

এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ করবো ভূমি পুরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’। কারণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে বন উজাড়, দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব,  জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি- এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবলায় প্রয়োজন সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ। এভাবেই ভূমি পুনরুদ্ধার,করা ও খরা রোধ করা সম্ভব।

এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP)-এর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২ সালে ‘Only One Earth’ (একটাই পৃথিবী) এই প্রতিপাদ্যে দখরারহম ‘Living Sustainably in Harmony with Nature’-এর (প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই জীবনযাপন) ওপর জোর দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ অসাধারণ ভাবনার জন্য UNEP-এর সঙ্গে যুক্ত সকল সংস্থা Theme of the World Environment Day-2022 প্রশংসার দাবিদার। কেবল এ বছরই নয়, চলতে থাকুক আজীবন। 

প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ বিশ্বব্যাপী। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ জুন থেকে ১৬ জুন, জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন (United Nations Conference on the Human Environment) অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি ইতিহাসের ‘প্রথম পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’-এর স্বীকৃতি পায়। ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।

বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি প্রতিবেদন-২০২৩ প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান। প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ-ভারত। উক্ত অবস্থানে ছিল আফ্রিকার দেশ চাদ ও ইরান। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ‘ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়। 

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার  শ্রোয়েডার এই তিন দেশের ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণে জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। এছাড়া কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৩’ শীর্ষক এক বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের ভয়ঙ্কর তথ্য-উপাত্ত উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার কারণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বছর। এলাকা ভেদে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ছয় ধরনের পদার্থ ও গ্যাসের সমন্বয়ে ঢাকায় দূষণের মাত্রা সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫-এর কারণেই ঢাকার দূষণ অতিমাত্রায় বেড়েছে। এর ফলে বেড়েছে মৃত্যুর হার। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীবাসী, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকলে গর্ভবতী নারীদের হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিকস, নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত ত্রিশ বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে ক্ষতিকর বস্তুকণা ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। যা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় পাঁচটি দেশে। এর মধ্যে একটি হল বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর ধূমপান, সড়ক দুর্ঘটনা ও ডায়াবেটিসে যতো মানুষের মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মানুষ শ্বাসনালীর রোগের জন্য মারা যায়।

 এ পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন নীতির ওপর ভিত্তি করে ‘রূপকল্প ২০২১’ (২০১০-২০২১) এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। প্রসঙ্গত বলা যায়, সরকার জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের জন্য সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিবেশ সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তর/সংস্থা স্ব স্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবেলায় বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদানপূর্বক বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ বিষয়ে একটি পৃথক অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সুস্থ পরিবেশকে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এছাড়া, বিশ্ব উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অভিঘাতের সাথে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন এবং প্রশমন বা কার্বন নিঃসরণ হ্রাসÑ এ দুই খাতেই বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সম্প্রতি সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭ জারি করেছে। সরকার দেশের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ কিছু এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ৩৮টি বনসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকাকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হয় কপ-২৬, যা এই দশকের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তাসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশেরও রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ। এটি অত্যন্ত আনন্দের যে, ৪৮টি দেশ নিয়ে গঠিত জলবায়ু বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক ফোরাম সিভিএফ’র (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ। এই দেশগুলো যারা বিশ্বের ১ শতাংশের মতো গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী অথচ নিঃসরণজনিত কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের শিকার তাদের মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ এবং এ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। এ কারণে তুফান, সাইক্লোন, ভূমিকম্প ইত্যাদি দুর্যোগ বেশি হয়, ফলে মানুষের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা।  এছাড়া, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন।

এর ভয়াবহতা সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেখিয়ে দিল। দেশের দক্ষিণাঞ্চল এর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড। সুন্দরবনে স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়। সেই হিসেবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় সুন্দরবন চারবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ও চারবার ভাটায় পানি নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এবার সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য এই প্রথম অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। কারণ রিমাল আঘাত হানার পর এবার টানা ৪৮ ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে ছিল পুরো বনাঞ্চল। এদিকে, বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা এখনই সম্ভব নয়। কারণ জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণি ও গাছপালার যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা সময়সাপেক্ষ।

কেবল বন নয়, জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ, তৃণভূমি এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রও হুমকির সম্মুখীন। এ বিষয়ে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইকোসিস্টেমগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ উপকূলীয় সুরক্ষা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেই প্রতিনিয়ত উপেক্ষা ও অবমূল্যায়ন করা হয়। 

ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রস্থলে স্থায়িত্বের নীতি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হতে হবে সচেষ্ট। সুন্দর পরিবেশ জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। শোষণ ও অবক্ষয় থেকে সরে যেতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে হবে। বিশ^ পরিবেশ দিবস জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, বন উজাড় এবং দূষণের মতো পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগকে আহ্বান করে।

বিশ্বকে বসবাসযোগ্য করার লক্ষ্যে দূষণমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের  দেশ। তবে মানুষের সচেতনতার অভাবে আজ তা অরক্ষিত। নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ভয়াবহতা থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।

লেখক: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও প্রধান কমিউনিকেশন, পাবলিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ উদ্দীপন।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন