শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৫ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

ফিচার
  >
বিচিত্র

বউ খুঁজতে যেতে হয় জঙ্গলে!

নিউজজি ডেস্ক ১৭ আগস্ট , ২০২২, ১৪:৪১:৫৭

465
  • ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: পৃথিবীতে বিয়ে নিয়ে যেন বৈচিত্রতার শেষ নেই! একেক দেশে বিয়ে নিয়ে পালিত হয়ে ভিন্ন রীতি। বিয়ে নিয়ে সবচেয়ে বেশি অদ্ভূত ঘটনা ঘটে আফ্রিকায়। সেখানকার কঙ্গোতে ওলেম্বা উপজাতিরা বিয়েতে কনের মূল্য ধরে ৮টি তামার ক্রশ, ৩৫টি মোরগ এবং ৪টি কুকুর।

আফিকার আরেক উপজাতি বান্ডা গোত্রের নারীরা আস্ত মুরগির বাচ্চা খেয়ে বিয়ের যোগ্যতা প্রমাণ করে। আবার ইথিওপিয়ায় কোনো মেয়েকে পছন্দ হলে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করার রীতি আছে। রুয়ান্ডাতে বর-বউ একে অন্যের গায়ে কুলি করা পানি ছিটিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করে।

হবু কনের জন্য আলাদা পাত্রের খোঁজ শুরু হতো।দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর হবু কনের বন্ধুরাই তার মা-বাবার অনুমতি নিয়ে তাকে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখতেন। হবু কনে বিয়ের সাজেই বন্ধুদের সঙ্গে রওনা দিতেন। গভীর জঙ্গলে বন্ধুরা তাকে আগলে রাখতেন এবং তার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতেন তারাই।

এ দিকে হবু বরও দলবল নিয়ে কনের খোঁজে হন্যে হয়ে জঙ্গলে খোঁজ করতে শুরু করতেন। হবু কনেকে খুঁজে পেতে অনেকেরই দিনের পর দিন জঙ্গলেই কেটে যেত। নানা রকম বিপদের সম্মুখীনও তাদের হতে হত । কিন্তু ভয়ে পিছিয়ে আসতে পারতেন না। হবু কনেকে খুঁজে না পেলে গ্রামবাসীর কাছে তার সম্মান চলে যেত এবং সারা জীবন অবিবাহিতই থাকতে হতো।

এভাবে যে দিন হবু কনেকে খুঁজে পাবেন সে দিনই জঙ্গলের মধ্যে তাদের বিয়ে দেওয়া হতো। সঙ্গে থাকা বন্ধু-বান্ধবরাই বিয়ের ব্যবস্থা করতেন। লাল চুড়ি এবং নতুন শাড়ি পরিয়ে বিয়ে সারতেন বর। তারপর সেই রাত তাদের একসঙ্গে ওই জঙ্গলে কাটাতে হতো। গাছের ওপর ঘর বেঁধে একসঙ্গে রাত কাটাতেন নবদম্পতি। পর দিন সকালে নববধূকে নিয়ে গ্রামে ফিরতেন। আনন্দে আত্মহারা গস্খামবাসী উৎসবে মেতে যেতেন। এখনও কেরালায় এ আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। কিন্তু জঙ্গলের অভাবে বিয়ের এই আদি প্রথা প্রায় মুছে যেতে চলেছে। বসতি স্থাপনের জন্য জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গলের অভাবে এই প্রথাও দিন দিন মুছে যাচ্ছে।

নিউজজি/এস দত্ত

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন