বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ , ২১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার
  >
বিশেষ কলাম

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আজ

নিউজজি ডেস্ক ১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১৪:২১:৩৩

946
  • ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ১৪ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবস বেশি পরিচিত। বাংলাদেশেও বেশ কয়েক বছর ধরে ভালোবাসা দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। কিন্তু বসন্তের প্রথম এ দিনটিই ছিল দেশের ছাত্র সমাজের জন্য এক কলঙ্কময় দিন। ছাত্রদের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হওয়া দিনটি ভালোবাসা দিবসের উন্মাতাল ঢেউয়ে ভুলতে বসেছেন তারা।

বাংলাদেশে অনেকেই এ দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। সে বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত একটি কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ওই সমাবেশ ডাকে। 

১৪ ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, অবশেষে নির্বিচারে গুলি চালায়। ফলে লুটিয়ে পড়েন দিপালী সাহা, জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, আইয়ুব, কাঞ্চনসহ নাম না জানা অসংখ্য শহীদ। সেদিন পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু শুধু দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাকি মৃতদেহ গুম করে ফেলে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

শেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে বাধ্য হয়েছিল বাতিল করতে কুখ্যাত মজিদ কমিশনের শিক্ষানীতি। সেই কারণেই ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্বৈরাচার ছাত্র প্রতিরোধ দিবস শুধু বাম প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ছাড়া তেমন কোনো ছাত্রসংগঠন বা রাষ্ট্র এ দিবস পালন করে না। ভালোবাসা দিবসের ঢেউয়ে সেই কলঙ্কিত দিবসটিকে ভুলতে বসেছে আজকের তরুণ প্রজন্ম।

নিউজজি/এস দত্ত

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন